দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়

আপনারা দাঁতের পোকা নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন।আজকের আর্টিকেলে আমরা নিয়ে চলে আসলাম আপনারা কিভাবে দাঁতের পোকা দূর করবেন সেগুলো উপায় নিয়ে। দাঁত থাকতেও দাঁতের মর্ম বোঝেন না এরকম লোকের সংখ্যা এখন প্রায় অনেক বেশি।এখন প্রায় সবাই ঠিকমতো দাঁতের যন্ত নেয় না আর ঠিকমতো দাঁতের যন্ত না নেওয়ার কারনে দাঁত নষ্ঠ হয়ে যায়।আর দাঁত নষ্ঠ হয়ে জাওয়ার কারনে দাঁতের অনেক যন্তনা হয়।

আর আজকে আমরা নিয়ে চলে আসলাম কিভাবে দাঁতের পোকা ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেগুলো উপায় নিয়ে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আপনারা কিভাবে দাঁতের পোকা ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃদাঁতের পোকা দূর করার ঘোরয়া উপায়

পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়ঃ

বিভিন্ন সমস্যার কারনে দাঁতের ব্যথা হতে পারে।শীতের সময় প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে শরীরে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ব্যথা হয়।প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে অনেকের দাঁতের ব্যথা হয়।তাই আপনাদের জানা দরকার কিভাবে দাঁতের ব্যথা কমাতে হয়।চলুন তাহলে দেখে নওেয়া যাক কিভাবে দাঁতের ব্যথা কমাবেন।

ব্যথা হওয়ার কারণঃ

এখন আমরা জানবো কি কি কারণে দাঁতের ব্যথা হতে পারে। কোন সময় দাঁতে পাল বা শ্বাস নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং কোন কারণেই কোন রোগে আক্রান্ত হওয়া, দাঁতের ফাঁকে কোন ধরনের ক্যারিজ বা গর্ত হলে, কোন সময় দাঁতের ফিলিংগুলো খুলে যাওয়ার কারণে সকল কারণ যদি দেখা দেয় তাহলে তাদের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।যদি আপনারা খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা খাবার খান তাহলে দাঁতের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। 

আরও পড়ুণঃসিজারের পর খাবার তালিকা

যদি কোন সময় ৩০ মিনিট ধরে দাঁতের ব্যথা হতে থাকলে তাহরে বুজবেন আপনার দাঁতের শ্বাস বা পালপে আক্রান্ত হয়েছে।এগুলো সমস্যা হলে দাঁতের স্নেহ নষ্ট হতে প্রায় ১২ ঘণ্টা মতো সময় লাগে।তার ফলে প্রায় ১২ ঘন্টা পর দাঁতের ব্যথা কমতে থাকে। পরে পুনরায় আবার যদি দাঁতের ব্যথা শুরু হয় তাহলে বুঝবেন দাঁতের ফাঁকে পুঁজ হয়েছে।

ব্যথা হলে কি করবেনঃ

দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য আপনাদের যেগুলো কাজ করা প্রয়োজন তা হলঃ প্রথমত আপনাদের এক গ্লাস কুসুম কুসুম পানি করে নিতে হবে এবং তার সাথে লবণ মিশ্রিত করে মুখে নিয়ে প্রায় এক দেড় মিনিট মুখের ভিতর রাখতে হবে। এছাড়াও কিছু লবণ এবং তার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে এক ধরনের পেস্ট তৈরি করে তা কয়েক মিনিট মুখের ভিতর দিয়ে ম্যাসাজ করুন।

লবণে আসে অনেক পরিমাণে এন্টিসেপটিক এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যার মুখের ভেতর দিয়ে ব্যবহার করলে মুখের সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া দূর করে দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আপনার ব্যথা যুক্ত দাঁতের ফাঁকে বরফের খুশি দাঁতে পেঁচে রাখতে পারেন এবং অসংখ্য গরম পানি কুলকুচি করতে পারেন এতে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্য কোনগুলো সরিয়ে ফেলবে এবং দাঁতের ব্যথা কমবে।

দাঁতের পোকা যন্ত্রনাঃ

দাঁতের কোনো সমস্যা হলে বা দাঁতের ক্ষয় হলে এর একটি প্রধানত নাম রাখা হয়েছে তা হল ডেন্টাল ক্যারিজ। গ্রামে বা পল্লী এলাকার মানুষের কাছে এই দাঁতের ক্ষয় হওয়াকে তারা দাঁতের পোকা হিসেবে চিনে। কিন্তু দাঁতের পোকা নামে কিছুই নেই। দাঁতের ক্ষয়কেই ডেন্টাল ক্যারিজ বলা হয়।

দাঁতের পোকা সম্পর্কে জানুনঃ

দাঁতের ভেতরে সুনির্দিষ্ট পোকা নামে কিছুই থাকে না। দাঁতের ভিতরে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যার ডেন্টাল ক্যারিজ নামে পরিচিত এই ডেন্টাল ক্যারিজ দাঁতের ক্ষয় করে। সাধারণত বেশি বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার চিনি, মিষ্টি, চকলেট এরকম খাবার খেলে দাঁতে খুব বেশি ক্ষয় হয়। যে সকল ব্যক্তি এ ধরনের খাবার খায় তাদের ধীরে ধীরে দাতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জমে যায় এতে দাঁতের ফাঁকে ক্ষয় করতে থাকে।

এ ধরনের সমস্যা প্রায় শিশুদের অনেক বেশি হয়ে থাকে। শিশুরা বেশি বেশি চকলেট খাওয়ার জন্য তাদের দাঁতের ফাঁকে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জমে যায় এতে তাদের দাঁত বেশি ক্ষয় সাধন হয় তার কারণে দাঁতের শিরানি অনুভব করে এতে খুব কষ্ট হয়। এ সকল ডেন্টাল ক্যারিজ হলে দাঁতের ভেতরে প্রথমত ছোট ছোট আকার ধারণ করে ফলে পরে দাঁতে গর্ত তৈরি হয়। বেশিরভাগ সময়ে এ ধরনের সমস্যা হলে শিশুরা বুঝতে পারেনা যে দাঁতের ফাঁকে গর্ত বা কোন ধরনের ক্ষয় হয়েছে।

দাঁতের পোকা প্রতিকার ও প্রতিরোধঃ

দাঁতের যদি কোন ধরনের ক্ষয় বা গর্ত দেখা দেয় তাহলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে গিয়ে সেটা পুটিং করে নেওয়া উচিত। দাঁতে গর্ত তৈরি হলে প্রথমেই যদি সেটা ডাক্তারের কাছ থেকে পুটিং করে না নেন তাহলে সেটা ধীরে ধীরে বেশি গভীরতা চলে গেলে দাঁতের ব্যথা অনেক বেড়ে যাবে। এতে পরে আপনারা অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

এখন প্রায় ক্ষয় যুক্ত দাঁত বা ভেঙ্গে যাওয়া দাঁত কে অনেক সুন্দর ভাবে শুটিং করার মাধ্যমে তার ক্ষয় পূরণ করা যায়।যা দেখতে পায় অরজিনাল দাঁতের মতো লাগে। আপনারা যদি রুট ক্যানেল তাদের চিকিৎসা করে থাকেন তাহলে দাঁতের মুকুট বসাতে দেরি করা উচিত নয়। ডেন্টাল ক্যারিজ করা দাঁতে প্রতিদিন মেডিপ্লাস দিয়ে দুই বেলা দাঁত মেসার্স করতে হবে।

বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয়ঃ

বাচ্চারা প্রায় মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে খুব বেশি পছন্দ করে যেমনঃ চকলেট, আইসক্রিম, দই ইত্যাদি এই সকল খাবার খাওয়ার জন্য বাচ্চাদের মুখে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াল সৃষ্টি হয় এতে দাঁতের ক্ষয় করে এবং দাঁতের ভেতর গর্ত তৈরি হয়।এতে বাচ্চারা দাঁতের ব্যথায় অনেক কষ্ট ভোগ করে। এ সকল সমস্যা থেকে বাচ্চাদের এড়াতে অনেকগুলো টিপস নিয়ে আমরা এই আর্টিকেলে হাজির হয়েছি। তা নিচে ভাবে ধাপে উল্লেখ করা হলো।

শিশুর জন্মের ৬ মাস পর যে দুধের দাঁত গজায় তারও যত্নের প্রয়োজন আছে। এ কারণে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পর পাতলা টিস্যু বা নরম সুতি কাপড় দিয়ে বাচ্চার দাঁতের ওপরের দুধের আবরণ গুলো তুলে ফেলা প্রয়োজন। আসলে দাঁতে পোকা বলে কিছুই হয় না। বাচ্চাদের খাওয়ানোর পর দাঁত পরিষ্কার করে না দেওয়ার কারণে আস্তে আস্তে দাঁতের ভেতরে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয় এতে দাঁত ক্ষয় করে এবং দাঁতের ভেতরে গর্ত তৈরি করে।

শিশুদের বয়স আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেলে তাদের উপযোগী ব্রাশ বা টুথপেস্ট ব্যবহার করানো। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের দাঁতে যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আর খেয়াল রাখতে হবে দাঁতগুলো সঠিক ভাবে আছে কিনা যদি না থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়ঃ

এখন প্রায় মানুষেরই দাঁতের ক্ষয় হচ্ছে।এতে সবাই খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে আছে। আজকে নিয়ে চলে আসলাম কিভাবে আপনারা দাঁতের ক্ষয় রোধ করবেন সেগুলো উপায় নিয়ে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে পারবেন।

আরও পড়ুণঃকিডনির পাথর দূর করার উপায়

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা খুবই জরুরী একটা কাজ। এই কথাটা প্রায় আমরা সকলেই জানি না। কিন্তু এই সকল কাজ করা সত্ত্বেও দাঁতের মাড়ির ব্যথা,দাঁতে ক্ষয় সাধন এবং দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি অসুবিধা লেগে থাকে। এ কারণে গবেষকরা গবেষণা করে জানিয়েছেন শরীরের ভিটামিন এ ভিটামিন বি এই সকল ভিটামিনের ঘাটতির কারণে দাঁতের ক্ষয় সাধন লেগেই থাকে। দাঁতের ক্ষয় রোধ করার উপায় গুলো দেখুন।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়াঃ ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং মিনারেল জাতীয় খাবার খাওয়া দাঁতের ক্ষয় রোধ করার জন্য খুবই উপকারী খাবার।

মিষ্টি জাতীয় খাবারঃ বেশি বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয় এতে বেশি বেশি দাঁতের ক্ষয় বা গর্ত তৈরি করে। এ কারণে আমাদের মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

টুথপেস্টঃভেষজ উপাদান খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়ুর্বেদিক থাকে এদের টুথ টেস্ট হিসেবে ব্যবহার করতেও সাহায্য করে।এ সকল খাবার ক্ষয় রোধ করার জন্য বেশি বেশি খাওয়া উচিত।

কিভাবে দাঁত পরিষ্কার রাখবেনঃ রাতে এবং সকালে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা উত্তম। এদের দাঁতের কোন খাবার লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে ফেলে এতে আমাদের দাঁতে কোন ধরনের ক্ষয় হয় না। আর ব্রাশ করার জন্য নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করা উত্তম।

দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশনঃ

আমাদের মধ্যে প্রায় অনেক মানুষেরই দাঁতের ইনফেকশন হয়ে ভুগছেন। ঠিকমতো দাঁত পরিষ্কার না করার কারণে দাঁতের ভিতরে ব্যাকটেরিয়া জমে যায় এতে দাঁত ক্ষয় করে এবং দাঁতের মধ্যে গর্ত তৈরি করে। এ ধরনের রোগ হলে যদি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি তা না করেন তাহলে ধীরে ধীরে দাতে ইনফেকশন হয়ে যায় এতে আরো ক্ষতি হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আর এই ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত খাবার পরে ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে যাতে দাঁতের ভেতরে কোন ধরনের খাবার না থাকে। গরম এবং আদ্র আবহাওয়া হওয়ার কারণেও দাঁতের মাড়ির সমস্যা হয়ে থাকে। এ সময় আমাদের বেশি বেশি খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের দাঁতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়। এতে প্রতিনিয়ত গরম কুসুম কুসুম পানির সাথে লবণ মিশিয়ে এক দুই মিনিট গড়গড়া কুলি করতে হবে।

দাঁতের পোকা দূর করার উপায় - শেষ কথাঃ

উপরে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা কিভাবে দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন আশাকরি তা বুঝতে পেরেছেন। দাঁতের মাড়ি ইনফেকশন, দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার উপায়, বাচ্চাদের দাঁতের ক্ষয় হলে কিভাবে রোধ করবেন আরো এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি আর্টিকেলে লেখা অনেকগুলো নিয়ম-কানুন মেনে চললে আপনাদের দাঁতে কোন সমস্যা হবে না।

আরও পড়ুণঃব্লাড ক্যানসান হলে কি হয়

আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দেন এবং এর সকল আরো বেশি তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url