ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয়

ব্লাড ক্যান্সারের কথা শুনে অনেক ভয় পাচ্ছেন? এই ব্লাড ক্যান্সারের কথা শুনলেই মনে পড়ে যায় মৃত্যুর কথা। আর কোন ভয় নেই আমরা নিয়ে চলে এসেছি ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়। বর্তমানে এই যুগে চিকিৎসার উন্নতি এতটাই বেড়ে গেছে যে চিকিৎসার মাধ্যমেও মানুষের এই ব্লাড ক্যান্সার থেকে নতুন একটা জীবন ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব। আজকে আমরা আলোচনা করব ব্লাড ক্যান্সার কি,ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার কি কি এবং ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলো।


আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারবেন এই ক্যান্সার হলে কি কি হতে পারে এবং এই ক্যান্সার থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন। আরো অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন আমাদের এই আজকের আর্টিকেল থেকে। তাহলে চলুন দেরি না করে দেখে নেয়া যাক ব্লাড ক্যান্সার হলে কি কি উপায়ে আমরা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

পেজ সূচিপত্রঃব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয়

ব্লাড ক্যান্সারের কারণঃ

এই ক্যান্সার হল একটি বড় ধরনের রোগ বা বলতে পারেন একটি মারাত্মক রোগ। আমাদের শরীরে রক্তের তিন ধরনের কণিকা থাকে শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা। অস্থিমজ্জার মাধ্যমে আমাদের শরীরে এই রক্ত কণিকাগুলো তৈরি হয়। লিউকেমিয়া হলে আমাদের শরীরে এই ধরনের রক্ত কণিকা সৃষ্টি হয়। নারী বা পুরুষ হোক না কেন যে কোন বয়সেরই মানুষ হোক না কেন তাদের শরীরে লিউকেমিয়া এই রোগটি হতে পারে।

আর ও পড়ুণঃরক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি করণীয়

ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় তা আমাদের জানা নেই। তাহলে চলুন এর কারণ গুলো জেনে নি। মানুষের শরীরে ব্লাড ক্যান্সার হলে যে সকল কারণগুলোকে দায়ী করা হয় তা হলঃ কেমিক্যাল বা রাসায়নিক, কীটনাশক জাতীয় ওষুধের, কারখানার ক্যামিকেল, ভেজাল জাতীয় খাবার এই সকল জিনিসগুলো ব্যবহার করে থাকলে ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এদের কাছ থেকে আমাদের সব সময় দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয়ঃ

যে কোন খাবার দেখলেই খিদে পায়, এই কথাটি মিথ্যে নয়। সব সময় আমাদের উল্টোপাল্টা বা ভেজাল জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। ডিম ফ্লেভার খাবার দেখলে লোভ সামলাতে পারে না এমন মানুষ খুঁজে পাই মুশকিল। কিন্তু শাকসবজি দেখলে মুখে অরুচি হয়ে যায়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের ষুসম জাতীয় খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

কিন্তু এখন প্রায় সব মানুষেরই ভাজা পুরা জাতীয় যেমন মুড়ি মাখানি, চানাচুর, সিঙ্গারা,পিয়াজি আরো ইত্যাদি ভাজা পোড়া জাতীয় খাবারের উপর ঝুঁকি বেশি। ভাজা পড়া জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে নিয়ে আসতে পারে ক্যান্সারের মতো রোগ। অনেক ধরনের খাবার আছে যা খেলে জীবনকে পাল্টে ফেলতে পারে ছন্দপতন।যে সকল খাদ্য আমাদের খাদ্যের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

যে সকল খাবার থেকে দূরে থাকবেন তা হলোঃ

  1. ভাজাভুজি খাওয়া যাবে না
  2. পরিশোধিত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে
  3. প্রসেসড মিট খাওয়া যাবে না
  4. প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া যাবেনা

ব্লাড ক্যান্সারের পরীক্ষাঃ

সুন্দর ভাবে জীবন যাপনের জন্য রোগের অবস্থান সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। যে রোগগুলো শরীরে বাসা বেঁধে আছে আমরা যদি প্রথমেই সেই ঠিকানা জানতে পারি তাহলে সেই রোগগুলোকে নির্মূল করা সম্ভব খুব সহজেই।মনোর ব্যাধি ক্যান্সারের জন্য বিশেষ করে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যান্সারের রোগ গুলো ছড়ায় খুব ভিড়ে বা নীরবে। সেই সকল বিষয় সম্পর্কে আমাদের সচেতনা থাকতে হবে।

আর ও পড়ুণঃকিডনির পাথর দূর করার উপায়

এমন সময় গিয়ে আমাদের শরীরের রোগ ধরা পড়ে তখন আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। তখন রোগী এবং রোগীর পরিবারের লোকজন খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। যদি শুরুতেই ক্যান্সারের নির্ণয় করা হয় তাহলে ভয়াবহ মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ক্যান্সারের পরীক্ষা পদ্ধতি গুলো জানুনঃ

স্তন ক্যান্সারের জন্য যা করবেনঃ নিজে নিজেই এই পরীক্ষাগুলো করতে পারবেন। বিছানায় শুয়ে থেকে, গোসল করার সময় এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে নিজে নিজে আপনার স্তন ক্যান্সারের পরীক্ষা করতে পারবেন।

মেমোগ্রাফি করুনঃ যখন অস্বাভাবিকতা মনে হয় তখন মেমোগ্রাফি করা যেতে পারে ।এটি বলতে পারেন এক ধরনের এক্সরে পরীক্ষা। এ পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের সূক্ষ্ম পরিবর্তন বা টিউমার ও সনাক্তকরণ করা যেতে পারে।

এমআরআই করুনঃ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে স্ক্যানিং এটি নিয়মিত ভাবে করা হয় না। যদি ঝুঁকিপূর্ণ অনেক বেশি বেড়ে যায় তাহলে এম আর আই করা অনেক জরুরী হয়ে যায়।

ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়ঃ

লোহিত রক্ত কণিকা থেকে এই ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে। যেকোনো বয়সের মানুষের এই রোগটি হয়ে থাকে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগটি বেশি হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান হেড ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন যে ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার কোন কারণ নেই। কিন্তু বিশেষ কোনো কারণ আছে যা ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ দেখিয়ে দেয় যেমনঃ বিশেষ কোন কেমিক্যাল, রেডিয়েশন কীটনাশক জাতীয় এবং ভেজাল জাতীয় কোন খাবার।

বিশেষ কারণে বা নানান উপায়ে আমাদের জীবনের মধ্যে বা ক্রোমোজোমের মধ্যে মিউটেশন হতে পারে। এই মিউটেশন যদি আমাদের শরীরের ভেতরে সঠিক নিয়ম হবে কাজ না করে আর এটি যদি স্থায়ী হয়ে থাকে। আমাদের শরীরের ভেতরে অনেক জ্বীন নামে একটি জ্বীন আছে সেটা যদি একটিভেট হয়ে যায় তাহলে শরীরের ভিতরে ক্যান্সার হতে পারে।

ব্লাড ক্যান্সারের উপসর্গ ও লক্ষ্য জানুনঃ

  1. দীর্ঘদিনের জ্বর এবং ঘন ঘন জ্বর হতে পারে
  2. হাড় ব্যথা হবে
  3. কারো কারো ওজন কমে যেতে পারে
  4. স্বাভাবিকভাবে রক্তক্ষরণ হতে পারে

আবার স্ক্রিন লিভার বড় হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। দুর্বলতা এবং অনীহারের মধ্যে ওজন ও কমতে থাকতে পারে।

এ সকল লক্ষণ যার মধ্যে পাওয়া যাবে তখন ধারণা করা যায় তার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। শুধুমাত্র ব্লাড ক্যান্সারের রোগী যে সকল উপসর্গ দেখা দিবে তাই নয় অন্যান্য রোগের ও কারণে এসব অপসর্গ দেখা দিতে পারে।

এ সকল উপসর্গ যদি কারো মধ্যে দেখা দেয় তার প্রথম কাজ হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। এবং চিকিৎসক যে সকল পরামর্শ দিবেন তা নিয়মমাফিক ভাবে চলাফেরা করা। বর্তমানে বাংলাদেশের এখন প্রায় সব জায়গাতেই সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে উন্নত মানের ডাক্তার এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে তার থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায় ব্র্যাড ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য।

ব্লাড ক্যান্সার হলে কি ভালো হয়ঃ

মানুষের শরীরে প্রায় তিন ধরনের রক্ত কণিকা আছে এগুলো হলঃ লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা। অস্থিমজ্জার ভেতরে এই রক্ত কণিকাগুলো তৈরি হয় শিরা উপশিরার মাধ্যমে সব শরীরে প্রবাহিত হয় এই রক্ত কণিকা গুলো। ক্যান্সার হল লোহিত রক্ত কণিকার একটি অংশ।

আর ও পড়ুণঃকি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়

ব্লাড ক্যান্সার হলে ভালো হয় কিনা এটা নিয়ে আমরা প্রায় সবাই দুশ্চিন্তায় থাকি। ব্লাড ক্যান্সার হলেও ভালো করা সম্ভব। তার কিছু নিয়ম কারণ আছে চলুন তা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার পূর্বে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে। যেমনঃ ঘন ঘন জ্বর হবে, হাড় ব্যথা হবে, শরীরের ওজন কমে যেতে পারে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলো সমস্যা হলে আমাদের অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে।

এবং ডাক্তার সাহেব বিভিন্ন টেস্ট করে টেস্ট রিপোর্ট দেখে যেগুলো নিয়ম-কানুন এবং খাবারের লিস্ট দেবে এই নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। এতে ব্লাড ক্যান্সার হতে রক্ষা পাওয়া যাবে।

ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয়-উপসংহারঃ

আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ব্লাড ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়ার অনেক টিপস সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আশা করি এগুলো অবলম্বন করলে আপনারা ব্লাড ক্যান্সার হতে রক্ষা পাবেন। এই পুরো আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিন এবং এইরকম আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ফলো রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url