ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ - ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আমরা অনেকেই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানি না কিন্তু ডেঙ্গু রোগ একটি বিপদজনক রোগ। তাই আমাদের অবশ্যই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো জেনে রাখা উচিত।
আপনি যদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ - ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা
- ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ - ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা
- ডেঙ্গু রোগের কারণ
- বাচ্চার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
- ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও করণীয়
- শেষ কথা
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ - ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা
আমরা জানি যে ডেঙ্গু রোগ মশা বাহিত ভাইরাস সংক্রমণ। সাধারণত এই রোগটি আমাদের
গ্রীষ্মকালীন সময়ে হয়ে থাকে। অতিরিক্ত মশার প্রভাবে বিশেষ করে এডিস মশার কামড়ে
ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা
সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা যদি খুব সহজেই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা জেনে নিতে
পারি তাহলে এ রোগ থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে পারবো।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণঃ
১। সাধারণত ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। আপনার যদি শরীরে তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি
থেকে ১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ডেঙ্গু হয়েছে।
এছাড়া একটানা থাকতে পারে আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবার জ্বর আসতে
পারে।
২। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা করে। এই যার সঙ্গে মাথা ব্যথা
চোখের পিছনে ব্যথা হতে পারে সাথে সাথে চামড়ায় র্যাশ হতে পারে।
৩। শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। ক্ষুধারা লাগার পরিমাণ কমে যেতে
পারে। শরীর ম্যাচ করে এইগুলোই ডেঙ্গুর লক্ষণ।
৪। এছাড়া ডেঙ্গু লক্ষণ হিসেবে তীব্র পেটে ব্যথা হতে পারে, পেট ফুলে
যাওয়া, রক্তভূমি হওয়া, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ, কঠিন শ্বাসকষ্ট
হওয়া, অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হওয়া ডেঙ্গুর লক্ষণ।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসাঃ
১। আপনি যদি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে
এবং অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আপনার শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি
থাকে তাহলে মাথাব্যথা ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন না।
২। ডেঙ্গু হলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। কারণ ভিটামিন সি
সমৃদ্ধ খাবার গুলো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে ডেঙ্গু থেকে আমাদের
মুক্তি দেয়।
৩। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে প্লাস্টিলেট জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বাদাম, গ্রিন টি, পালং শাক, আদা রসুন ইত্যাদি।
ডেঙ্গু রোগের কারণ
আমরা কমবেশি সকলেই জানি যে ডেঙ্গু রোগ সাধারণত মশার কামড়ে হয়ে থাকে। কিন্তু এর বিস্তারিত না জেনে থাকার কারণে ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে আমাদের কোন বেশি ধারণা থাকে না। এই আর্টিকেলে আমরা ডেঙ্গু রোগের কারণ সম্পর্কে জানব। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। চলুন ডেঙ্গু রোগের কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক।
ডেঙ্গু রোগ সাধারণত ভাইরা সংক্রমিত একটি রোগ। এডিস মশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে
ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। এই মশা জিকা, চিকনগুনিয়া এবং অন্যান্য ভাইরাস গুলো
মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। কোন ব্যক্তি যে ভাইরাস দ্বারা প্রথমে আক্রান্ত হয়
সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে তার দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়। এজন্য কোন ব্যক্তি
তার জীবন দশায় চার বারের মতো আক্রান্ত হতে পারে।
যারা একবার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আবার ডেঙ্গু রোগে
আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি
বেশি দেখা যায়। জীবাণুবাহী এডিস মশার কামড়ের ফলে ডেঙ্গু জোয়ার এর মাধ্যমে
ডেঙ্গু রোগের শুরু হয়। এডিস মশা কামরের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস আমাদের শরীরের
ভেতরে ছেড়ে দেয়। যার কারণে আমাদের ডেঙ্গু রোগ হয়।
বাচ্চার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
এখন আমরা বাচ্চার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা অনেকেই
বাচ্চার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানিনা যার ফলে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা হলে কি
করতে হবে এই বিষয় সম্পর্কে কোন জ্ঞান থাকে না। যার ফলে আমাদের বিপদের মধ্যে
পড়তে হয়। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এখন বাচ্চার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে
আলোচনা করব।
১। রোগের সাধারণ লক্ষণ হলো জ্বর। এই জ্বর ১০২ ডিগ্রী থেকে ১০৩ ডিগ্রী
ফা. হতে পারে।
২। জ্বরের সাথে শরীর ব্যথা, বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, চোখের নিচে
ব্যাথা এই সমস্যা গুলো হতে পারে।
৩। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও ডেঙ্গুতে খুব বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগের
লক্ষণগুলো ২-৭ দিন স্থায়ী থাকে।
৪। অনেক সময় ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হয়। যেমন প্লাজমা
লিক, তরল জমা, শ্বাসকষ্ট, মারাত্মক রক্তপাত ইত্যাদি বিপদজনক
মাত্রায় হতে পারে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও করণীয়
প্রিয় বন্ধুরা আমরা এখন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করব। উপরের
আলোচনাগুলোতে আমরা ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আবার
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে আপনাদের অবগত করব। কেন আপনারা খুব সহজেই
ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিচে ডেঙ্গু রোগের করণীয় উল্লেখ করা হলো।
১। প্রথমে যদি ডেঙ্গু রোগ হয় তাহলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। কাজ করা যাবে না
একেবারেই বিশ্রামে থাকতে হবে।
২। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। ডাবের পানি, লেবুর
শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন পান করতে থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হাসান নামের ইসলামিক অর্থ কি
৩। ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই প্যারাসিটামল খেতে হবে। আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে
থাকেন তাহলে প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবেন। কিন্তু অবশ্যই
এগুলো আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
৪। ডেঙ্গু জ্বরের সময় আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা হতে পারে এই সময় কোন
ধরনের ওষুধ খাওয়া যাবে না। ওষুধ খেতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে
হবে।
৫। আমরা যখন ঘুমাবো তখন অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাবো। মশারি ছাড়া ঘুমালে আবার
এডিস মশার আক্রমণের শিকার হতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ - ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসাঃ শেষ কথা
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা, ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও করণীয়, বাচ্চার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, ডেঙ্গু রোগের কারণ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url