ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়- ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় হয়
প্রিয়ো পাঠক আপনি কি ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে চান? এই পোস্টিতে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় হয় এবং ওয়েবসাইট করার নিয়ম। তাহলে জেনে নিন ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় হয় এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়- ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়
ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমে হলো গুগল অ্যাডসেন্স। অ্যাডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। ওয়েবসাইট ব্লগ নিয়ে পছন্দের বিষয়ে লেখালেখি করে আয় করা যায় এবং এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ব্লগ লিখে সফল হতে হলে আপনাকে ওয়েবসাইট ও এসইও (চার্জ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
ব্লগিং শেখার জন্য ইউটিউব বা গুগলে খুঁজলে অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে। সেগুলো থেকে একটি বিষয় বাছাই করতে হবে, এমন বিষয় বাছাই করে নিতে হবে যা নিয়ে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ আছে। ওয়েবসাইটে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ট্রাফিক আসে এবং google এর গাইড লাইন (এসইও) মেনে চলেন তবে আপনি বিজ্ঞাপনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নতুন ওয়েবসাইটকে নানারকম আধেয় বা কনটেন্ট দিয়ে সাজাতে হবে। যেখানে সার্চ ইঞ্জি, সোশ্যাল মিডিয়া, ডাইরেক্টর ও রেফারেল সোর্স থেকে ব্যবহারকারী বা ট্রাফিক আসে। গুগল এডসেন্স এর একটি একাউন্ট তৈরি করে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার কিছু দিনের মধ্যে গুগল আপনার সাইটটি পর্যালোচনা করবে। এরপর মেইলে জানাবে সাইটটি গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য উপযোগী কিনা।
উপযোগী হলে আপনার সাইটে গুগল বিজ্ঞাপন দেখাবে। আর আপনার সাইট থেকে আয় হবে। সাধারণত বাংলা বিষয় সিপিসি (কস্ট পার ক্লিক) কম থাকে। কারণ বাংলা কনটেন্ট এর বিজ্ঞাপন মূল্য কম এবং শুধু বাংলাভাষীরা এ ধরণের সাইটে আসেন। বাংলা কনটেন্ট এর সিপিসি কম হওয়ার কারণে আয় কম হবে। ইংরেজি বিজ্ঞাপনের মূল্য হার বেশি এবং ব্যবহারকারী ও বেশি। ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় হয় এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার আরো উপায় নিয়ে নিম্নে বলা হলো।
ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় হয়
ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় হয় এ বিষয়ে আস্তে আস্তে ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে যাবেন তবে এখন ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় এর কয়েকটি উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো-
০১। নিজের পণ্য বিক্রি করে আয়ঃ অফ লাইন আপনার কাছে যতটা কঠিন, অনলাইন ততটাই সহজ। কারণ অফলাইন দোকান ভাড়া, সরকারি ছুটি, অসুস্থতা, সুবিধা অসুবিধায় দোকান বন্ধ থাকলে আপনার ইনকাম নিশ্চিত বন্ধ থাকে। আর যদি ব্যবসা হয় অনলাইন ভিত্তিক, তাহলে নেই কোন দোকান ভাড়া, তাছাড়া আপনি বাড়িতে থাকুন/ঘরে, অসুস্থ হন কিংবা সুস্থ সর্বদাই আপনার ব্যবসা চালু রাখতে পারবেন।
০২। ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়ঃ আপনার সাইডে যে কোন বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য প্রথম শর্ত হলো সাইটে ভিসিটর/ ট্রাফিক উল্লেখযোগ্য পরিমাণ থাকতে হবে। তবে গুগল অ্যাডসেন্স জন্য কোনো নির্ধারিত বিষয়ের ওপর ওয়েবসাইট জরুরি নয়। তবে গুগল এডসেন্স এর কিছু শর্ত আছে, সেগুলো মেনে যদি আপনি আপনার সাইট পরিচালনা করেন এবং google অ্যাডসেন্স আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য এপ্রোভ করে তাহলে গুগল এডসেন্স থেকে খুব সহজে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
০৩। এড এস্পেস সেলঃ যখন আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়বে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট মানুষের কাছে শো করার জন্য আপনার ওয়েবসাইট এর খালি স্পেস গুলো এড দেয়ার জন্য ক্রয় করতে চাইবে। তাদের কাছে স্পেস বিক্রি/ভাড়া দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
০৪। ওয়েবসাইট ট্রাফিক বিক্রি করেঃ বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট ট্রাফিক বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে টাকা দিবে, যেন আপনার সাইটে তাদের ওয়েবসাইট এর লিংক দিয়ো দেন যেন লোকেরা লিংকটিতে ক্লিক করে তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে।
০৫। ডাইরেক্ট স্পন্সর্ড আর্টিকেল লেখার মাধ্যমেঃ বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রডাক্ট সম্পর্কে আর্টিকেল লিখতে বলে থাকে এর মাধ্যমে আপনি তাদের থেকে একটি অংক ইংকাম করতে পারবেন।
০৬। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে তাদের প্রডাক্ট বিক্রি করে দিতে বলবে। প্রতিটি প্রডাক্ট থেকে তাড়া আপনাকে পারসেন্টিস দিবে।
বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয়
বাংলা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার মাধ্যম গুলোর জনপ্রিয় বিষয় ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি। কিন্তু কোন মাধ্যমে আয় করাটা সহজ? আপনি যদি বাংলা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে চান বা খুব সহজেই আয় করতে চান তাহলে একটাই মাধ্যাম সেটি হলো গুগল অ্যাডসেন্স। গুগল অ্যাডসেন্স ছাড়া অন্য এমন কোন মাধ্যম নেই যেগুলোতে আয় করা সহজ।
আরো পড়ুনঃ ভারতের সাথে কয়টি দেশের সীমান্ত রয়েছে
যেহেতু গুগল অ্যাডসেন্স থেকে অনলাইনে আয় করা সহজ এবং খুব বেশি পরিমাণে আয় করা সম্ভব তার জন্য আবার আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্সে ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইট থেকে যদি আপনি গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় হয় সে বিষয় গুলো জেনে নিন।
- ওয়েবসাইট এর প্রত্যেকটি আর্টিকেল ইউনিক হতে হবে। অন্য কোথাও প্রকাশ হয়েছে এরকম কনটেন্ট প্রকাশ করলে গুগল অ্যাডসেন্স পাবেন না।
- ওয়েবসাইটে ইমেজ গুলোকে অবশ্যই নিজ থেকে তৈরি করে দিতে হবে অথবা অন্য কোথাও থেকে নিয়ে সেগুলো ভালোভাবে এডিট করতে হবে যাতে অন্য কোনো মালিক সেটা দাবি করতে না পারে।
- আপনার ওয়েবসাইটে নির্ধারিত কিছু থাকতে হবে। যেমন যোগাযোগ ওয়েব সাইট সম্পর্কে প্রাইভেসি পলিসি, গোপনীয়তার নীতিমালা সম্পর্কে।
- অতঃপর ২০ থেকে ৩০ টি আর্টিকেল থাকতে হবে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম
ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে সাইটের নাম ঠিক করা। আর এই নামে ডোমেইন খালি আছে কিনা তা দেখা। একটি সুন্দর ডোমেইন নাম নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার আগে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। তাই ওয়েবসাইট তৈরি শিখে নিন।
১। ওপেন কার্ট: কেনাকাটা করার মুক্ত সফটওয়্যার এর মধ্যে ওপেন কার্ট একটি সহজে ব্যবহার যোগ্য এবং আকর্ষণীয় নকশা করা যায় এটি দিয়ে।
২। উকমার্স: নতুন উদ্যোক্তদের জন,হচ্ছে এটি সহজেই ব্যবহার করা যায়। প্রোগ্রামিং সংকেত বা ডেটাবেইস জ্ঞান ছাড়াই শুধু সফটওয়্যার চালু করেই ই- কমার্সের সব সুবিধা পাওয়া যাবে।
৩। জেনকার্ট: অনেকেরই পছন্দের শীর্ষে রয়েছে জেন কার্ট নামের এই কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (সিএমএস)
৪। ওএসকমার্স: ওপেন সোর্স কমার্স বা ওএসকমার্স শীর্ষ জনপ্রিয় অনলাইন স্টোর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার।
অনলাইন পত্রিকা থেকে আয়
অনলাইনে এই সময় অনেক বেকার লোকের কর্মসংস্থানে হয়েছে। তৈরি হয়েছে ঘরে বসে উপার্জনের নানা পথ। অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন মাধ্যম তথা সহজে কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায় এই বিষয়ে বিস্তারিত থাকছে। অনলাইনে আয়ের জন্য দক্ষতা থাকা অত্যন্ত জরুরি। আর অনলাইন কাজের ব্যাপ্তি কিভাবে বিস্তৃত হয় উঠেছে তাতে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে তৈরি করে নিতে না পারলে অভিজ্ঞ ও দক্ষ দের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা টাই বেশি।
আরো পড়ুনঃ টাই বাধার নিয়ম - টাই বাধার পিক
তাই সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারলেই লাভবান হওয়া যাবে। ভুলে গেলে চলবে না, ইন্টারনেটে একদিকে যেমন কাজের কোন অভাব নেই। অপরদিকে কাজ করার যোগ্য ব্যক্তিরও চাহিদার শেষ নেই। আবার অনলাইনে আয় করা নানা সুযোগ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার মুখে পড়তে হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
তবে কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে যা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। জেনে নিন এসব সম্পর্কে এলিফিয়েট মার্কেটিং এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কোম্পানি প্রচার করবেন আর যখনই পণ্য বিক্রি হবে তখন ওর থেকে কমিশন পাবেন। অনেক আধুনিক আর ভালো আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ চিনতে পারবে যে আপনি একজন এলিফিয়েট মার্কেটার। আপনি অনলাইনে যেসব বিষয়ে কাজ করতে পারেন তার কিছু লিস্ট দেওয়া হলো-
- প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আয়।
- ফ্রিল্যান্সিং।
- নিজস্ব ওয়েবসাইট।
- ইভেন্টের প্রচারণা।
- আর্টিকেল লিখে আয়।
- সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
- ওয়েব ডিজাইন।
- ইন্টারনেট সার্ভে করে আয়।
- বিজ্ঞাপন দেখে আয়।
- ডেটা এন্ট্রি।
- চেকে টাকা পাওয়া।
ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি
এতোক্ষণ ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় হয় এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার মাধ্যম বলে দিয়েছি। এখন ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার নিয়ে কিছু কথা বলা হলো। তাহলে আর দেরি না করে দেখুন কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এবং সেখান থেকে আয় করবেন। পূর্ণাঙ্গ ব্লক তৈরি করতে আমার লেখা উপরের প্যারা গুলো পড়ুন।
ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি
ফ্রীতে একটি ওয়েবসাইট তৈকরে আয় করার অনেক রাস্তা খোলা আছে। আপনি তার যেকোনো একটি অবলম্বন করে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে পারেন এবং সেখান থেকে প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ভালো মানের প্রফেশনাল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে শুধুমাত্র চিন্তা করলে হবে না।
প্রয়োজন হবে কিছু টাকা খরচ করা বা একটু ভালো ডেভেলপার দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা শিখে নেয়া। তাই বলে ফ্রীতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না এমনটা নয়। আপনি চাইলে ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেহেতু আপনি ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় হয় করতে চান সেহেতু কিছু সীমাবদ্ধতা মেনে চলতে হবে। [21115]
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url