হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে - হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ

হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে - হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে আমি হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে ও হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য আপনাদের নিকট পাঠাবো। চলুন তাহলে হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে ও হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ দেখে নেয়া যাক। 

হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে ও হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ ছাড়াও আপনাকে আরো জানানো হবে হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন, জিব্রাইলের ডানা কয়টি, জিব্রাইল আঃ গল্প, জিব্রাইল আঃ এর ডানা, জিব্রাইল আঃ এর সেজদা সম্পর্কে। জিব্রাইল আঃ এর সেজদা, জিব্রাইল আঃ এর ডানা, জিব্রাইল আঃ গল্প গুলো পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।

পেজ কনটেন্ট সূচিপত্র: হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে - হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ  

হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে 

যারা জানতে চেয়েছেন হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে। তাদেরকে এখন বলবো হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে। হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে তা জানতে চাইলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে। 

হযরত জিবরাঈল (আঃ) হলেন একজন ফেরেশতা। প্রধান ৪ জন ফেরেশতার মধ্য  তিনি একজন। তিনি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ আরো অন্যান্য নবীদের নিকট ওহি নিয়ে আসতেন। ওহি অর্থ বার্তা।  

আরো পড়ুন: মুখে দুর্গন্ধ হলে করণীয় - মুখের গন্ধ দূর করার স্প্রে

হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে আশাকরি তা বুঝতে পেরেছেন। এরপর আরো জানতে পারবেন হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ কি, হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন, জিব্রাইল আঃ গল্প, জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা, জিব্রাইল আঃ এর সেজদা। হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন, জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা, জিব্রাইল আঃ এর সেজদা, জিব্রাইল আঃ গল্প জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন এবং জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা 

হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন এবং জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা সম্পর্কে এখন বলা হবে। অনেকেই জানতে চেয়েছেন হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন এবং জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা সম্পর্কে। যারা হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন এবং জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা এই ধাপটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা এখন আমি বলবো হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন এবং জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা। 

প্রথমে বলবো হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন। এরপর বলবো জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা। চলুন তাহলে দেখে নেই হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন এবং জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা। 

হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন 

হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন এর উত্তর হলো জিবরাঈল আঃ যেকোনো আকৃতি ই ধারণ করতে পারেন। তিনি কখনো মানুষের আকৃতি ধারণ করতেন। আবার কখনো ফেরেশতার আকৃতি ও ধারণ করতেন। তার নিজস্ব আকৃতি রয়েছে।  

ইবনে মাসউদ হতে বর্ণিত, 'তিনি সবুজ রেশমী (ডানাবিশিষ্ট) জিবরাঈল কে দেখেছেন দিগন্ত ঢেকে রেখেছেন।' (বুখারী ৩২৩৩, ৪৮৫৮ নং) হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ৫৮, সহিহ হাদিস। 

আরো পড়ুন: ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ- ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করুন

এই হাদিস টি থেকে বোঝা যায় যে জিব্রাইল আঃ এর সবুজ রঙের রেশমী ডানা ছিল যেটা দিয়ে সে দিগন্ত ঢেকে রাখতো। তার পায়ের পাতাও ছিল সবুজ। তার পায়ের পাতা সবুজাভ পাথরের মতো চমকায়। হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন তা হয়তো আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন।

জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা 

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "আমি জিবরাঈল কে দেখেছি এবং তার ছিল ৬০০ টি ডানা।" তিনি আরো বলেন যে তার ঐ ৬০০ টি ডানা শুধু ছড়ানোই থাকতো না। ঐ ৬০০ টি ডানা হতে প্রতিনিয়ত মণি মুক্তা ঝড়তো। জিব্রাইলের ডানা কয়টি বা জিব্রাইল আঃ এর ডানা সম্পর্কে আপনি হয়তো জানতে পেরেছেন। জিব্রাইলের ডানা কয়টি ছাড়াও এরপর আরো জানতে পারবেন জিব্রাইল আঃ গল্প, জিব্রাইল আঃ এর সেজদা সম্পর্কে। জিব্রাইল আঃ এর সেজদা সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ

হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ কি তা অনেকেই জানেন না। হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ কি তা জানতে চাইলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ:

হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ এর কাজ হলো নবী রাসূলদের নিকট ওহি বা বার্তা পাঠানো। তিনি এক নিমিষেই পাঁচশত বছরের রাস্তা অতিক্রম করে ফেলতেন। তিনি রমজান মাসে নবীজি সাঃ এর নিকট বেশি আসতেন। ওহুদের যুদ্ধের সময় যে দুইজন ফেরেশতা নবীজি সাঃ কে হেফাজত করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন হলেন জিবরাঈল আঃ। মেরাজের সময় নবী করীম সাঃ এর সফরের সঙ্গী ছিলেন জিবরাঈল আঃ।

জিব্রাইল আঃ গল্প 

জিব্রাইল আঃ গল্প বলে শেষ করা যাবে না। আল্লাহর প্রেরিত সকল পয়গম্বরদের সাথেই জিব্রাইল আঃ গল্প রয়েছে। একটি হাদিসে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবীর এসেছিলেন বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে তিনশত পঞ্চাশ জন ছিলেন রাসূল বলে জানা যায়। তাদের প্রত্যেকের সাথেই জিব্রাইল আঃ গল্প রয়েছে বলে জানা যায়। 

ইউসুফ আঃ কে যখন তার ভাইয়েরা কূপে ফেলে দিয়েছিল। তখন তাকে সেই কূপ হতে জিবরাঈল আঃ উদ্ধার করেছিলেন। জিবরাঈল আঃ তখন তাকে হাতের ওপর ধরে এমন ভাবে তুলেন যেন সে সেখান থেকে পড়ে গিয়ে ব্যাথা না পায়।  

তিরমিজি শরীফের একটি সহীহ হাদিস হতে পাওয়া যায় একবার জিবরাঈল আঃ হযরত মুহাম্মদ সাঃ নিকট আসলেন এবং তাকে বললেন, "ফেরাউনের মৃত্যুর দিন আপনি যদি আমাকে দেখতেন! ফেরাউন যখন সমুদ্রের তলদেশে ডুবে মারা যাচ্ছিল, আমি গিয়ে তাকে পেলাম এবং তার মুখে কাদা দিতে লাগলাম। আমি ভয়ে ছিলাম সে যদি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে ফেলে আর আল্লাহ যদি তাকে ক্ষমা করে দেয়।" কারণ জিবরাঈল আঃ জানতেন যে আল্লাহ তায়ালা এতো দয়ালু তিনি ফেরাউন কে ক্ষমা করতেও দ্বিধাবোধ করেন না। আল্লাহ তায়ালা জিবরাঈল আঃ কে বলেন, হে জিবরাঈল, আমার ইজ্জত এবং গৌরবের কসম! সে যদি আন্তরিকতার সহিত ক্ষমা চাইতো তবে আমি তাকে ক্ষমা করে দিতাম! তোমার কাদা নিক্ষেপ ও তখন কোনো কাজে আসতো না।  

আরো পড়ুন: ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

জিব্রাইল আঃ গল্প এরকম আরো অসংখ্য রয়েছে। জিব্রাইল আঃ গল্প গুলোর মাত্র দুটি আমি তুলে ধরেছি। জিব্রাইল আঃ গল্প টি আশাকরি আপনার ভালো লাগবে। এরপর আরো জানতে পারবেন জিব্রাইল আঃ এর সেজদা কাহিনী।

জিব্রাইল আঃ এর সেজদা  

জিব্রাইল আঃ এর সেজদা নিয়ে একটি কাহিনী রয়েছে। জিব্রাইল আঃ এর সেজদা সম্পর্কে এখন জানতে পারবেন। জিব্রাইল আঃ এর সেজদা সম্পর্কিত কাহিনী জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। জিব্রাইল আঃ এর সেজদা: 

জিবরাঈল আঃ কে আল্লাহ তায়ালা তৈরি করার পর তিনি আল্লাহ তায়ালাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন রেখে আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে বেশি কিসে খুশি হন। তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন যে তার বান্দারা যখন তাকে সিজদা করেন তখন তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হন। এরপর জিবরাঈল আঃ আল্লাহ তায়ালাকে ৩০ হাজার বছর ধরে সিজদা করতে থাকেন। জিবরাঈল আঃ ভাবেন যে তার চেয়ে এত বড় সিজদা হয়তো আর কেউ করতে পারবেন না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে কোনো খুশির খবর তার নিকট আসেনি। তখন জিবরাঈল আঃ আল্লাহ তায়ালাকে জিজ্ঞেস করলে 

আল্লাহ তায়ালা তাকে আরশের দিকে তাকাতে বলেন। জিবরাঈল আঃ আরশের দিকে তাকিয়ে দেখলেন আল্লাহর নূর দিয়ে লেখা, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ।" তখন জিবরাঈল আঃ আল্লাহ কাছে জানতে চাইলেন, "হে আল্লাহ, আমার সিজদার সাথে এই কালিমার কি মিল?" তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, "জিবরাঈল শোনা আমি এই দুনিয়া তৈরি করব, দুনিয়ার মানবজাতি ও জিনের হেদায়েতের জন্য আমি লক্ষ লক্ষ নবী ও রাসূল পাঠাবো। তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী হিসেবে মুহম্মদ কে পাঠাবো। 

শেষ নবীর উম্মাতদের ওপর আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করবো। এবং প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে সতেরটা রাকাত ফরজ করা হবে। প্রতিটা রাকাতে দুটি করে সিজদা থাকবে। সেই একেকটি সিজদায় শেষ নবীর উম্মাতেরা তিন বার করে "সুবহানা রাব্বিয়াল আলা" বলবে। তুমি জিবরাঈল ৩০ হাজার বছর সিজদা করে মে নেকি লাভ করেছো আমি এর থেকেও ৪০ হাজার গুণ বেশি সওয়াব লিখে দিবো ঐ উম্মতদের আমল নামায়।" 

শেষ কথা: হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে - হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ 

আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন  হযরত জিবরাঈল (আঃ) দেখতে কেমন, জিব্রাইলের ডানা কয়টি, জিব্রাইল আঃ গল্প, জিব্রাইল আঃ এর ডানা, জিব্রাইল আঃ এর সেজদা, হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে, হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ  সম্পর্কে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এতে করে তারাও জিব্রাইল আঃ এর সেজদা, জিব্রাইল আঃ গল্প, গুলো জানতে পারবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ২২০৭০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url