প্রেসার লো হলে করনীয় - প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ

প্রিয় গ্রাহক প্রেসার লো হলে কি কি করণীয় আপনারা কি সঠিক জানেন না আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ এবং প্রেসার হলে কি কি করণীয়। পেশার হলে আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতিকর এটি প্রভাব পড়ে এবং বড় ধরনের অসুস্থ্যের দিকে নিয়ে যায়। এ কারণে আমাদের জানা দরকার প্রেসার হলে কি কি করা উচিত।

প্রেশার হলে কি কি করণীয় এ সকল বিষয় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পেশার হওয়ার লক্ষণ,প্রেসার লো হলে কি কি করনীয় এবং প্রেসার হলে কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

পেজ সূচিপত্রঃ প্রেসার লো হলে করণীয় - প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ

প্রেসার লো হওয়ার কারণ কিঃ

আপনাদের লো প্রেসার হচ্ছে এর কারণ কি? লো প্রেসার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক লো প্রেসার হওয়ার কারণ। মানুষের শরীরে প্রেসার মাপার সময় দুই ধরনের পরিমাপ দেখা যায়। নিচেরটা হলো ডায়াস্টলিক রক্তচাপ এবং উপরেরটা হল সিস্টোলিক রক্তচাপ।ডায়াস্টলিক রক্তচাপ সব সময় ৮০ মিলিমিটারের কম থাকা উচিত এবংসিস্টোলিক রক্তচাপ ১২০ মিলিমিটার পারদের কম থাকা উচিত। এটাই হলো রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিক থাকে।

আরও পড়ুণঃসিজারের পর খাবার তালিকা

সিস্টোলিক রক্তচাপ যদি ৯৫ মিলিমিটার পারদ এর কম এবং ডাইস্টলিক রক্তচাপ ৬৫ মিলিমিটার তাদের কম না থাকে তাহলে একে লো প্রেসার বলে প্রমাণিত করা যায় না। আর স্বাভাবিক রক্তে চাপ হল ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ। স্বাভাবিকের চেয়ে একটু সামান্য রক্তচাপ কমে গেলে প্রায় সবাই ভাবেন কম রক্তচাপ, লো প্রেসার বা নিম্ন রাখতে চাও কিন্তু এটা আমাদের ভাবা সঠিক নয়।

প্রায় দিনের যে কোন সময়ই মানুষের শরীরে রক্ত চাপের সম্ভাবনা হয়ে থাকে। পরিশ্রম, হাটা, পানি শূন্যতা এবং ঘুমানো ইত্যাদির সাথে মানুষের শরীরের রক্ত চাপের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন কিংবা বসে থাকেন তাহলে রক্তচাপের উপর অনেক বেশি চাপ পড়তে পারে। মধ্যরাতে ঘুমানোর সময় মানুষের শরীরের রক্তচাপ খুবই কম থাকে। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত রক্তচ সবার শরীরে প্রায় অনেক বেশি থাকে এবং সন্ধ্যার পর থেকে মানুষের শরীরের রক্তচাপ একটু কমতে থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ হলে শরীরের যেমন সমস্যা হয় নিম্ন রক্তচাপ হলে মানুষের শরীরে তেমন কোন বেশি ধরনের সমস্যা হয় না। আর নিম্ন রক্তচাপ অন্য কোন রোগের কারণ হতে পারে। যদি কারো নিম্ন রক্ত চাপ হয়ে থাকে তাহলে অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তা না হলে কোন বড় ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন।

প্রেসার লো হলে করণীয়ঃ

আপনাদের শরীরে যদি রক্তের চাপ কমে যায় তাহলে আপনারা খুবই চিন্তিত থাকেন। আর কোন টেনশন নাই চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রেসার লো হলে কি কি করবেন। যদি শরীরে সিস্টোলিস রক্ত চাপ ৯০ মিলিমিটার পারদের কম এবং ডায়াস্টলিক রক্তচাপ ৬০ মিলিমিটার পারদ এর কম থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরের রক্তচাপ লো হয়ে গেছে। যদি কারো রক্ত চাপ নিম্ন হয়ে যায় তাহলে তাদের শরীরের কিডনি,হৃদপিণ্ড এবং মস্তিষ্ক তে সঠিকভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না।

তাহলে তাদের শরীরে আরো বেশি দুর্বলতা দেখা দেয়। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বাড়িতেই প্রাথমিক উপায়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। মানুষের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ হলে যেমন সমস্যা হয় ঠিক তেমনি নিম্ন রক্তচাপ হলেও কোন না কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে। বেশি বেশি দুশ্চিন্তা, পরিশ্রম করা, এবং দুর্বলতা হয়ে থাকলে এর থেকে নিম্ন রাখতে চাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে। নিম্ন রক্ত সাপের কারণ গুলো জেনে নিন।

নিম্ন রক্তচাপের কারণ সমূহঃ

  1. শরীরে পানি শূন্য তাহলে নিম্ন রক্তচাপ হওয়া সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে।
  2. যদি খাবার সময় বা ঠিকমতো না খান তাহলে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে।
  3. কোন সময় যদি দীর্ঘমেয়াদি কোন রোগে ভুগেন তাহলে নিম্ন রাখতে চাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে।
  4. শরীরের হরমোন জনিত ভারসাম্যহীনতা থাকলেও নিম্ন রক্তচাপ হয়।
  5. যদি অত্যধিক বমি হয় বা আপনার ডায়রিয়া হয়ে থাকে এর কারণে ও নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে।

যদি আপনাদের শরীরে কোন ধরনের দুর্বলতায় এবং শরীরের পুষ্টিহীনতার কম থাকে তাহলে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের প্রায় প্রথম ৬ মাস হরমোনের কারণেও নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত একটি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। যাতে শরীরের দুর্বলতা না হয়। এতে নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।

প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে তা জানুনঃ

হাই প্রেসার এবং লো প্রেসার যেটাই বলেন এ দুটি শরীলে হয়ে থাকলে এটি শরীরের অনেক বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক মানুষই ভেবে থাকেন যাদের শরীর অনেক দুর্বলতা হয়ে থাকে তাদের নিম্ন রক্তচাপে ভুগছে। কিন্তু এটা ভাবা ঠিক নয়।সুস্থ মানুষেরও লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। সাধারণত ডাক্তারের পরিভাষায় ওপরেরটা ৯০ মিলিমিটার পারদের কম এবং নিচেরটা ৬০ মিলিমিটার পারদের কম থাকলে সেটাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে বিবেচনা করা হয়।

আরও পড়ুণঃমানুষের হাত কোন শ্রেণীর বিভাগ

মানুষের শরীরে যখন নিম্ন রক্তচাপ দেখা দেয় তখন সেই সকল মানুষের ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, শ্বাস গ্রহণ করতে অসুবিধা, এবং আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এ সকল সমস্যা দেখা দিলে আমাদের এই রোগগুলো থেকে বাঁচার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত সেগুলো জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক খাবারের তালিকা গুলো।

লবণ জাতীয় খাবার খাওয়াঃ আপনারা যদি খাবারের সাথে লবণ খান তাহলে রক্তচাপ স্বাভাবিক করায় এটি সহায়তা করে। যদি আপনারা এক গ্লাস পানির সাথে দুই চামচ চিনি এবং দুই এক চামচ লবণ মিশিয়ে খান তাহলে এতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলো বাদ দিয়ে প্রতিদিন খাবারের সাথে লবণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।.

ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ খাবারের সাথে ভিটামিন বি এর পরিমাণ কম থাকলে এতে রক্তচাপ কম হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এই কারণে আপনাদের ডিম, দই, চিকেন আরো ইত্যাদি ধরনের পুষ্টি জাতীয় খাদ্য আপনারা খেতে পারেন। আর এইগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি আছে। এছাড়াও ভিটামিন জাতীয় খাবার মধু, কিসমিস, বাদাম, খেজুর এরকম জাতীয় খাবার ও খেতে পারেন।

তরল খাবারঃ মানুষের শরীরে অনেক বেশি পানির অভাব দেখা দিলে নিম্ন রক্তচাপ এবং লো প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এর কারণে শরীরের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই কারণে এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলের রস এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং কফিও খেতে পারেন।

লো প্রেসারের ওষুধের নামঃ

যেকোনো সময় মানুষের শরীরে প্রেসার উঠে নামা করতে পারে। এতে আপনাদের করনীয় কি এ সকল সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একবার প্রেসার লো হয়ে যাচ্ছে আবার হাই হয়ে যাচ্ছে। এতে সবাই খুব দুশ্চিন্তায় থাকে। কোন বড় ধরনের সমস্যা হবে না তো। কোন কোন মানুষ নিম্ন রক্তচাপ হওয়ার পরেও নিঃসন্দেহে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন বুঝতেই পারছেন না যে তার নিম্ন রক্তচাপ আছে। ডাক্তারের পরিভাষায় নিম্নের রক্তের চাপ মহিলাদের খুব বেশি হয়ে থাকে। তারা তো বুঝতেই পারেন না তিনি লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তের চাপে ভুগছেন।

কিন্তু যাদের শরীরে নিম্ন রক্তচাপ হওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওদের তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তা না হলে যে কোন সময় কোন ধরনের বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিম্ন রক্তচাপ হলে শরীরের যে ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমনঃ মাথা ঘোরা, শরীরের দুর্বলতা, বমি ভাব, চোখে আঁধার দেখা এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাহলে বুঝবেন আপনার নিম্ন রক্তচাপ পেশার হয়েছে।

আরও পড়ুণঃতোকমা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

লো প্রেসার হলে তা বাড়ানোর কোন নির্ধারিত ওষুধ নেই কিন্তু যদি লো প্রেসার হয় তাহলে তাকে ও আর এস খাওয়াতে হবে। কিন্তু রোগী যদি ওআরএস খেতে না চায় তাহলে তাকে স্যালাইন করে পানি খাওয়াতে হবে এবং সাথে নুন জল করে খাওয়াবেন। এতে রোগী নিম্ন রক্তের চাপ বা লো প্রেসার হতে অনেকটাই সুস্থ বোধ করবে।

পেশার লো হলেই করণীয় - শেষ কথাঃ

আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে লো প্রেসার হলে কি কি করণীয়, পেশার হওয়ার লক্ষণ, লো প্রেসারের ওষুধের নাম এবং লো প্রেসার হলে কি কি খেতে হবে এ সকল বেশি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এ সকল নিয়ম-কানুন মেনে চললে আপনারা লো প্রেসার হতে মুক্তি পাবেন।

আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের কাছে বেশি বেশি শেয়ার করে দিন এবং এরকম আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভালো রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url