ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

অনেকেই রূপচর্চার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে লাগিয়ে থাকে। কিন্তু ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এবং ভিটামিন ক্যাপসুল খেলে কি হয় এই সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানে না। তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এই নিয়ে আজকের আলোচনা। চলুন তাহলে জেনে নি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

যদি আমরা নিয়মিত করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাই তাহলে আমাদের অনেক ভালো একটা উপকার হবে। তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এবং ত্বকে মাখলে কি হয় এই নিয়ে বিস্তারিত থাকছে। বিশেষ করে যাদের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক এবং ত্বকের ব্রণ আছে তারা যদি এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটা না ১৫ দিন খায় তাহলে তাদের কিন্তু ভেতর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা হবে। অনেকটা ব্রাইটনেস বেড়ে যাবে আর।

যাদের চুল পড়া সমস্যা আছে, আমরা সবাই জানি বন্ধুরা যে চুল পড়ার অনেক গুলো কারণ থাকতে পারে তার মধ্যে একটি কারণ হলো ভিটামিন ই এর অভাবে চুল পড়ে যায়। সেজন্য আমরা যদি এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটা না ১৫ দিন খায় তাহলে আমাদের মাথায় চুল পড়া কমে যাবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় তার মধ্যে বিশাল একটি সুবিধা হলো চুল পড়া রোধ করতে পারা।
আমাদের মাথার চুল অনেক লম্বা সিল্কি হবে । বন্ধুরা আমরা যদি নরমালি দৈনিক রাত্রে বেলায় ঘুমাতে যাওয়া ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে এটা খেয়ে নেই তাহলেই হবে আর এটা আরো ভালো কার্যকারিতা পাওয়ার জন্য যদি আমরা এ ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের সাথে খাই তাহলে কিন্তু আমাদের কার্যকারিতা আরো অনেক গুন বেড়ে যাবে। ভিটামিন সি বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে সেরকম কমলালেবু, লেবু আমরা আগে ভিটামিন ই এর সাথে যদি আমরা খাই তাহলে এর কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যায়। 

আমরা যতদিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাব ততদিন যদি আমরা একটু বেশি করে ফল খাই তাহলে এই কাজ আমরা খুব বেশি মাত্রায় বুঝতে পারব। বন্ধুরা আমরা আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই ফল খাওয়ার চেষ্টা করব কারণ খেলে কোন ক্ষতি হয় না বরং লাভ হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ১০০০ থেকে ১২০০ গ্রাম ভিটামিন ই এর দরকার।

ভিটামিন ক্যাপসুল খেলে কি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এটি যদি ভালোভাবে বুঝতে চান তাহলে আপনি এই সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন। তাহলেই আপনি দেখতে পারবেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা কি কি এবং এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে মাখলে বা ব্রণের দাগ, পক্সের  যে কোন স্থানে মাখলে কি কি উপকার হতে পারে এই সম্পর্কে। ত্বকে মাখলে উজ্জ্বল দেখাবে অনেক।

তাছাড়া ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাছাড়া ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার আমাদের নিয়মিত খেতে হবে যাতে শরীরে এর ঘাটতি না থাকে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এবং ত্বকে মাখলে কি হয় এই নিয়ে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়

আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা সম্পর্কে অবশ্যই জানি এবং জানি এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এবং আমাদের শরীরে কতটুকু উপকারি ভিটামিন। তবে ভালো দিকের পাশাপাশি প্রত্যেকটি জিনিসের খারাপ দিক থাকে এবং সেই খারাপ জিনিস গুলো জানতে আজকে শেষ চেষ্টা করব ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় বা কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে। 
সাধারণত রূপচর্চার ক্ষেত্রে আমরা যদি অতিমাত্রায় ভিটামিন ই আমাদের ত্বকে ব্যবহার করি তাহলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এটা উল্টো কাজ করে। এই ধরনের ভিটামিন ই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের শরীরে উল্টো রিয়াকশন করে এবং বৃদ্ধি করে দেয় এবং তাদের দাগ আরো বৃদ্ধি করে দেয়। যাদের এলার্জি প্রবলেম আছে তারা একটু সতর্কতার সঙ্গে ভিটামিন ক্যাপসুল খাবেন অথবা ভিটামিন ই নিজের শরীরের উপর প্রয়োগ করবেন। 

এতে করে যে কোন ধরনের এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়া ও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ভিটামিন ই সেবনের ফলে রোগের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং মাত্রা অনুযায়ী ভিটামিন ই খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এবং ত্বকে মখলে কি ধরনের ইফেক্ট থাকতে পারে এই নিয়ে আরো বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হবে।

ভিটামিন ই বেশি খেলে কি হয়

অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় বা ভিটামিন ই বেশি খেলে কি হয় এই নিয়ে কিছু পয়েন্ট আলোচনা করা হলো।
  • মানবদেহে ভিটামিন ই এর নানা ভূমিকা থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক কোষকে ধ্বংস করার নানা উপকার করে ভিটামিন ই।
  • বিশেষ কিছু খাবার নিয়মিত খেলে পাওয়া যায় ভিটামিন ই। এই খাবার গুলোর মধ্যে আছে বীজ, বাদাম, শাক সবজি। 
  • গবেষণায় দেখা গিয়েছে এটা, নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরে গুরুত্বপূর্ণ কোষ গুলির ক্ষয় হয় না। তার ফলের রোগের আশঙ্কা কমে। ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে কিডনি রোগের আশঙ্কা কমার ভিটামিন ই।
  • হৃদরোগের আশঙ্কা কমাতে ও সাহায্য করে ভিটামিন ই। উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরলের হৃদরোগের আশঙ্কা তৈরি হয়, তবে ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেলে হৃদ রোগের আশঙ্কা কমে যায়। 
  • নিয়মিত ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খেলে ফ্যাটি লিভারের আশঙ্কা কমে যায়। যারা মধ্যপান করেন বা করেন না, সবার পক্ষে নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী।
  • মহিলাদের বিশেষ কিছু শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। বিশেষ করে যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ই।
  • চিকিৎসকের মতে নিয়মিত কত পরিমানে ভিটামিন ই প্রয়োজন, বয়স অনুযায়ী সেই মাত্রা আলাদা। ৬ মাস পর্যন্ত ৪ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই নিলে চলে। ৭ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত ৫ মিলি গ্রাম করে ভিটামিন ই প্রয়োজন। ১ থেকে ৩ বছর বয়স পর্যন্ত রোজ ৬ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই দরকার। ৪ থেকে ৮ বছর বয়স পর্যন্ত ৭ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই প্রয়োজন। ৯ থেকে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত রোজ ১১ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই দরকার। ১৪ বছরের উর্ধ্বে ১৫ মিলিগ্রাম থেকে ১৯ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন ই দরকার। 
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ই খাবার খেলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন ই খাবার বা ফুট সাপ্লিমেন্ট খেলে ক্যান্সারের মতো আশঙ্কা থাকতে পারে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

আপনার তো যদি তৈলাক্ত না হয় তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুলে থাকা তেল মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। আর যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন গোলাপের পানি। চুলের যত্নের মাথার স্কাল্প তেল ম্যাসাজ করতে তিনটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিতে পারেন। এরপর মাথা স্কাল্প ভালো করে ভালো করে ম্যাসাজের পর নজর দিন চুলে। চুলে যে নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন তাতে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে নিন। 

মুখের ক্রিম বা বডি লোশনের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এটি আপনার ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। দীর্ঘদিনের পুরনো দাগ যেমন হাতের কনুই বা হাটুর গাঢ় কালো দাগ দূর করতে সপ্তাহে তিন দিন ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল সে স্থানে ব্যবহার করতে পারে। চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে চাইলে খাঁটি বাদাম তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। 

গোলাপি আর মশ্রীন ঠোঁট পেতে চাইলে লিপবাম বা ভেসলিন এর সঙ্গে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে নিতে পারেন। যদি অনেক পুরনো কাটা দাগ, ব্রণের দাগ বা পক্সের দাগ, থাকে তবে প্রতিদিনই সেই স্থানে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল ম্যাসাজ করুন। কয়েক দিনের মধ্যে দাগ হালকা হতে শুরু করবে সেই সঙ্গে হবে ত্বক ও চুলের উন্নতি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে ব্যবহার

আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় কিন্তু এটা কি জানি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তরল কি ত্বকে মাখলে কি হয়? অনেকের ত্বক এতই সেনসিটিভ হয় যে চট করে কিছুই শুট করে না। তাই ত্বকের উজ্জ্বল্য বাড়াতে অন্যান্য কিছুর বদলে ব্যবহার করুন ভিটামিন ই। রূপচর্চায় আগ্রহী হলে অবশ্যই ভিটামিন ই ব্যবহার করুন নিয়মিত। অনেকেই এটাকে রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকেন। নিয়মিত ভিটামিন ই ব্যবহার করলে দারুন ফল পাওয়া যায়। 

এটা যেমন ত্বকের নানান সমস্যা যেমন ব্রণ, খুসকুড়ি, দাগ ছোপ দূর করে, তেমনি ত্বকের উজ্জ্বল্য বাড়ায়। এবং ঝলমলে ত্বক উপহার দেয়। আদতে এটা আমাদের ত্বক রক্ষা করার সঙ্গে পুষ্টি ও যোগায়। আর মুখের যেকোনো সমস্যার একমাত্র সলিউশন হলো ভিটামিন ই।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে মাখলে কি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি যে ভিটামিন ই শরীরের নানা উপকার করে। বার্ধক্যের প্রভাব কমায়, হারের যত্ন নেয়, বন্ধ্যত্বের সমস্যা রোধ করে। এর পাশাপাশি ত্বকেরও উপকার করে। খাবার থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই শরীরে গেলে এই উপকারগুলি হয়। 
কিন্তু ভিটামিন ই এর ক্যাপসুল ভেঙে ভিতরের তরল টি যদি মুখে মাখেন তাহলে কি হবে? তাহলেও কি ত্বকের লাভ হবে? ভিটামিন ই এর ক্যাপসুল ভেঙে তার নির্যাসটি ত্বকে মাখল নানা ধরনের উপকার হতে পারে। যেমন- যাদের ব্রণের সমস্যা বেশি হয় তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তরল মুখে মাখে এই সমস্যা কমতে পারে। 

ভিটামিন ই ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও মনে রাখা জরুরী, এইভাবে ব্যবহার করলে ত্বকে কিছু ক্ষতিও হতে পারে। যাদের ত্বক খুব সংবেদনশীল ভিটামিন ই এর সরাসরি ব্যবহার তাদের প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ত্বক ভালো রাখতে সরাসরি ভিটামিন ই ব্যবহার না করে বরং দই, মধু, লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে লাগাতে পারেন, এতে ত্বক ভালো হবে। ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য দাগ ছোও কমাতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু, লেবুর রস এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নির্যাস মিশিয়ে মুখে লাগান। [21115]  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url