জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধান

জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধানগুলি জানতে চাচ্ছেন?আজকের এই আটিকেলে চুল নখ কাটার বিধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।আপনারা জদি এই বিধান ও ফজিলত জানতে চান তাহলে আজকের এই আটিকেল আপনার জন্য।একজন মুসলমান হিসেবে এই বিধান গুলো জানা আমাদের জন্য খুবই দরকার।


আল্লাহ তায়ালার রাখা মাস গুলোর মধ্যে জিলহজ্জ মাস একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস।আর এই মাসের ফজিলত গুলো আমাদের জেনে রাখা দরকার।এই মাসের চুল নখ কাটার বিধানগুলো আলোচনা করা হলো।চলুন তাহলে জেনে নি এ মাসের চুল নখ কাটার বিধান গুলি।

পেজ সূচিপত্রঃজিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধান

চুর নখ কাটার বিধানঃ

আল্লাহ তায়ালা রাখা মাসগুলোর মধ্যে জিলহজ্জ মাস হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাস।হিজরী বছরের মাসগুলোর মধ্যে আল্লাহ তায়ালার গুরুত্বপূর্ণ মাস হলো চারটি আর এই চারটি মাসের মধ্যে একটি হলো জিলহজ্জ মাস।এই জিলহজ্জ মাসে মুসলসানদের দ্বীতিয়ো ঈদ,মানে ঈদউল আজহা পালন করা হয়।

এই জিলহজ্জ মাসে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের অনেক আমল করার সুযোগ করে দিয়েছেন।আর এই আমল করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা সব গুনাহ মাফ করে দিবেন।আল্লাহ তায়ালা যে সকল পাঁচটি সর্ত দিয়েছিলেন তার ভিতরে একটি হলো হজ,আর এই হজ জিলহজ্জ মাসেই পালন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ টাই বাধার নিয়ম - টাই বাধার পিক

এই জিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটা হয় কি না মানুষ এ সকল বিষয়ে ধারনা রাখে না।যে ব্যাক্তি আল্লাহ তায়ালার নামে কুরবানী দিবেন সেই ব্যাক্তির এ সকল বিধি বিধান নিয়ে জানা খুবই জরুলী।চুল নখ কাটার আগেই কোন ব্যাক্তি কোরবানি করার নিয়ত করে ফেলে তাহলে ওই ব্যাক্তি চাঁদ উঠা থেকে শেষ পর্যন্ত ও কুরবানী করার আগ পর্যন্ত তার শরীরের কোন চুল বা নখ কোনটাই কাটতে পারবে না।

কুরবানীর আগে চুল নখ কাটা যায়ঃ

চুল নখ কাটা যাবে কি না উপরে পড়ে হালকা কিছু ধারনা পেয়েছি।আল্লাহ তায়ালা বছরে দুইটা ঈদ দিয়েছেন আর এর ভিতরে হলো একটি কুরবাবী ঈদ।এই ঈদ হলো একটি মুসলমানদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান।আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য এই কুরবানী ঈদে আল্লাহর নামে সকল মুসলিম কোরবানি করে থাকেন।

আর ঈদের আগে চুল নখ কাটা যাবে কি না তারও কিছু সত্য আছে।একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের এই সত্য গুলো জানতে ও মেনে চলতে হবে,কারন আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আমাদের যেগুলো নিষেধ করেছে সেগুলো পালন না করে যেগুলো আদেশ করেছে সেগুলো পালন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ হুমায়ূন আহমেদ আত্মজীবনী - হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাস

আল্লাহ তায়ালা বলেই দিয়েছেন যে সকল ব্যাক্তি কোরবানি দিবেন।সে সকল ব্যাক্তির ঈদের চাঁদ উঠা থেকে শুরু করে কুরবানী শেষ না হওয়া পর্যন্ত নক বা চুল কাটা যাবে না।আর অন্য হাদিসে প্রিয়নবী মুহাম্মদ এরশাদ করেন,যে সকল ব্যাক্তি ঈদের চাঁদ দেখেছে ও কুরবানির নিয়ত করেছে ওই ব্যাক্তি যেন নক বা চুল না কাটে।

জিলহজ্জ মাসের ফজিলতঃ

এই জিলহজ্জ মাসের একটি অন্যতম একটি পরিচয় আছে।আল্লাহ তায়ালা পাঁচটি বিধান দিয়েছেন তার ভিতর একটি হলো হজ।প্রতি বছর এই জিলহজ্জ মাসেই পালন করা হয়।প্রতি বছর এই জিলহজ্জ মাস আসার আগেই যারা যারা হজে জাবে তারা হজের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। 

পুরো বছরের মধ্যে চারটি মাস আল্লাহর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।তার ভিতর এই জিলহজ্জ মাস একটি।এই মাসে অনেক ফজিলত ও গুনাগুন আছে।এই জিলহজ্জ মাসেই হজের কাজগুলো সম্পাদন করা হয়।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন যে,আমার কাছে মাসের সংখ্যা হলো ১২টি।তা আল্লাহ তায়ালার কিতাবে পচোলিতো আছে।এই বিধানটি হলো।(সুরা তাওবাহঃ৩৬) নাম্বার আয়াত।

জিলহজ্জের চাঁদ উঠার পর চুল নখ কাটা যায়ঃ

মুসলমান হিসেবে এই মাস সম্পর্কে আমাদের প্রায় সবই জানা আছে।বছরের ভিতর চারটি মাস আল্লাহর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তার ভিতর জিলহজ্জ মাস একটি।এই মাসেই কুরবানী সহ হজ পালন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ৩২৩ ধারা কি - ৩২৩ ধারা কি জামিন যোগ্য

যারা যারা জিলহজ্জের চাঁদ দেখে এবং কুরবানীর নিয়ত করে ফেলে ঈদের আগে তাদের জন্য চুল বা নখ কাটা মাকরুহ?আর সবাই এ বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকে।এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের দিক দিয়ে ঈদের চাঁদ উঠার পর নখ বা চুল কাটা কি মাকরুহ?

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url