কলা ভবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন হল একটি ঐতিহ্যময় স্থান। এই স্থান সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে ইচ্ছুক।কিন্তু আপনারা এর সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছেন না।আপনাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন সম্পর্কে দেখা বা জানার জন্য আপনাদেরকে ঢাকায় ভবনে যেতে হবে। কিন্তু এখন আর তা প্রয়োজন নেই। আমরা আজকের এই পোস্টটি নিয়ে চলে আসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন ঐতিহ্যময় স্থান নিয়ে।

আপনারা যারা যারা এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাভবন এবং কলা অনুষদ সম্পর্কে জানার জন্য ইচ্ছুক আছেন। তারা তারা আজকের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। এই পোস্টটি পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন এবং অনুষদ সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কলা ভবনের ঐতিহ্যময় স্মৃতি ও কথা গুলো।

সূচিপত্রঃ কলা ভবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন সম্পর্কে বিস্তারিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন ভবন। এটি উপমহাদেশের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল কলেজের পাশে অবস্থিত। ঢাকা এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক ভাস্কর্য মিশে আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

কার্জন হলের সামনে অবস্থিত দোয়েল চত্বর বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দলের একটি ভাস্কর্য এখানে অবস্থিত। এছাড়া আরো অনেক ভাস্কর্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিশে আছে এবং যুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী নিলা নাগ এর নামে কলা ভবন পরীক্ষার হলের নামকরণ করা হয়েছি।

আরও পড়ুণঃজিলহজ্জ মাসে চুল নখ কাটার বিধান

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায় কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আবেদন করেছে এক লাখ ২২ হাজার ৮৮২ টি। এই ইউনিটের প্রতি আসনের জন্য লড়াই করবে প্রায় ৪২ জন শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম কানুন অনেক কড় আইন এবং পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে কোন ডিভাইস কাগজপত্র ইত্যাদি নিয়ে প্রবেশ করা নিষেধ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ সম্পর্কে জানুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বাংলা বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় এই বিভাগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এ বিভাগের ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজি বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা কালীন বিভাগ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় এর বিভাগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে এই বিভাগে ৩৬ জন কোনকালীন শিক্ষক একজন আনারি অধ্যাপক একজন খন্ডকালীন অধ্যাপক এবং একজন খন্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। ইংরেজি বিভাগের ইতিহাস কে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। ব্রিটিশ পর্যায়ে প্রথম বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত হয়েছিলেন সি এল রেন। ১৯৪৭ এর দেশ পণ্ডিত ব্যক্তি এই বিভাগে যোগ দেন। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়েকটি বিভাগ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে ফারসি ভাষা সাহিত্য ভাষা ও উর্দু তার অন্যতম।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠাতার পর উর্দুতে সনাক্তকরণ শুরু করে। আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ সম্পর্কে আরো অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভাস্কর্য আছে। যা ইতিহাসের চাইতেও অনেক বড় এবং আপনারা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে চান আপনারা চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে আসতে পারেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগসমূহ

২০২১ থেকে ২২ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ৪৪ বিভাগ ইনস্টিটিউট ১৫ টি তে করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলর আলোচনার পর আসন কমানোর সিন্ডিকেট চূড়ান্ত হবে।সর্বশেষে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসন ছিল সাত হাজার ১২৫টি।ডিসান কমিটির সুপারিশ হলে আসন সংখ্যা হবে ৬ হাজার একশ দশটি। অর্থাৎ১ হাজার পনেরো টি আসন কমবে।

বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থবিজ্ঞান রসায়ন ও গণিতে মৌলিক বিষয় হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া রয়েছে উদ্ভিদবিজ্ঞান প্রাণিবিদ্যা ও অন্যতম মৌলিক বিষয়গুলি। সুপারিশ অনুযায়ী কলা অনুশোধনে ৫১৫ টি কমবে আসন সংখ্যা ১৮৭৫ থেকে এক হাজার ৩৬০ হতে পারে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুসদে ২০০ আসন কমে ১ হাজার ১ হাজার ৬৫ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান করেন কে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানেই এক জীবনের ইতিহাস ইতিহাসের এক চলমান অধ্যায় এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভাস্কর্য এবং অনেক চেতনাময় ইতিহাস জীবন্ত ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ইত্যাদি আরো অনেক বড় বড় ধরনের চাকরি করে এবং অনেক দূর আগায় যেতে সক্ষম হয়েছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য।

আরও পড়ুণঃতোকমা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ইতিহাস রচিত হয়েছে বিশাল বিশাল ইতিহাসের অধ্যায়। বটতলা মধুপুর ক্যান্টিন কলাভবন জায়গা নেই যেখানে বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে তারা কোন পর্ব উন্মোচন করেনি। আরে ইতিহাসের পিছনে আরও অনেক ইতিহাস রয়েছে। আর এই সব কিছুই সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের যাদের পিতা বাংলাদেশের বাঙালির গর্ব দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন না কোন ছাত্র-ছাত্রী আবাসিক এবং অনাবাসিক হলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এবং এই হলে তাদের বাধাধামূলক যুক্ত থাকতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য হল তৈরি করা রয়েছে ছাত্রদের জন্য ১৪ টি এবং ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে। এছাড়াও চারুকলা অনুষদ প্রশাসন ইনস্টিটিউট ও লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের জন্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা হোস্টেল এবং বিদেশীদের জন্য রয়েছে আলাদা ছাত্রাবাস। এর মধ্যে কয়েকটি হল রয়েছে যেগুলা হলের কথা না বললে নয় সেগুলো হল এর নাম হলোঃ-

১। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল

২। ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল

৩। জগন্নাথ হল

৪। ফজলুল হক মুসলিম হল

৫। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল

৬। রোকেয়া হল

৭। মাস্টারদা সূর্যসেন হল

৮। হাজী মোহাম্মদ মুসলিম হল

৯। শামসুন নাহার হল

১০। কবি জসিম উদ্দিন হল

১১। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল

১২। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল

১৩। বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল

১৪। স্যার ফিলিপ হাটগ ইন্টারন্যাশনাল হল

১৫। ওমর একুশে হল

১৬। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল

১৭। বিজয় একান্ত হল

১৮। সুফিয়া কামাল হল

১৯। আইবি এ হোস্টেল

২০। ডক্টর কুদরত ই খুদা ছাত্রাবাস

এটা দিয়ে ছাড়া আরও অনেক ছাত্রাবাস হল রয়েছে। এই হল গুলো অনেক অন্যতম এবং এই হল গুলোর সাথে অনেক ভাস্কর্য ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। এবং একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গেলে এবং যদি সে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় তাহলে তাকে ছাত্রাবাস কি কোন আবাসিক অনাবাসিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে থাকতে হবে।

এবং সেই হল গুলোর নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে এরকম ধরুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ভিতর কোনরকম গ্যাঞ্জাম করা যাবে না এটা সম্পূর্ণ বহিরাগত। টাইম মেন্টেন করে হলের ভেতর প্রবেশ করতে হবে এবং পড়াশোনা করতে হবে রাতে হলের বাহিরে বের হওয়া নিষেধ। এগুলা নিয়মকানুন মেনে যদি কোন ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করতে পারে এবং ভালো কিছু করে সে অনেক দূর আগে যেতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ পরিবর্তন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ থেকে ২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা কোন গঠিত চারটি ইউনিট সামাজিক বিজ্ঞান বিজ্ঞান ইউনিট বিজ্ঞান ইউনিট ব্যবসা শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য একজন শিক্ষার্থী তিন ইউনিটেই পরীক্ষা দিতে পারেন।

আরও পড়ুণঃকমলা লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা 

একই নিয়মে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ থেকে ব্যবসায় ইউনিটে আবেদনকারী বাংলা ইংরেজি এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে অবশ্যই পরীক্ষা দিবেন। কল আইন ও সামাজিক শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী মানবিক ও বিভাগ পরিবর্তনে ইচ্ছুক বিজ্ঞান ও ব্যবসা বিভাগের শিক্ষার্থীর সহ সবাই ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেবে।

আমরা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ পরিবর্তন করতে চাই তাহলে ভালো করে আমরা যে যাই দুই ভাগে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক সেগুলো বিভাগের বিষয়গুলি ভালোভাবে বুঝব এবং ভালোভাবে পড়াশোনা করব করে যেভাবে নিয়ম কানুন মেনে পরীক্ষা দেয় আমরা ঠিক ওই ভাবেই পরীক্ষা দিব। এবং এটা যদি বিপরীত উল্টা হয় তাহলে হয়তোবা আমরা যার যে বিভাগ নিতে ইচ্ছুক সে বিভাগে অংশগ্রহণ করতে পারব না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url