ডমপেরিডন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম - ডমপেরিডন খেলে কি হয়

প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন ডমপেরিডন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম এবং ডমপেরিডন ট্যাবলেট খেলে কি হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা নিয়ে চলে আসলাম ডমপেরিডন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম এবং ডমপেরিডন খেলে শরীরে কি কি কাজে আসে বা এই ওষুধ খেলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় কিনা এই এই বিষয় সম্পর্কে নিয়ে।

আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব ডমপেরিডন ওষুধ কোন সময় খেলে ভালো কাজ করে এবং কোন সময় খাওয়া দরকার। আপনারা যদি এই সকল বিষয় নিয়ে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে এই ডমপেরিডন ট্যাবলেটের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আর্টিকেল সূচিপত্রঃ

ডমপেরিডন কখন খেতে হয় বিস্তারিত জানুনঃ

ডমপেরিডন ওষুধ এই ওষুধের নাম অনেকেই হয়তো আপনারা জানেন না। ডমপেরিডন এই ওষুধটি কার্যকারী একটি ওষুধ। ইতিমধ্যে আপনারা অনেকেই জানতে চাইছেন ডমপেরিডন ওষুধটি কিভাবে খেতে হয় এবং এর নিয়ম কানুন কি। ডমপেরিডন এই ওষুধটি আসলে একটি কার্যকরী ওষুধ এবং এর কাজ হল সাধারণত পেট ফাঁপা এবং হজম শক্তি বাড়ানো বুক জ্বালা ইত্যাদি আরো অনেক ক্ষেত্রে এই ওষুধটি কাজ করে। আমরা যদি দূরে কোথাও ট্যুরে বা ঘুরতে যাই যানবাহনে ওঠার আগে এই ওষুধটি অনেকেই খেয়ে থাকি।

আরও পড়ুণঃমেয়েদের জন্য কোন ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালো

এর মধ্যে আবার অনেকেরা আছে এই ওষুধ সম্পর্কে কিছু জানে না আসলে এটি একটি ভালো এবং উন্নত মানের ঔষধ। আপনি যদি মাইক্রো কি বাসে কোথাও ঘুরতে যান আপনার যদি বমি এবং গা গুলানো ভাব আসে এই ওষুধটি খেলে বমি বমি ভাব গা গুলানো দূর করে দেয়। ডমপেরিডন ঔষধ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য খাবারের ১৫ থেকে ২০মিনিট আগে খেলে কার্যকারিতা বেশি পাওয়া যায়। এবং এই ডমপেরিডন ওষুধটি যারা খেতে পারেনা মুখের রুচি কম এটাতেও এই ডমপেরিডন ওষুধটি মুখের রুচি নিয়ে আসতে সাহায্য করে।

ডমপেরিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়মঃ

আমরা অনেকেই ডমপেরিডন শিরাফ এবং ট্যাবলেটের নাম শুনেছি। এই ওষুধটি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি এবং আমরা অনেকে এই ওষুধটি খেয়ে থাকি। ডমপেরিডন সিরাপটি আসলে একটি কার্যকরী ওষুধ এবং এর মার্কেটিং অনেক বেশি। এই ওষুধটি প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চাদের জন্য উন্মুক্ত করা একটি ওষুধ। 

আমরা সাধারণত সিরাপ ওষুধ গুলা ছোট বাচ্চাদের খাইয়ে থাকি কারণ তারা অনেক ছোট তারা ট্যাবলেট পান করতে সমস্যা হয়। আর প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ট্যাবলেট প্রযোজ্য। এই সিরাপটি সংরক্ষণ করতে হবে কোন আলো মুক্ত এবং তাপমাত্রা মুক্ত ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এবং এই ওষুধটি শুধু এই ওষুধটি নয় যে সকল ওষুধ আছে সবগুলো ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। 

ডমপেরিডন সিরাপ খাবারের ১০ থেকে ২০ মিনিট আগে খেলে এর কার্যকারিতা বেশি পাওয়া যায়। শিশুদের জন্য ডমপেরিডন সিরাপটি অনেক ভালো এবং এটি দ্রুত ভালো কাজ করে। এই সিরাপটি আসলে খাবারের পরে খেলে কার্যকারিতা পাওয়া যাবে কি তা না তবে খাবারের আগে খেলে কার্যকারিতা বেশি পাওয়া যাবে আর যদি খাবারের পরে খাওয়া হয় তাহলে একটু কার্যকারিতা কম পাওয়া যাবে।

ডমপেরিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতাঃ

আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা ডমপেরিডন ওষুধের উপকারিতা কি এবং কি কি কাজ করে।ডমপেরিডন এই ওষুধটি সরকারি অনুমোদন পাওয়া একটি কার্যকারী ওষুধ। এই ওষুধের অনেক উপকারিতা আছে। ডমপেরিডন এই ওষুধটি প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চাদের জন্য একটি কার্যকরী ওষুধ।

এই ওষুধের উপকারিতা অনেক যেমন এই ওষুধটি হজম শক্তি বাড়ায় গা গুলালে সেটা দূর করে বমি বমি ভাব আসলে সেটা দূর করে এবং এটি আরো অনেক রকমের উপকারিতা করে। আসলে যেকোনো একটি ওষুধ খেলে সেটা নিয়ম অনুযায়ী খেতে হয় আর যদি আমরা সেই নিয়ম অনুযায়ী খেতে না পারি তাহলে আমরা ক্ষতির দিকে চলে যায় এবং পরবর্তীতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুণঃমালয়েশিয়া শ্রমিক নিয়গ

তাই আমরা যে কোন ওষুধ খেতে হলে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী যেভাবে খেলে বলবে আমরা ঠিক ওই ভাবে খাব ডক্টরের পরামর্শে যদি আমরা ওষুধ পান করি তাহলে আমাদের রোগ বালাইও দূর হয়ে যাবে। আমরা যদি ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ পান করি তাহলে আমরা সুন্দর সুখময় জীবন যাপন করতে পারবো।

ডমপেরিডন ট্যাবলেট বেশি খেলে কি কি হয়ঃ

ডমপেরিডন এই ওষুধটি ছোট থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য একটি ওষুধ। তবে এই ওষুধটি বিভিন্ন অসুখের জন্য সেবন মাত্রা পরিবর্তন হতে পারে। যাদের বমি বমি ভাব আসে তাদের জন্য এই ওষুধটি এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি ছয় ঘন্টায় ২০ মিলিগ্রাম করে ৮ ঘন্টা পর পর আহারে খাওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে আবার অনেকেরই অনেক রকমের সমস্যা আছে যেমন খাবার খাওয়ার পরে খাবার ওঠে উঠে আসা ভাব হয়ে যায় এবং খাবার গিলতে পারে না জ্বালাপোড়া করে এর জন্য এই ওষুধটি সেবন করা যেতে পারে।

এই ডমপেরিডন ওষুধটি আপনি যদি বেশি সেবন করে থাকেন তাহলে এটা ভুল করবেন। এই ওষুধটি যদি আপনি নিয়ম অনুযায়ী এবং নিয়ম কানুন মেনে সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরের পক্ষে ভালো এবং দ্রুত আপনার যে সমস্যা ওটার কাজ করবে। আর আপনারা যদি এই ওষুধটি বাজারে ফার্মেসি থেকে নিয়ে থাকেন তাহলে ফার্মেসি থেকে সবকিছু ভালোভাবে জেনে ওষুধটি সেবন করবেন।

ডমপেরিডন খাওয়ার আগে না পরে তা জেনে নিনঃ

আমরা সবাই জানি রোগ হলে সুস্থ হওয়ার জন্য ওষুধ সেবন করতে হয়। আর আপনারা অনেক সময় ভুল করে থাকেন যেমন আপনি যে ওষুধটি সেবন করবেন সেটা নিজে নিজে সেবন করা ঠিক না। অবশ্যই আপনি যেখান থেকে ওষুধটি সংগ্রহ করবেন সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হয় এবং করবেন। কেননা সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা অতি জরুরী। 

আর এই ওষুধ সেবন করার সময় যদি আমরা ভুল করে থাকি ওষুধ সেবন করতে তাহলে আমরা রোগমুক্ত থেকে বঞ্চিত হই আর সেটা ভালোর দিকে নিয়ে না যেয়ে ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়। আর আমরা আরেকটা ভুল করে থাকি যেটা হলো ওষুধ সেবন করতে করতে যদি আমাদের রোগ মুক্ত হয়ে যায় আমরা ওষুধ সেবন করা বাদ দিয়ে দিই অর্থাৎ ওষুধ আর খাই না। 

এই ভুলটা আপনার অনেকেই করে থাকেন এটা করা যাবে না চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ মিলিয়ে ওষুধ দিবে ওই সবগুলো ডোজ শেষ করার পর যদি আমাদের রোগ মুক্ত হয়ে যায় তাহলে হয়তোবা আমরা ওষুধ আর খাব না। কিন্তু আপনারা সেটা করেন না অনেকেই অনেক সময় ডোজ না শেষ হতেই ওষুধ সেবন করা বাদ দিয়ে দিই আসলে এগুলো ভুল করা ঠিক না এইগুলা ভুল করলে আমরা রোগমুক্ত থেকে বঞ্চিত হব।

ডমপেরিডন সিরাপ এবং ট্যাবলেট এর দাম জানুনঃ

আমরা হয়তোবা অনেকেই জানি ডমপেরিডন এই ওষুধটি ১০ এমজি। ডমপেরিডন ট্যাবলেট টি ডমপাইন প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ড্রাগুলির একটি অংশ। ডমপেরিডন ১০ এমজি এই ওষুধটি ড্রাগ গ্রুপের ডম পাইন প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত। এর স্বাভাবিক দোষ ১০ মেগ্রী সাধারণত খাবারের আগে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় নেওয়া হয়।

এই ডমপেরিডন ১০ এমজি ওষুধের প্রতিক্রিয়াগুলি ডায়রিয়া হতে পারে মাথা ব্যাথা বুকের ব্যথা মুখে সূক্ষ্মতা ইত্যাদি আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব সাধারণ নয় এবং কয়েক দিনের মধ্যে দূরে যান। আর যদি আপনার সেটা বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার যে সমস্যা গুলি দেখা দেয় ওই সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ওষুধ সেবন করবেন। 

আরও পড়ুণঃকিভাবে মোবাইল লকেশন বের করব

অনেকেই আবার মুখের রুচির জন্য শরীর বাড়ানোর জন্য এই ডমপেরিডন ১০ এমজি ট্যাবলেটটি খেয়ে থাকে। ডমপেরিডন সিরাপ এবং ট্যাবলেটের দাম সাধারণত খুব বেশি না অল্প টাকায় পাওয়া যায় আর এই ওষুধ টাও কার্যকারী হিসেবেই চলে। ডমপেরিডন সিরাপটি ৬০ থেকে ৭০ টাকার ভিতরে পাওয়া যায় এবং ট্যাবলেট এক পাতাতে এক কথায় ১০ পিস ট্যাবলেটের দাম 20 থেকে 30 টাকা নিতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url