ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় - ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়

ছেলেদের একটু যখন ভয় বাড়তে লাগে তখন দেখা যায় ছেলেদের মুখে একটা দুইটা করতে করতে করতে মুখ ভর্তি ব্রণ এ  ভরে যায়। আর এ সকল ব্রণ আপনারা কিভাবে খুব দ্রুত দূর করবেন তা সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি। যদি আপনাদের মুখের ব্রণ খুব দ্রুত ভালো করতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ব্রণের পাশাপাশি দেখা যায় ছেলেদের মুখে বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ বা স্পট পড়ে যায়। পরে আস্তে আস্তে মুখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে লাগে এবং দেখা যায় ধীরে ধীরে মুখের ধরণী বদলে গেছে। তাই এ সকল সমস্যা হতে দূরে থাকার জন্য কি কি করা প্রয়োজন। তা আমরা আজকের এই পোস্টটিতে আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করা যায় তা দেখেনি।

পোস্ট সূচীঃ ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় - ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো দেখুনঃ-

অনেক সময় কিশোর ও তরুণ্যের ছেলে মেয়েদের মুখে ব্রণ দেখা যায়। এ ব্রণের কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে আর ক্ষতি হয়ে যায়। তবে মেয়েদের ব্রণের চেয়ে ছেলেদের ব্রণ ভিন্ন। সাধারণত টিনেজ বয়সের ত্বকের সমস্যা। আর ছেলে মেয়েদের মুখে ব্রণ বের হয় কারণ হরমোনের সমস্যা থাকলে এবং বয়ঃসন্ধিকালের জন্য ব্রণ বের হয়। অনেক সময় দেখা যায় এই ব্রণের কারণে ত্বকের অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুণঃদাঁতের ফিলিং করার পর করণীয়

ব্রণ এমন একটা জিনিস এটি ছোঁয়াচে রোগ এটি একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আর আমাদের মুখে ব্রণ বের হলে রাস্তাঘাটে চলাচল করতো সমস্যা কেননা রাস্তাঘাটের ধুলাবালি তোকে লাগলে সেটা ব্রনের সৃষ্টি করে। আবার তেল জাতীয় খাবার খেলে ব্রণের সৃষ্টি করে এটি একটি চর্মরোগ বলে আমরা জানি। 

বয়সন্ধিকালের সময় মুখে একবার ব্রণ বের হলে সেটা নিয়ম অনুযায়ী না চলতে পারলে ব্রণ গুলা ত্বক থেকে সরিয়ে ফেলা অনেক টাফ ব্যাপার হয়। আমাদের মুখে যদি ব্রণ বের হয় আমার তেল জাতীয় জিনিস কম খাব। এবং ছায়া জায়গাতে থাকবো ধুলাবালি থেকে দূরে থাকবো।

ছেলেদের মুখে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়ঃ-

ছেলেদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় আছে শুধু মেয়েদেরই উজ্জ্বলতার বৃদ্ধি আছে বলে এমন কোন কথা নাই ছেলেদেরও আছে। আমরা ছেলেরা সারাদিন রোদে ধুলাবালিতে কাজ করি এতে আমরা অনেকে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি বাড়াতে পারি না। কারণ রোদ ধুলাবালিতে সবসময় থাকলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে না।

মেয়েরা যেমন রোদ ধুলাবালিতে বেশিক্ষণ থাকে না তারা নিজেদের বাসায় সংসারের কাজ করতে ব্যস্ত থাকে তাই তাদের উজ্জ্বলতা একটু বেশি। ছেলেদের যদি মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি বাড়াতে চান তাহলে রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে ছায়া জায়গায় সবসময় থাকতে হবে। ধুলাবালি থেকে দূরে থাকতে হবে। 

আমরা অনেকেই ভেবে থাকি যে ঠান্ডা পানি আর সাবান ব্যবহার করলেই মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা আমরা যদি নিয়মিত ধুলাবালি রোদ থেকে দূরে থাকি এমন বিরত থাকি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে শুধু সাবানা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলেই হবে না ঠান্ডা এবং ছায়া জায়গায় বসবাস করতে হবে। মেয়েরা যে ফেসওয়াশ অনেক ধরনের আইটেম ব্যবহার করে থাকে এবং তারা রোদ থেকে বিরত থাকে তাই তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বেশি।

৭ দিনের মধ্যে ব্রণ দূর করার উপায়ঃ-

আমরা জানি ব্রণ একটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক একটি রোগ। আজকের আলোচনায় আমরা জানবো কিভাবে ত্বক থেকে ব্রণ দূর করা যায়। আমাদের অনেকেরই তোকে ব্রণ রয়েছে এই ব্রণ গুলো দেখতে অনেক বিচ্ছিরি লাগে এবং রাস্তাঘাটে চলাচল করতেও সমস্যা হয়। ব্রণ একটি ত্বকের অবস্থা মৃত ত্বকের কোষ অতিরিক্ত তেল জনিত একটি রোগ। 

ব্রণ দূর করার উপায় জানতে হলে প্রথমে আগে জানতে হবে কেন ব্রণ হয়? আমাদের ত্বকের তেল জনিত যে কোষ বিভাজনটি আছে সেগুলো ছিদ্র গুলির সাথে সংযুক্ত থাকে। অনেক সময় আমরা দেখে থাকি কোন ছেলেমেয়েদের হরমোনের সমস্যার কারণে মুখে অনেক ব্রণ বের হয়। বয়সন্ধি কালেও এমনকি ব্রণ বের হয় এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা যদি সেই সময় নিয়ম কানুন মেনে না চলি তাহলে আমাদের মুখে ব্রণ বের হবে।

আরও পড়ুণঃমেয়েদের মেছতা দূর করার উপায়

আর সেই সাথে আমরা রোদ ধুলাবালিতে বেশি সংযুক্ত থাকি। এমনকি এই সময় আমরা যদি তেল জনিত খাবার বেশি খাই তাহলে মুখে ব্রণের বৃদ্ধি করবে। আমরা যদি এভাবে নিয়ম কানুন মেনে চলি তাহলে হয়তোবা আমাদের মুখের ব্রণ দূর হতে সাত দিন টাইম লাগবেনা।

লেবু দিয়ে কিভাবে ব্রণ দূর করবেনঃ-

ব্রণ ছেলেমেয়েদের ত্বকের সৌন্দর্যনষ্ট করে দেয়। বিশেষ করে কিশোর বয়সে ছেলে মেয়েদের মুখে ব্রণ বের হয়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের মুখে ব্রণের সমস্যা করে বেশি। আর আমরা ধুলাবালিতে বেশি চলাফেরা করলে বাসায় আসার পর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করলেও মুখে ব্রণ বের হয়। তাই আমরা এই ব্রণ দূর করতে আপনাদের সাথে এই আলোচনা করে থাকি তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

আমরা লেবুর রস দিয়ে আমাদের ত্বকের বিচ্ছিরি ব্রণ দূর করতে পারি। লেবুর রসের যে এসিড থাকে সেটি ত্বকের জন্য এবং ত্বকের ময়লা অর্থাৎ যেগুলা ভাইরাস থাকবে সেইটা দূর করে। আমরা যদি এটি নিয়মিত ব্যবহার করি আমাদের ত্বকের জন্য ভালো এবং মুখের যতগুলো পূরণ আছে সব দূর করতে সক্ষম হবে। আর এই লেবুর রস মুখে ব্যবহার করার পর আমরা ধুলাবালিতে কম চলাফেরা করবো তেল জাতীয় জিনিস কম খাব। ঠান্ডা এবং রোধমুক্ত স্থানে চলাফেরা করবো। 

এমনকি আমরা যদি এটি নিয়মিত ব্যবহার করি তাহলে আমাদের শরীরের জন্য ভালো। আপনারা সমান পরিমাণ লেবুর রস কমলার রস একসাথে মিক্স করে আপনার ত্বকে লাগাবেন। এবং সেটি লাগানোর ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এইভাবে ঠিক সাত দিনের মত ব্যবহার করতে থাকবেন দেখবেন আপনার ত্বকের ব্রণ দূর হয়ে গেছে।

ছেলেদের মুখে ব্রণ উঠার কারণঃ-

আমাদের মুখে ব্রণ বের হওয়ার অনেক কারণ থাকে যেগুলো আমরা নিয়ম মেনে চলতে পারি না। যেমন আমরা অযথাই রাত জেগে ফোন টিপাটিপি করি যেটুকু ঘুমের দরকার সেইটুকু ঘুম না পেরে আমরা অযথা সময় নষ্ট করি এগুলা কারনেও ব্রণ বের হয়। আমরা যদি অতিরিক্ত টেনশন করি তাহলে ব্রণ বের হয় আবার বয়সন্ধিকালেও ব্রণ বের হয়।বয়সন্ধিকালে যেগুলো নিয়ম কানুন আছে আর যদি আমরা মেনে না চলতে পারি তাহলে আমাদের মুখে ব্রণ বের হয়।

এছাড়াও আরো অনেক রকমের কারণ রয়েছে সেগুলো আমরা অযথাই সময় নষ্ট করে ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক করে ফেলি। সাধারণত ছেলেদের ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সের মাঝখানে মুখে ব্রণ বের হয়। আমরা যদি প্রতিদিন রাস্তাঘাটে ঘোরাঘুরি করে বাসায় এসে সুন্দর করে সাবান অথবা ডক্টরএর সাইনস্টিক ফেস ওয়াশ দিয়ে ঠান্ডা পানিতে ত্বক পরিষ্কার করি তাহলে হয়তোবা আমাদের ত্বকের ব্রণ কি কোন ভাইরাস আক্রমণ করতে পারবে না।

আমরা যদি অযথাই রৌদ্রে ঘোরাঘুরি করি এবং তেল জাতীয় ফেসওয়াশ ফাউন্ডেশন আমাদের ত্বকে ব্যবহার করি উল্টাপাল্টা জিনিস মাখি তাহলে আমাদের মুখে ব্রণ এবং ক্ষতিকারক ভাইরাস আক্রমণ করবে। তাই আমরা যেটা সঠিক নিয়ম ওই নিয়ম কানুন মেনে চলবো তাহলে আমাদের তোকে ব্রণ এবং অন্য কোন ভাইরাস আক্রমণ করতে পারবে না।

ছেলেদের মুখে মেছতা কেন হয়ঃ-

আমরা জানি সাধারণত মেয়েদের ত্বকে হয় কালো দাগ দেখা দেয় এতে বাহিরে চলাচল করতে বিপদ হয়। সাধারণত মেছতা সৃষ্টি হয় চুলার আগুন থেকে রোদ থেকে আরব বিভিন্ন জায়গা থেকে হয়। মেছতা সাধারণত নাকের দুই পাশ দিয়ে বের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত দু-তিন কারণে হয়ে থাকে। যেমন মেয়েদের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণে পিল পিল গ্রহণ করলে অন্তঃসত্ত্বা নারী সন্তান প্রসব করার পর এবং নারী পুরুষের উভয়েরই সূর্যের আলোর কারণে হতে পারে।

এখন নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও মেস্তা হচ্ছে। এই মেস্তাটা নারীদের বেশি হয়।অনেক ক্ষেত্রে পুরুষরাও এই এই মেছতাতে শিকার হয়। এ বিষয়ে জানিয়েছেন রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডঃ জাকির হোসেন গালিব। 


মেস্তা বা মেলাসমা এক ধরনের চর্মরোগ এ রোগে বিশেষ করে মেয়েরা আক্রান্ত হয় বেশি এবং পাশাপাশি কিছু পুরুষরাও শিকার হচ্ছে। মেস্তা এমন একটি রোগ যেটির আকার কালো চক্রের মত দেখতে এটাই হলো মেস্তা। যে আমরা খুব সাবধানে চলাফেরা করবো সবকিছু নিয়মকানন মেনে চলব। তাহলে আমরা এরকম রোগে শিকার হব না এবং আক্রান্ত হবো না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url