আসসালামু আলাইকুম! আপনি কি হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী ও হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সম্পর্কে জানতে চান? এই পোস্টে হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী ও হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী ও হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়ুন।
তাহলে হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী ও হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন হুমায়ূন আহমেদের পরিবার ও হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যু এবং হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস হিমু সম্পর্কে। পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ গল্প নিয়েও আলোচনা করা হবে। যারা হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী ও হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস সহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্টটি।
সূচিপত্র: হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী - হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস
হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এক জন কবির নাম হলো হুমায়ুন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে একজন। হুমায়ুন আহমেদ কে চিনে না এমন কোনো পাঠক পাওয়া কষ্টকর। কম বেশি সআাই তার লেখনী গুলো পড়ে তার লেখার প্রেমে পড়ে। এমন একজন কথাসাহিত্যিক এর জীবনী সবারই পড়তে ইচ্ছে করে। কেননা তার জীবনীটাই এমন যে, যে কারো পড়তে ইচ্ছে করে।
আপনি যদি হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী না জানেন কিংবা কখনো হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী পড়ার ইচ্ছে প্রকাশ না করেন তাহলে আপনি নিজেকে কখনো পাঠক হিসেবে গণ্য করতে পারবেন না। বিখ্যাত হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী সবারই জেনে রাখা দরকার। অনেকে বহুবার খুঁজেও হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী পায়নি। তাই এই পাঠে আমরা হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী সম্পর্কে জানবো। চলুন জেনে নিই হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত।
হুমায়ুন আহমেদ ১৩ই নভেম্বর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোণার মহুকুমার মোহনগঞ্জে তার মাতা মহের বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। হুমায়ুন আহমেদ এর ছোটবেলায় নাম রাখা হয়েছিল শামসুর রহমান। যেটা হুমায়ুন আহমেদ এর বাবা তার নামের সাথে মিল রেখেছিল। তার ডাকনাম ছিল কাজল। পরবর্তীতে আবার নাম রাখা হয় হুমায়ুন আহমেদ। ১৯৫৫ সালে সিলেটের কিশোরী মোহন বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর ১৯৬৫ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক দেন।
এরপর ঢাকা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং সেখানে নন্দিত নরকে উপন্যাস টি লিখে। পেশা জীবনে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন৷ তিনি ১৯৭৩ সালে গুলকেতিন খানকে বিয়ে করেন। তার জীবনে ২০০ টিরও অধিক উপন্যাস ও গল্প লিখেছেন। তিনি তার কৃতকর্মের জন্য ১৯৭৩ সালে লেখক শিবির পুরস্কার ও ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক লাভ করে। হুমায়ূন আহমেদ আত্নজীবনী নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস হিমু সম্পর্কে জানতে পরবর্তী প্যারা গুলো অনুসরণ করুন।
হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস - হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস হিমু
হুমায়ূন আহমেদ বাংলা কথা সাহিত্যের অন্যতম কবি। তিনি একাধারে লেখক, গীতিকার, পরিচালক, অধ্যাপক, ইত্যাদি। তিনি তার জীবনে বহু উপন্যাস সহ অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন৷ তবে হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস গুলো একটু বেশি জনপ্রিয় সবার কাছে যার নাম হলো নন্দিত নরকে। তিনি এ পর্যন্ত যত গুলো উপন্যাস লিখেছেন তার অধিকাংশই পাঠকদের মন জয় করেছে। তিনি প্রথম উপন্যাস লিখেন ১৯৭২ সালে। তার অন্যান্য উপন্যাস গুলি হলো অন্যদিন, অচিনপুর, অপেক্ষা, অমানুষ, ইত্যাদি।
হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপন্যাস হলো হিমু। হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস হিমু হলো তার সৃষ্ট কাল্পনিক চরিত্র। হিমুর আসল নাম হলে হিমালয়। হিমু মূলত একজন বেকার যুবকের কাহিনি। চাকরির সুযোগ হলেও সে চাকরি করেনা বিধায় তাকে বেকার যুবক বলে। নব্বই এর দশলে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। হিমু তখনকার সময়ের যুবকের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে।এটি হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা সেরা একটি উপন্যাস।
হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ গল্প
হুমায়ুন আহমেদ তার জীবনে অনেক গল্প লিখেছেন। এসব গল্প গুলো পাঠকের কাছেও সাড়া পেয়েছে। তার জীবনের যত গুলো গল্প রচনা করেছে তার মধ্যে কিছু শ্রেষ্ঠ গল্প রয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ গল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো "গন্ধ"। এছাড়াও তার আরো যেসব শ্রেষ্ঠ গল্প রয়েছে সেগুলো হলো নিশিকাব্য, যেটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয়।
আরো পড়ুনঃ মুখে দুর্গন্ধ হলে করণীয় - মুখের গন্ধ দূর করার স্প্রে
এছাড়াও আরো যেসব ছোট গল্প রয়েছে তা হলো জলকন্যা, আমার প্রতি ভৌতিক গল্প, গল্পসমগ্র, ইত্যাদি। এসব গল্প গুলো রচনা করে তিনি অনেক খ্যাতি অর্জন করে। হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ গল্প গুলো ছোট থেকে বৃদ্ধ সবার মন কাড়ে। তো নিশ্চয়ই এই বিষয়ে জানতে পেরেছেন। এছাড়া হুমায়ুন আহমেদ এর পরিবার সম্পর্কে জানতে পরবর্তী প্যারা গুলো পড়ুন।
হুমায়ূন আহমেদের পরিবার
হুমায়ূন আহমেদের পরিবার এমন একটি পরিবার যেখানে একাধারে অনেক লেখকের জন্ম। বাপ ছেলে মুটামুটি সবাই সাহিত্য ভীরু ছিল হুমায়ূন আহমেদের পরিবার। হুমায়ূন আহমেদ এর পিতার নাম হলো শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ ও মা আয়েশা ফয়েজ। হুমায়ূন আহমেদ এর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তবে তিনি সাহিত্যনুরাগী ছিলেন। তারা বগুড়া থাকাকালীন সময়ে হুমায়ুন আহমেদ এর বাবা তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন, গ্রন্থের নাম দ্বীপ নেভা যার ঘরে।
তার দুই ভাই হলে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও আহসান হাবীব যারাও লেখক ছিল। বাংলাদেশের মধ্যে আহসান হাবীব ও জাফর ইকবাল ও খ্যাতনামা কবি হিসেবে সমাদৃত। এছাড়া তার রয়েছে তিন বোন যথা- সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহীদ ও রোকসানা আহমেদ। তার,দাদার নাম আজিমুদ্দিন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদ এর দাদা বাড়ি মৌলভি বাড়ি নামে খ্যাত। হুমায়ূন আহমেদ এর সন্তান এর নাম হলো শীলা আহমেদ।
শীলা আহমেদ বাংলাদেশের একজন অভিনেত্রী। তার অভিনয় জীবন শুর করে বহুব্রীহি নাটক এর অভিনয় এর মধ্য দিয়ে। ১৯৯৪ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী পুরস্কার অর্জন করে 'আগুনের পরশমণি' ছবিতে অভিনয় করে। তার অভিনয়কৃত সেরা টেলিভিশন নাটকটি হলো আজ রবিবার। যা নাটক দুনিয়ায় আলোড়ন ছড়িয়েছে। বড় মামা ফজলুল হক এর কাছে হুমায়ুন আহমেদ ছবি আকাঁ শেখে। পরিবার হিসেবে তাদের পরিবার অনেক বিখ্যাত। হুমায়ূন আহমেদ এর এক পরিবারেই যেন অসংখ্য বিখ্যাত ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করে।
হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যু
হুমায়ুন আহমেদ বাংলা কথাসাহিত্যিক এর অন্যতম গর্ব। তার অসংখ্য লেখনী আজ মানুষ পড়ছে। সাহিত্য জীবনে তিনি এক অনন্য শোভা ছড়িয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ থেকে এবং পরে তিনি তার লিখার জন্য অনেক খ্যাতি অর্জন করেন। তার লিখা সকল বই এখন প্রতি ঘরে ঘরে ও লাইব্রেরিতে। এই কথাসাহিত্যিক তার ৬৩ বছরের জীবনে অনেক কিছুই দিয়ে গিয়েছেন৷ অনেকে হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যু কখন সে সম্পর্কে জানেন না। হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যু বরণ করেন ২০১২ সালের ১৯ জুলাই। হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যু কালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ছিলেন। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন এমন ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন৷ এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 18801
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url