ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ- ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করুন

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি পরে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করুন। আজকের এই আর্টিকেলে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে জেনে নি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ- ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করুন এবং এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম কি? আশা করি যারা, দ্রুত ইংরেজি শেখার সহজ উপায় খুঁজছেন তারা ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম জানতেও আগ্রহী। অনুবাদ করতে জানলে ইংরেজি নিউজ থেকে শুরু করে বই পুস্তক পড়তেও আগ্রহ জন্মে। আর এসব জানার মাধ্যমে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা টাও সহজ হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে সর্বত্রই ইংরেজির ব্যবহার হয়ে থাকে।

আমরা যখন বিভিন্ন ইংরেজি অনুচ্ছেদ দেখি বা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আর্টিকেল ইংরেজিতে দেখি, তখন সেটা পড়তে হলে আমাদের ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম জানতে হবে। নিয়ম জানলে আমরা খুব সহজেই সেটির অনুবাদ করতে পারব এবং বাক্যটির অর্থ বুঝতে  পারব। তাহলে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম জানার জন্য এই আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ দেখুন।

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করুন

আপনি যদি সহজেই ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার উপায় জানতে চান তাহলে আমার এই পোষ্ট পরে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করুন সহজেই। আপনি যদি নিজেই যে কোন ইংরেজি ব্যাকের অনুবাদ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি ইংরেজি বই অথবা নিউজ পড়তে আগ্রহী হবেন। এতে ইংরেজি শেখা আপনার জন্য সহজতর হবে। 
বর্তমানে প্রায় সকল জায়গাতেই ইংরেজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইন্টারনেটে সকল জায়গায় ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। একটা কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ইংরেজি ভাষার ব্যবহার সর্বাধিক। যেমন: ইন্টারনেটে অনেক আর্টিকেল ইংরেজিতে লিখা হয়ে থাকে আর তাই একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে আমাদের ইংরেজি জানা খুবই জরুরী। এজন্য আমাদের ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম ভালোভাবে জানতে হবে। 

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার সময় নিচেট পদ্ধতি বা কৌশল গুলো অবলম্বন করে ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করুন।

১ঃ মূল ভাষার নির্ধারিত অংশটুকু বার বার মনোযোগ দিয়ে পরে অর্থ উপলব্ধিট চেষ্টা করা। মূলের যেসব শব্দ আক্ষরিক অনুবাদ করা অসম্ভব বলে মনে হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে ভাবানুবাদের আশ্রয় নেওয়া।

২ঃ ইংরেজি ভাষায় দুর্বোধ্য শব্দ ও বাক্যাংশের অর্থ জানা না থাকলে আশেপাশের ভাব থেকে কাছাকাছি অর্থ অনুবাদের চেষ্টা করা। কোনো ভাবে অনুবাদ করা সম্ভব না হলে দুর্বোধ্য শব্দ ও বাক্যাংশ হুবহু বাংলায় ব্যবহার করা।

৩ঃ ইংরেজি ভাষায় জটিল বা যৌগিক বাক্য দীর্ঘ হলে বাংলা অনুবাদকে প্রাঞ্জল করার জন্যে একাধিক বাক্যে অনুবাদ করা।

৪ঃ ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উক্তি অনুবাদে বহাল রাখা উচিৎ। 

৫ঃ ইংরেজি ভাষায় বাচ্য ও ক্রিয়ার অনুবাদের বহাল রাখা সংগত।

৬ঃ ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত ব্যক্তির নাম, স্থানের নাম ইত্যাদি সংজ্ঞা বাচক বিশেষ্যের অনুবাদ হয় না। সেগুলো বাংলাায় প্রতি বর্ণকরন করতে হয়। এক্ষেত্রে মূলের উচ্চারণ যথাসম্ভব মান্য করা ভালো। তবে বহুল প্রচলিত প্রতিবর্ণীকৃত রূপ ও ব্যবহার করা চলে।
৭ঃ ইংরেজি পরিভাষা থেকে বাংলায় বহুল ব্যবহৃত বা মান্য পরিভাষা ব্যবহার করা উচিৎ। যেমন- science: বিজ্ঞান,  Court-- আদালত, Nation- জাতি। তবে বাংলা পরিভাষা দুর্বোধ্য হলে প্রতিবর্ণী করণই শ্রেয়। যেমন- computer: কম্পিউটার, Stadium: স্টেডিয়াম।

৮ঃ বাংলা অনুবাদের সাধু চলিতের মিশ্রণ পরিহার করা অপরিহার্য।

৯ঃ বাংলা অনুবাদ বাংলা বাক্য রীতি অনুযায়ী হওয়া উচিৎ। ইংরেজি বাক্যশৈলীকে বাংলা বাক্যরীতিতে পরিবর্তন করে নিতে হয়।

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করো

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম সম্পর্কে আমি আস্তে আস্তে বর্ণনা দিতেছি। তাই দেখে আপনি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করুন। থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নিয়ম সম্পর্কে কিছু পয়েন্ট নিম্নে তুলে ধরা হলো।

মূল বাক্যটি মনোযোগ সহকারে পড়া 
ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার ক্ষেত্রে প্রথমে ইংরেজি অনুচ্ছেদটি খুব ভালোভাবে মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। সব বাক্য না বুঝতে পারলেও সেখানে মূল কথাটি কি বলা হয়েছে সেটি বোঝার চেষ্টা করতে হবে। একবার না পারলে আবার চেষ্টা করতে হবে কয়েকবার পরে মোটামুটি একটা ধারণা হবে বাক্যটি সম্পর্কে।

একটি খসড়া অনুবাদ করুন 
বাক্যটি নিয়ে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়ার পর সেটিকে একটি খসড়া অনুভব করা যায়। তারপর খসড়াটির সাথে মূল বাক্যটি মিলিয়ে নিলে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। কোন কোন অংশের সাথে অর্থের অমিল রয়েছে বা অর্থটি সুন্দর হচ্ছে না।

একটি করে লাইন অনুবাদ করুন 
একটি করে লাইন নিয়ে তার অনুবাদ করার চেষ্টা করতে হবে। অনুবাদ প্রথমে আক্ষরিক অর্থে করার চেষ্টা করতে হবে। যদি তা করতে না পারা যায় তাহলে মূল ভাব বুঝে নিয়ে ভাবানুবাদ করতে হবে। এমন ভাবে অনুবাদ করতে হবে যেন অর্থ সঠিক হয়, অর্থ নষ্ট হয় এমন ভাবে অনুবাদ করা যাবে না। 

কাছাকাছি একটা বাংলা অর্থ বের করা 
কোন শব্দ খুব বেশি জটিল হলে বা তার অর্থ একেবারেই না বুঝা গেলে ইংরেজি বাক্যটি আবার ভালোভাবে পড়তে হবে এবং কাছাকাছি একটা বাংলা অর্থ বের করার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা আলাদা শব্দ নিয়ে বের করতে হবে। 

বাক্য গঠন প্রণালীর ব্যাপারে সতর্ক থাকা 
সরল জটিল বা যৌগিক বাক্যের অনুবাদ করার সময় সেটি সরল জটিল ও যৌগিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। তবে যদি অনুবাদ করা বেশি কঠিন হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে বাক্য ছোট ছোট করে অনুবাদ করা যেতে পারে। 

প্রবাদ প্রবচন, বাগধারা অনুবাদ 
ইংরেজি প্রবাদ প্রবচন বাগধারা ইত্যাদি অনুবাদ করার সময় আক্ষরিক অর্থে অনুবাদ করা যাবে না সে ক্ষেত্রে ভাবানুবাদ করতে হবে। আক্ষরিক অর্থ অনুবাদ করতে গেলে অনেক সময় অনুবাদকে হাস্যকর হয়ে যায়। 

কর্তা, কর্ম, ক্রিয়া অনুসারে অনুবাদ 
কর্তা, কর্ম, ক্রিয়া অনুসারে অনুবাদ করতে হবে। বাংলা বাক্য ও ইংরেজি বাক্যের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি আলাদা ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলা বাক্য ও ইংরেজি বাক্যের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি আলাদা ভাবে খেয়াল রাখতে হবে কারণ বাংলা বাক্য রীতি ও ইংরেজি বাক্য রীতি আলাদা হয়ে থাকে। 

যতি চিহ্নের ব্যবহার ঠিক রাখা 
বাক্যে যতি চিহ্নের ব্যবহার ঠিক রাখতে হবে। ইংরেজি অনুবাদ করার সময় যতি চিহ্নের ব্যবহার ঠিক না রাখলে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।  যতি চিহ্নের ব্যবহার করলে অনুবাদের অর্থ স্পষ্ট হয়। ইংরেজি বাক্যে উদ্ধিত চিহ্ন থাকলে বাংলায় তার ব্যবহার করতে হবে। 

কাছাকাছি অর্থ ব্যবহার  
কোন শব্দ বা বাক্যের যদি সঠিক অর্থ জানা না থাকে তাহলে কাছাকাছি জানা একটা অর্থ ব্যবহার করে দেখতে হবে অনুবাদটির অর্থ ঠিক হয় কিনা। যদি অর্থ ঠিক থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী অনুবাদ করতে হবে। অনুবাদ করার সময় একটি শব্দের একের অধিক অর্থ পাওয়া গেলে যে অর্থটি বেশি সুন্দর ও অনুবাদ করার ক্ষেত্রে বেশি গ্রহণযোগ্য সেটি ব্যবহার করতে হবে।

ব্যক্তি, স্থানের অনুবাদ হয় না 
স্থান বা সংখ্যা বাচক কোন শব্দ হলে তার অনুবাদ হয় না। সে ক্ষেত্রে সেটার বাংলা উচ্চারণ ব্যবহার করতে হবে। যেমন- ডাল্টন: Dalton, ঢাকা: Dhaka

পরিবাষা ব্যবহার 
বাক্যে পরিভাষা ব্যবহার হয়েছে কিনা দেখতে হবে। পরিভাষা অনুবাদ করার সময় বহুল প্রচলিত বাংলা পরিভাষা ব্যবহার করতে হবে। যদি প্রচলিত পরিভাষার সহজ না হয় সেক্ষেত্রে বাংলা প্রতিবর্ণ ভাষা ব্যবহার করতে হবে।

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা

ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ দুই ধরনের। যথাঃ
  • আক্ষরিক অনুবাদ। 
  • ভাবানুবাদ।
আক্ষরিক অনুবাদ 
আক্ষরিক অনুবাদে সাধারণত মূল ভাষায় বাক্যশৈলী, ভঙ্গি ও শব্দের হুবহু অনুবাদ করা হয়। যথা সম্ভব মূলানুগ হয় বলে এ ধরনের অনুবাদ প্রায়শই কৃত্রিম ও আড়ষ্ট হয়ে থাকে। যেমন- "one should love ones country" বাক্যটির আক্ষরিক অনুবাদ হচ্ছে "একজনের উচিত একজনের দেশকে ভালোবাসা।" কিন্তু এর চেয়ে গ্রহণ যোগ্য ও সাবলীল অনুবাদ হচ্ছে - "প্রত্যেকের উচিত নিজের দেশকে ভালোবাসা"।
ভাবানুবাদ 
মূল ভাষায় ভাব ঠিক রেখে অনুবাদের ভাষায় বাক্রীতি অনুযায়ী স্বাধীন ও স্বছন্দ  অনুবাদই হচ্ছে ভাবানুবাদ। এ ধরনের অনুবাদ মূলানুগ না হলেও সাবলীল ও সুখপাঠ্য হয়ে থাকে। যেসব ক্ষেত্রে আক্ষরিক অনুবাদ করা খুব কঠিন হয় সেসব ক্ষেত্রে ভাবানুবাদের আশ্রয় গ্রহণ করা হয়ে থাকে। [21115]

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url