জিলকদ মাসের ফজিলত ও আমল
জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের এই আটিকেল প্রথম থেকে শেষ
পর্যন্ত পরুন।আজকের এই আটিকেলে জিলকদ মাসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে
আলোচনা করা হবে।তাহলে চলুন এই মাসের আমল ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য সম্পর্কে জেনে নি।
পেজ সূচিপত্রঃজিলকদ মাসের ফজিলত ও আমল
ভূমিকাঃ
এখন প্রায় মানুষ জিলকদ মাসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানে না।জিলকদ
মাস ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।এই মাসে অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য
রয়েছে।জিলকদ মাসে অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।এই মাস হলো দুই ঈদের মধ্যবর্তী
মাস।এই মাস হলো আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত মাস,এই মাস হলো হজ পালনের মাস।
এই মাস হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাস।এই মাস সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা দরকার।তাই
চলুন সবাই এ মাসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নি।
জিলকদ মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যঃ
একজন মুসলমান ঘরের সন্তান হিসেবে আমাদের এই মাস সম্পর্কে জেনে রাকা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।তাহলে চলুন জিলকদ মাসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে
নি।১২ টি মাসের মধ্যে ১১ তম মাস হলো জিলকদ মাস।তিন মাস হজ পালনের মধ্যে এটি হলো
দ্বিতীয় মাস।ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ যে চারটি মাস আছে তার মধ্যে এটি হলো একটি
মাস।
ইসলামের দিক দিয়ে জিলকদ মাস হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাস।আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) যে
কয়বার ওমরা করেছিলেন,তা সবকয়টি এই মাসেই পালন করেছিলেন।এই জিলকদ মাসেই বাইরাতে
রিদওয়ান এবং হুদাইবিয়ার সন্ধি সংগঠন হয়।পরবর্তী রমজান মাসের ঈদের সাওয়াল মাস এবং
জিলহজের আগের মাস হওয়ায় এটি তাৎপর্যপূর্ণ মাস এই জিলকদ মাস।
এ মাসটি হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।এই মাসে মুসলমান হিসেবে আমাদের বেশি করে
আমল করতে হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ মাস আছে তার মধ্যে জিলকদ
মাস একটি।এই জিলকদ মাসে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে গেছে।
জিলকদ মাসের আমল গুলো জানুনঃ
এই জিলকদ মাস হলো মুসলমানদের খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল করার মাস।মুসলমান হিসেবে
আমরা যদি এই মাসে বেশি বেশি আমল করে থাকি তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সব গুনাহ
মাফ করে দিবেন।কুরআনে চারটি মাসের কথা বলা হয়েছে।চারটি মাসের ভিতর এই জিলকদ মাস
হলো একটি।
জিলকদ মাসের আগের মাসগুলো জেমনি ইবাদত করার মাস,তেমনি এই জিলকদ মাসের পরের মাস
গুলো মুসলমানদের ইবাদত করার মাস।এই জিলকদ মাসে ভিন্ন ভিন্ন আমল করাও যায়।এই
আমলগুলো সম্পর্কে আমাদের জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।এই জিলকদ মাসে নমাজের পাশাপাশি
বেশি বেশি রজাও করা যায়।এই মাসের আমলগুলো মুসলমান হিসেবে আমাদের জানা অনেক
গুরুত্বপূর্ণ।
আমলগুলো জেনে নিনঃ
- এই জিলকদ মাসে ১,১৫,২০টি বা যাই যা পারেন রোজা পালন করতে পারবেন।
- সামর্থ্য অনুযায়ী আপনারা ওমরাও পালন করতে পারবেন।
- সামনে হজের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
- আপনারা কোরবানির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
- প্রতি বৃহস্পতিবার রোজাও পালন করতে পারবেন।
- এই জিলকদ মাসে বেশি বেশি নামাজ ও কোরআন পরতে পরবেন।
জিলকদ মাসের ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কে জানুনঃ
আল্লাহ তায়ালার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ চারটি মাসের মধ্যে এই জিলকদ মাসটিও পরে।আমরা
এই মাসে বেশি বেশি নামাজ,কোরআন ও রোজাও করতে পারবেন।এই জিলকদ মাসে ভিন্ন ধরনের
ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে।এই ঐতিহাসিক তাৎপর্য সম্পর্কে জানা জরুরী।আর এই আটিকেল পরলে
জানতে পারবেন এই ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কে।
জিলকদ মাসের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো দেখুনঃ
- এই জিলকদ মাসে কোন রকম যুদ্ধবিদ্রহ করা যাবে না।
- এই জিলকদ মাসেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাইয়াতে রিদয়ান।
- আমাদের নবী হযরত আলীর সাথে বিবাহ হয়েছিল ফাতেমা রাদিআল্লাহুর।
- এই জিলকদ মাসে খন্দকের যুদ্ধও অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
- আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) ২৫ জিলকদ মাসে মক্কা থেকে মদিনা গিয়েছিল।
- জিলকদ মাসের ২৫ তারিখে আমাদের নবী হযরত ঈসার জন্ম হয়েছিল।
উপসংহারঃ
জিলকদ মাস একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।এই মাসে প্রয় অনেক ঘটনা
ঘটেছে।এই মাসটি হলো মুসলিমদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস।এই মাসে মুসলমানদের বেশি
বেশি আমল করার সুযোগ করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা।আমরা পুরো আটিকেল পরে
জিলকদ মাসের অনেক আটিকেল সম্পর্কেই তো জানলাম।
ওপরে আমরা যেগুলো আমল সম্পর্কে জানলাম,তা একজান মুসলমান হিসেবে আমাদের এই আমল
গুলো পালন করা খুবই জরুরী।আর এই রকম ভালো ভালো ইসলামিক আমল সম্পর্কে জানতে চাইলে
আমাদের LIFE FREELANCER এই ওয়েবসাইট টি ভিজিট করতে পারেন।সম্পূর্ণ আটিকেলটি পড়ার
জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url