ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম - ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিক্ষা

আপনারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সমস্যায় ভুগছেন। আর কোন চিন্তা নেই আমরা নিয়ে এসেছি কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন এবং কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা করবেন। আজকের এই পুরো আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে বুঝতে পারবেন আপনারা কি কি উপায়ে ড্রাইভিং  লাইসেন্স করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।যে সকল উপায়ে আপনারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন।

কেননা এই পৃথিবীতে চলাফেরার জন্য আমাদের নিজস্ব যানবাহনের প্রয়োজন আছে সেটা নিজস্ব প্রাইভেট কার বা মোটরসাইকেল হোক। আর এই সকল যানবাহন চালানোর জন্য বৈধ লাইসেন্স করার প্রয়োজন আছে। আর বৈধ লাইসেন্স না থাকলে এই যানবাহনগুলো চালানো আইনগত অপরাধ। তাই আমাদের নিজস্ব যানবাহন চালানোর জন্য বৈধ লাইসেন্স করা অত্যন্ত জরুরী। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা লাইসেন্স করব।

পেজ সূচিপত্রঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম-ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা

ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদনঃ

আপনারা কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন তা সঠিক বুঝতে পারছেন না। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আপনারা কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়মাবলীঃ
  • যিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন তা শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণী পাস থাকতে হবে।
  • ছোটখাটো লাইসেন্স করার জন্য লাইসেন্সের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য সর্বনিম্ন ২১ বছর ছাড়া হবে না।
  • শারীরিক এবং মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ থাকতে হবে।
লাইসেন্স করার জন্য প্রার্থীর প্রক্রিয়াঃ

যে ব্যক্তি তার ড্রাইভিং লাইসেন্স করবে সে সকল ব্যক্তি তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য তার কাগজ পাতিসহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে।অনলাইনে লাইসেন্সের আবেদন করার পর তার
শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের ইনছু সাথে সাথেই প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। তারপরে দুই থেকে তিন মাস প্রশিক্ষণের পর একটি নির্ধারিত তারিখে তাকে ফিল্ড টেস্টের জন্য অংশগ্রহণ করতে হবে। তারপর তার লাইসেন্সের মূল কপি তাকে দেওয়া হবে।

লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানুনঃ
  1. তার নির্ধারিত ফরম নিয়ে অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
  2. আয়োজন করবেন তার সর্বোচ্চ ১৫০ কে বি ছবি লাগবে।
  3. লাইসেন্স প্রাপ্তির মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে।
  4. ৬০০ কে বি ইউটিলিটি বিলের স্কিন কপি লাগবে।
  5. লাইসেন্স স্কান কাপি লাগবে।
তার লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষার পর একটি নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্স কৃত প্রাপ্তির  ডিজিটাল ছবি,হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং স্মার্ট কার্ডের ইস্যু করা হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স হওয়ার পূর্ব শর্তগুলো জানুনঃ

অনলাইনের মাধ্যমে লাইসেন্সের আবেদন করার পূর্বে আমাদের জানা উচিত লাইফ সাইন্সের পূর্ব শর্ত। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার আগে অনেকগুলো পূর্ব শর্ত মেনে চলতে হয় আর এ সকল শর্ত যদি পূরণ করতে পারেন তাহলে ড্রাইভিং শীঘ্রই পেতে পারেন। আর কর্তৃপক্ষ ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনাকে খুব শীঘ্রই নাও দিতে পারে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রায় সাধারণত দুই ধরনের হয়। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পেশাদার লাইসেন্স।


প্রথমত আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন অপেশাদার নাকি পেশাদার। আপনার যদি মোটরসাইকেল বা নিজস্ব কার থাকে বা আপনি যদি নিজেই ড্রাইভিং করতে চান তাহলে আপনাকে অপেশাদার লাইসেন্সের আবেদন করতে হবে। আপনি যদি ড্রাইভিং কি পেশা হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। অপেশাদার বা পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম প্রায় একই রকম। নিচে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পূর্ব শর্ত গুলো উল্লেখ করা হলো।চলুন সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।
  1. লাইসেন্স পাওয়ার প্রধানত পূর্ব শর্তগুলো হল শিক্ষানেবিশ লাইসেন্স পাওয়া।
  2. যার নামে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা হবে তার সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণী পাশ থাকতে হবে।
  3. যদি পেশাদার লাইসেন্স করতে যান তাহলে আপনার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন২১ বছর এবং অফিস হাজার লাইসেন্স করতে গেলে সর্বনিম্ন হতে হবে আঠারো বছর।
  4. শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে আপনাকে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে হবে।

অপেশাদার এবং পেশাদার লাইসেন্স এর পার্থক্যঃ

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম গুলো জেনে নিন এবং অপেশাদার ও পেশাদারের পার্থক্য জানুন।

অপেশাদার লাইসেন্স কিঃ

অপেশাদার লাইসেন্স গুলোর মধ্যে মৌলিক পরিবর্তন আছে। আমরা নিজের সহ গাড়ি চালানোর জন্য যে সকল লাইসেন্স করে থাকি বা পেশাদার হিসেবে কাজ করার জন্য যে লাইসেন্স ব্যবহার করি না তাকে অপেশাদার লাইসেন্স বলে।

পেশাদার লাইসেন্স কিঃ

আমরা যে ড্রাইভিং কে পেশা হিসেবে বেছে নি এবং নিজস্ব গাড়ি চালানোর জন্য যে লাইসেন্স ব্যবহার করি সেটা বাদে পেশা হিসেবে যে লাইসেন্স বা প্রফেশনাল লাইসেন্স দিয়ে আমরা পেশা হিসেবে কাজ করি সেটাই হলো পেশাদার লাইসেন্স।


তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে,যদি নিজস্ব গাড়ি থাকে এবং নিজেই যদি ড্রাইভিং করতে চান তাহলে অপের সাথে লাইসেন্স করা এবং যদি ড্রাইভিং পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান তাহলে পেশাদার লাইসেন্স বা প্রফেশনাল লাইসেন্স করা প্রয়োজন।

লাইসেন্স করার নিয়ম নবায়ন প্রক্রিয়া জানুনঃ

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার শুক্রাণু আলোচনা হিসেবে লাইসেন্সের আরেকটি নিয়ম হলো নবায়ন প্রক্রিয়া। আমরা যে সকল ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স কে নবায়ন প্রক্রিয়ায় করব সে সকল বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক আমরা কিভাবে লাইসেন্স কে নবায়ন প্রক্রিয়া করতে পারি।

পেশাদার লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়মঃ

ড্রাইভিং লাইসেন্স কে ট্রান্সফার করার নীতিমালার মধ্যে আরেকটি অন্যতম বিষয় হলো ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন করার নিয়ম। আপনারা লাইসেন্স কে নবায়ন করতে চান তাহলে আপনাদের একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাহলে আপনাকে বিআরটিএ পার্কের নির্ধারিত ফ্রি দিয়ে আবার অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়মঃ

আপনাকে অপের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য আপনাকে বিআরটিএ করতে নির্ধারিত ফ্রি জমা দিয়ে আপনাকে বিআরটিএ অফিসে আবার পুনরায় আবেদন করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পূর্বে বা ১৫ দিন আগে যদি আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রায় ২৫০০ টাকা ফ্রি প্রদান করতে হবে। আর যদি আপনার মেয়াদ ১৫ দিন পার হয়ে যায় তাহলে আপনাকে প্রতি বছরের জন্য জরিমানা দিতে হবে প্রায় ২৫০ টাকা।

লাইসেন্স নবায়ন করতে হলে যে কাগজ  পাতি দরকারঃ

আপনাদের লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে যে সকল কাগজ পাতি দরকার হয় সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
  1. আপনি অনলাইনে যে আবেদন করেছিলেন সেই আবেদনের ফরম প্রয়োজন হবে।
  2. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
  3. ডাক্তার কর্তৃপক্ষ মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে।
  4. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র।
  5. পাসপোর্ট ১ কপি এবং স্ট্যাম্প সাইজ ১ কপি ছবি লাগবে।
  6. ফ্রি জমা দেওয়ার রশিদ লাগবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম-শেষ কথাঃ

আপনারা আজকের এই পুরো আর্টিকেল পড়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার প্রায় সব রকম নিয়মই  জানতে পেরেছেন। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সব প্রায় সকল নিয়মই জানতে পেরেছেন। এর সকল নিয়মে এখন আপনারা লাইসেন্স করতে গেলে আশা করি আর কোন সমস্যা হবে না।


আজকের এই পুরো আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিন এবং এরকম আরো তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইড ফলো রাখুন এবং আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url