টাই বাধার নিয়ম - টাই বাধার পিক

আমাদের জেনারেশনের এমন অনেকই আছে সরকারি চাকরি করে অবশ্য কিন্তু টাই বাধার নিয়ম সম্পর্কে জানে না। তবে চিন্তার কোনো  কারণ নেই সঠিক টাই বাধার নিয়ম এবং টাই বাধার পিক এই পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরবো। চলুন তাহলে জেনে নেই সঠিক টাই বাধার পিক এবং টাই বাধার নিয়ম সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ টাই বাধার পিক- টাই বাধার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

টাই বাধার নিয়ম

আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ফরমাল পোশাক পড়তে হয়। আর চাকরি জীবীদের তো কথায় নাই প্রায় প্রতি দিনই ফরমাল পোশাক -আশাক পরতে হয়। এই ফরমাল ড্রেসের ক্ষেত্রে অপরিহার্য যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে টাই। অনেকে টাই পড়তে পছন্দ করে না আবার অনেকেই ইচ্ছে করে টাউ পড়েন না। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে কোন না কোন সময় টাই পড়তেই হয়। কিন্তু তখন আমরা টাই বাধায় বেশি একটা অভ্যস্ত না থাকায় আমরা ভালো ভাবে টাই বাধার নিয়ম গুলো জানি না এবং টাই বাধতেও পারি না। 
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে শিক্ষিত এমন কি চাকরিজীবী অনেকেই টাই বাধতে জানেন না এবং কি টাই বাধার নিয়ম পর্যন্ত জানেনা। কারো মাধ্যমে টাই বাঁধিয়ে রেখে দেন এবং অনেকদিন পর্যন্ত এক বাধাতেই চলে যায়। (বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি) যাইহোক এবার কাজের কথায় আসি। সঠিক এবং সহজ উপায়ে টাই বাধার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা যাক। 

সহজে টাই বাধার পিক নিচে দেওয়া হলো আপনি সেখান থেকে দেখে নিন। এরপরেও যদি আপনি টাই বাধার নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ বুঝতে না পারেন তাহলে এই নিয়ে আরো বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করব ।

টাই বাধার পিক

আপনি যদি সহজেই টাই বাধার নিয়ম শিখতে চান তাহলে এই টাই বাধার পিক গুলো দেখে দেখে চেষ্টা করুন। আমি নিশ্চিত আপনি টাই বাধার নিয়ম সহজেই শিখে যাবেন

স্কুল টাই বাধার নিয়ম 

ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে কিভাবে টাই পড়ে যাবে এই সম্পর্কে জানতে হলে এই প্যারাটি পড়ুন এবং ভিডিও গুলো দেখুন। উপরে টাই বাধার পিক এর মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে টাই পড়তে হয়। তবে আপনি যদি ছবি দেখে না বুঝতে পারেন তাহলে স্কুল টাই বাধার নিয়ম জানতে হলে এই ভিডিওটি দেখুন। আপনি যদি এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে টাই বাধার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এবং এই টাই বাধার নিয়ম সম্পর্কে আমি নিচে আরও কিছু ভিডিও দিয়েছে সেগুলো দেখে আপনি বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। টাই পড়ার যোগ্যতা সবারই আছে। কিন্তু আপনি যদি কাজ রেখে অন্য সময় টাই পড়েন তাহলে সবাই আপনাকে পাগল ভাবতে তাই এ সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে রাখেন। স্কুল টাই বাধার নিয়ম কিরকম তা এই পিকটার মাধ্যমে আপনি দেখে নিন।

টাই বাধার ভিডিও 

সহজেই টাই বাধার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই স্টেপ বাই স্টেপ সব নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। এখানে টাই পড়ার যোগ্যতা কেমন থাকতে হয় এই সম্পর্কে আমি নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। টাইপ সহজে টাই বাধার নিয়ম জানার জন্য আপনি এই ভিডিওতে ক্লিক করুন। এই ভিডিওতে আপনাকে সহজেই টাই বাধার নিয়ম শিখিয়ে দিবে। এরপর আরো কিছু ভিডিও দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন। আপনি যদি সহজ নিয়মে নিজের টাই নিজেই বাঁধতে চান তাহলে এই ভিডিওটি দেখুন। আপনি যদি ১০ মিনিটের মধ্যে টাই বাধার নিয়ম জেনে শিখতে চান তাহলে এই ভিডিওটি দেখুন।

টাই পরার যোগ্যতা

 টাই ঝুলানোর অধিকার নাকি শুধু গ্রাজুয়েটদেরই আছে। অর্থাৎ যারা সরকারি/ বেসরকারি /বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেছেন তারাই শুধু গলায় টাই ঝুলাতে পারবেন। টাই ঝুলাতে পারলে ও বর্তমানে ব্যাচেলররা কিন্তু বাড়ির মালিকদের জন্য আতঙ্ক। বাসা ভাড়া দিতে চায় না কেউ। কিছুদিন পর ব্যাচেলরদেরকে কেউ  মেয়েও বিয়ে দিয়ে দিবে না।
বাড়ির মালিক কতবার জিজ্ঞেস করলো- ভাই, আপনি কি ব্যাচেলর? 
-আমি বললাম: না ভাই আমি মাস্টার্স।
-তিনি বললেন: না মানে, বউ আছে কিনা জানতে চাইতেছি?
-আমি বললাম: আলহামদুলিল্লাহ, নিকাহ সেই ছোট বেলাতে সেরে নিয়েছি। এমনকি আমাদের গোষ্ঠীতেও কেউ ব্যাচেলর নেই।
-তিনিও বললেন: আলহামদুলিল্লাহ।

টাই কিন্তু কেজি স্কুলের ছাত্র- ছাত্রীরাও গলায় ঝুলায়। আমার ভাতিজা ছোটটা প্যান্ট না পড়ালেও টাই পড়তে ভুলে না। ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে মার্কেটিং এ জব করে তারা টাই একটা গলায় দেয় আরেকটা পকেটে নেয়। কারণ হাত মুছতে মুছতে একটা ময়লা হয়ে গেলে যেন আরেকটা ইউজ করা যায়। আসলে যোগ্যতার বলে টাই পড়া হয় না। কিছু অফিসে এটি রুলস। আবার অনেকে স্টাইল করে পড়ে। 

আবার অনেকে সৌন্দর্য এ খাতিরে টাই পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে টাই পরে ভালো ব্যক্তিত্ব এর সম্মান পাওয়া যায় সেই কারণেই টাই পড়া। সুতরাং টাই পড়ার জন্য আলাদা কোন যোগ্যতা লাগেনা। টাই পড়ার যোগ্যতা এবং টাই বাধার নিয়ম সম্পর্কে জানার পর আমরা টাই এর ইতিহাস সম্পর্কে একটা নূণ্যতম ধারণা দিবো যে টাই এর আবিষ্কার কিভাবে হলো এই সম্পর্কে। 

টাই এর ইতিহাস 

টাই বাধার নিয়ম বা টাইয়ের ইতিহাস কিভাবে আবিষ্কার হয়েছে এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে চলেছি। টাই বা গলা বন্ধনী ছাড়া যেন করপরেট দুনিয়া কল্পনা করাই দায়। কিন্তু এই টাই এলো কিভাবে এই টাই বাধার নিয়ম আবিষ্কার করল কে? ১৯৭৪ সালে চীনের জিয়ানে পোড়ামাটির কিছু ভাস্কর্য খুঁজে পেলে টাই এর নতুন এক ইতিহাস উন্মোচিত হয়।এই ভাস্কর্য ছিল চীনের প্রথম সম্রাট কিং শি হুয়াং এবং তার সৈন্যদের গুলোর পরনে ছিল ইউনিফর্ম আর গলা বন্ধনী। 

তবে সেই গলা বন্ধনী ঠিক আজ কালকার টাই এর মত নয়, অনেকটা মাফলারের মতো। এক দল গবেষণার ধারণা করেন, চিনেই খ্রিস্টপূর্ব ২১০ শতকের দিকে টাইয়ের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। গলা বন্ধনীর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে ১৬৫০ সালে। তখন ক্রোয়েশিয়ার মানুষেরা আদলে স্কার্ফ ব্যবহার করত। যা ছিল তাদের সেনাবাহিনী সদস্যদের পোশাকের একটি অংশ। গলা বন্ধনীকে ক্রোয়েশীয় ভাষায় বলা হতো 'ক্রাভাট'। ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের আমলে এই 'ক্রাভাট' ব্যবহৃত হতো তার আদালতে। 

১৮১৫ সালে করা শেষ সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের আমলে প্রথমবার ক্রাভাটের বদলে টাই নাম ব্যবহার করা হয়। শিল্প বিপ্লবের সময় ইউরোপ জুড়েই টাইয়ের প্রচলন শুরু হতে থাকে। আর যুক্ত রাজ্যে সকলের পোশাকের সঙ্গে 'এস্কট টাই' একটি মানে রূপ নেয় ১৮৮০ সালে। ১৯২০ সালে জেসি ল্যাংসডোর্ফ নামে নিউইয়র্কের একজন দর্জি টাই এর একটি পরিপূর্ণ রূপ দেন। তিনি নিজের নামে টাইয়ের ডিজাইন প্যাটেন্ট করিয়ে রাখেন। বর্তমানে যে সব স্টাইলিশ টাই দেখা যাচ্ছে সেগুলো মূলত ল্যাংডোর্ফের টাইয়ের নকশা অনুকরণেই তৈরি।

টাই এর উৎপত্তি 

টাই এর উৎপত্তি কিভাবে হলো এই বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো। প্রচলিত আছে যে ১৬১৮ সালে অটোম্যান সাম্রাজ্যের বিজয়ের পর ক্রোয়েশিয়া (অস্ট্র- হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ) থেকে ক্র্যাক রেজিমেন্ট বা ক্রোয়েশিয়ান সামরিক ফ্রন্টিয়ার 

তারপর প্যারিস পরিদর্শনের রাজা লুই চতুর্দশ এর সামনে চকচকে গলা বন্ধনী পরে নিজেদের উপস্থাপন করেন। ক্রোয়েশিয়া থেকে ক্রোট এবং ক্রোট থেকে ক্রাভাট এবং এই ক্রাভাট থেকেই পরবর্তীতে টাই শব্দের প্রচলন। কোথাও কোথাও প্রচলিত আছে যে হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এট সেফ বা ওয়েটারদের জন্য গলা বন্ধনী বা টাই এর রীতি প্রচলিত ছিলো। 

বিভিন্ন রকমের টাই এর মধ্যে নেক টাই, এস্কট টাই, বো টাই, বোলো টাই, যিপার টাই অন্যতম। বছরের ১৮ অক্টোবর তারিখটি ক্রোয়েশিয়ারা আন্তর্জাতিক টাই দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। পাশ্চাত্যের দেশ গুলোতে প্রচুর শীত থেকে গলা অংশকে রক্ষা করতে নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করল এক টুকরো কাপড়। 

ধীরে ধীরে সেই কাপড়ের টুকরোটি বিশেষ এক কায়দায় হয়ে উঠলো স্কার্ফ। উনিশ শতকের শুরুর দিকে জেসে ল্যাংসডর্ফ নামে আমেরিকান এক ভদ্র লোক স্কার্ফটাকে ডান দিকে ত্রিকোণ করো কেটে দুই পাশে সমান ভাবে ঝুলিয়ে করে দিলেন টাই।21115]

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url