সিজারের পর খাবার তালিকা - সিজারের পর মায়ের যন্ত কিভাবে নিবেন
একজন গর্ভবতী মায়ের সিজার করার পর তার যত্ন কিভাবে নিবেন তা যদি আপনারা না জেনে থাকেন তাহলে আপনাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। সিজারের পর একজন মায়ের অনেক যত্ন নিতে হয় কারণ তার যত্ন না নিলে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি সিজার করা মায়ের যত্ন নেওয়া সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে একজন মাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
আমাদের এই আর্টিকেল থেকে একজন সিজার করা মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন তা নিয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পারবেন। সন্তান জন্ম দেয়ার পরে এবং আগে মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত এবং স্বীকার করার পর একজন মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন তা সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পুরো আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে মায়ের যত্ন নিবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ সিজারের পর খাবার তালিকা - সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন
- সিজারের পর খাবার তালিকা
- সিজার করার পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন
- সিজারের পর কাটা স্থানের যত্ন
- সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায় তা জানুন
- উপসংহার
সিজারের পর খাবার তালিকাঃ
সিজারের মাধ্যমে একটি সন্তান জন্ম দেওয়া একজন মায়ের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ
একটি কাজ। সিজার করার মাধ্যমে একটি সন্তান জন্ম দেওয়ার পর একজন মা শারীরিক এবং
মানসিক দিক দিয়ে নার্ভাস হয়ে পড়ে। তাই সন্তান জন্ম দেওয়ার পর একজন মায়ের
সম্পূর্ণরূপে বিশ্রাম নেওয়া এবং ঠিক মতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত
জরুরী। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।সন্তান জন্ম দেওয়ার পর একজন মায়ের কি
কি খাবার খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুণঃকিডনির পাথর দূর করার উপায়
দুগ্ধ জাতীয় খাবার যেমনঃ দই, পনির এবং আরো পুষ্টি জাতীয় খাদ্য যাতে অনেক বেশি
আমিষ প্রোটিন আছে। ভিটামিন বি জাতীয় খাবার এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য এগুলো
মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন করতে সহায়তা করে। এবং মাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ এবং আগ্রহ
নিশ্চিত করতে এবং সিজার করার ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকিয়ে তোলার জন্য এ সকল
খাবার খুবই উপকারে লাগে।
সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল বেশি বেশি খাওয়াতে হবে। যেমনঃ আপেল,কমলা,মালটা, ফুলকপি,লাউ এবং আরও বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী। এবং মাকে সুস্থ রাখার জন্য আমরা গর্ভবতী মাকে প্রতিনিয়ত শাকসবজি খাওয়াবো।
সিজার করার পর মায়ের যন্ত কিভাবে নিবেনঃ
বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিজার করে সন্তান জন্ম দেওয়া। কিন্তু স্বীকার করার পর কি কি সমস্যা হয় সেগুলো সম্পর্কে প্রায় সবাই জানেন না।সিজার করে বাচ্চা হলে প্রায় তিন থেকে চার দিনের মত হাসপাতালে থাকতে হয়। তারপর বাড়িতে এসে খুবই সাবধানতা শহীদ মায়ের যত্ন নিতে হবে। কারণ সিজার করার পর ঠিকমতো মায়ের যত্ন না নেওয়া হয় তাহলে যে কোন ধরনের বিপদ হতে পারে।
অনেকেই জানেনা সিজার করার পরও যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত চাপ ও হতে পারে। কিন্তু এ কারনে
চাপের পরিমাণ খুব বেশি হবে না,খুব সীমিত হবে। খুব বেশি রক্ত চাপ এবং রক্তের চাপের
দুর্গন্ধ ঘরে রক্ত চলে যাচ্ছে কিনা সে সকল বিষয়ে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ
এই রক্তচাপ হলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সিজার করার পর এক ধরনের
ক্যাথেটার ব্যবহার করা হতে পারে সিজার করানো মায়ের শরীরে।
এটি শুধু প্রথম দিনেই রাখবে এবং তা পরের দিন সকালেই খুলে ফেলে দেবে। আর সেলাই করা
বাঘ অনেক দিন থেকে যায় এবং তা অনেক বছরও থাকতে পারে। সময়ের সাথে সাথে তা ধীরে
ধীরে ঠিক হয়ে যায় এবং আর আগের মত উঁচাও থাকে না।সিজার করার পর সিগারেট দাগ
সুকাতে দেওয়া হয় প্রায় ছয় সপ্তাহের মত। দাগটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তারপর
থেকেই সেই দাগ মেশানোর জন্য সেখানে মলম বা তেল মালিশ করতে পারেন।
সিজার করার পর প্রায় অনেকেই টয়লেটের কাজ করতে ভয় পায়। এই কারণে অনেক বেশি
বেশি পানি পান করতে হবে। বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার সাহেব একটি ওষুধ
দিবেন সেটাই খেলে খুব সহজে টয়লেটের কাজ করা যাবে। সিজার করার পর যদি রক্ত চাপ না
হয় রক্ত জমাট না বাধে সে কারণে পরের দিন থেকেই অল্প হাটাহাটি করা ভালো।
সিজারের পর কাটা স্থানের যন্তঃ
সিজার করার পর মায়ের যত্ন যেভাবে নিবেন সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জেনে থাকা ভালো।
একটি গুরু তোর অপারেশন হলো সিজার করা। অন্য কোন সার্জারি করার পর ভালো হতে যে
সময় লাগে ঠিক তেমনই সিজার করার পরও কিছু সময় দিতে হবে সেটা ভালো হওয়ার জন্য।
সিজারের পর খুব সাবধানতা শহীদ আপনাকে খুব বিশ্রাম করতে হবে। এবং নিজে নিজে সবকিছু
না করে অন্য কেউ নিজের কাজে সাহায্য করতে দিতে হবে।
আরও পড়ুণঃরক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি করণীয়
আপনার শরীরকে প্রায় ঠিকমত সুস্থ করে তোলার জন্য আপনাকে অনেক বিশ্রাম থাকতে হবে
এবং প্রায় ছয় থেকে সাত সপ্তাহ পর্যন্ত আপনাকে কোন কাজ কাম করা যাবে না। যদিও
মনে করেন এটা বলার চাইতে করাটা অনেক কঠিন। বাচ্চা হওয়ার কারণে বিশ্রাম নেওয়াটা
অনেক কঠিন হয়ে যেতে পারে। এ কারণে আপনাকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে যেন যখন
বাচ্চা ঘুমাবে তখন আপনাকেও ঘুমাতে হবে।
আর বাচ্চার যত্ন করার জন্য পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নিতে পারেন। যদিও এই সময়টা
আপনাকে অনেক বিশ্রাম নিতে হবে। তবে কিন্তু সব সময় শুয়ে বা বসে কাটালেই হবে না.
কিছু কিছু সময় হাটাহাটিও করতে হবে। সিজারের পর একজন মাকে প্রায় 24 ঘন্টার পর
বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে যেতে হয়। তবে এই সময় কাটায় স্থানের সেলাই ছেড়ে
যাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে সেই কারণে অনেক সাবধানতা শহীদ চলাফেরা করতে
হবে।
সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায় তা জানানঃ
সিজার করা তো আজ কালকের দিনে খুবই কমন বিষয় হয়ে গেছে। প্রসব বেদনার দূর করার
ভয়ে মহিলারা চান এবং ডাক্তাররাও সময় বাঁচানোর জন্য স্বীকার করে দেন। আজকাল এত
বয়সে বিয়ে হয়ে যায় যে ডায়াবেটিক্স হাই প্রেসার এর সমস্যা অনেক বেশি হতে
পারে। প্রথমত বাচ্চা হওয়ার পর যদি আপনারা ভাবেন যার খানের সাথে আরেকজন হবে সেই
কারণে আপনাকে প্রায় আরো দুই বছর অপেক্ষা করা লাগবে।
তারপর যদি মনে করেন আপনার শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন আর চিকিৎসক যদি বলেন এবার
সময় হয়েছে তাতে সামনের দিকে এগোতে পারবেন। কারণ সিজার এতই সুক্ষ অপারেশন নয়।
পেটের ভিতরে চামড়া ছবি কেটে এবং পেটের মধ্যে ঢুকে জড়ায় ওর একেবারে শেষ প্রান্ত
থেকে বাচ্চা বের করা হয়। এরপর আবার কাটা স্থানগুলো একের পর এক জুরতে
জুরতে বেড়ে আসা হয়। এর কারণে সিজার করা অপারেশন কে আপনারা যতটা সহজ মনে
করেন সেটা যতটা সহজ নয়।
আরও পড়ুণঃব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয়
আবার খুব তাড়াতাড়ি ও সেরে ওঠাও সম্ভব নয়। এই প্রতিটি স্তর শুকিয়ে ভালোভাবে
জোড়া রাখতে প্রায় অনেকদিন সময় লেগে যায়। প্রথমত কাটা অংশে রক্ত জমাট
বাঁধে,কলাজের তৈরি করা হয় এবং টিস্যু ফাইব্রোসিস হয়ে ওঠে তারপর সেগুলো শুকিয়ে
করতে প্রায় অনেক দিনের সময় লেগে যায়। আর এই সময় খুব সাবধানতা শহীদ থাকতে হবে
তা না হলে সেলাই একবার হেরে গেলে খুবই বিপদে সম্মুখীন হতে হবে।
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url