মেয়েদের জন্য কোন ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালো

আজকাল মেয়েদের মুখে অনেক ধরনের দাগ, মেছতা এবং বিভিন্ন ধরনের কালো স্পট পড়ে যাচ্ছে। এ সকল বিষয় নিয়ে মেয়েরা খুব দুশ্চিন্তায় আছে। আর কোন টেনশনের দরকার নেই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নিয়ে চলে আসলাম মেয়েরা কি ফেসওয়াশ মুখে দিলে তাদের মুখের বিভিন্ন ম্যাচটা ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

মেয়েদের মুখে যখন বিভিন্ন ধরনের দাগ বা স্পট পরে তখন তারা বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ বা ক্রিম এনে ব্যবহার করে। কিন্তু এগুলো ব্যবহার করার পর কোন কাজেই আসে না। তাই এখন আমরা আলোচনা করব কোন ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে মেয়েদের দাগ বা স্পট দূর হয়ে যাবে চিরকালের জন্য। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক মেয়েদের কোন ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালো।

পেজ সূচিপত্রঃ

ফর্সা হওয়ার ফেসওয়াশের নাম দেখুনঃ

আমরা যারা কালো এবং শ্যামলা রয়েছি অবশ্যই তারা ফর্সা হতে চান।যেকোনো আদর্শ ত্বক পরিচর্যার রুটিনের ভিত্তি হল ত্বক পরিষ্কার রাখা। আর সেই ত্বক পরিষ্কার রাখার জন্য রয়েছে ফেস ওয়াশ। আপনারা যদি ত্বকের সমস্যার কথা ভুলে যেয়ে বন্ধুদের পরামর্শে অনলাইনে ব্লগারদের কথা শুনে অযথাই ক্রিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন তাহলে সেটি আপনারা ভুল করবেন।

আরও পড়ুণঃগোদ রোগ কেন হয়

আপনার যদি এই ভুল বারবার করেন তাহলে আপনারা প্রয়োজনীয় আদ্রতা হারিয়ে যেতে পারে এবং তাকে সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই আপনারা এগুলো ভুল কখনোই করবেন না যদি আপনার ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সৌন্দর্য রাখতে চান তাহলে যেটা ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ ডক্টরের সাইন্সটিক দ্বারা পরিক্ষিত এইগুলা ক্রিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন। যেগুলো সঠিক ফেসওয়াশ সেগুলো ত্বকের ময়লা তৈলাক্ত দূর করে পরিষ্কার করে এবং ত্বক সূক্ষ রাখে। 

আমরা আমাদের ত্বক সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো তাহলে আমাদের বাহিরে চলাফেরা করতে সমস্যা হবে না কেউ বলতে পারবে না যে তোর ত্বকে এত ময়লা এবং অপরিষ্কার কেন। যেমন ফর্সা হওয়ার জন্য আপনারা অনেকেই অনেক রকমের ফাউন্ডেশন ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন আসলে আপনারা যদি এটা করেন এটা ভুল করবেন। তাই আপনারা অযথাই কোন ফাউন্ডেশন ক্রিম ব্যবহার করবেন না যেইটা ডক্টর সাইন্সটিক দ্বারা পরিক্ষিত সেগুলো ক্রিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালোঃ

আমরা হয়তো অনেকেই সূক্ষ্ম খুসখুশে চামড়া নিয়ে ভুগছি। সর্বপ্রথম আমরা আমাদের ত্বকের প্রথম রুটিন ত্বক সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ধুলাবালি থেকে বিরত থাকা। আমরা আমাদের ত্বকের ওপর নির্ভর করে ফেসিয়াল ক্রিম ফেসওয়াশ ইত্যাদি সামগ্রীগুলো পরিমাণ মতো ব্যবহার করব। আমরা যদি পরিমাণ মতো ব্যবহার না করে তার অধিক ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ত্বকের জন্য এইটা খুবই ক্ষতিকর। 

আমরা যদি কোন ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকি খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা যে ফেসওয়াশ ব্যবহার করব ওই ফেসওয়াশে ফেনা বিহীন ফেসওয়াশ বেছে নেব এবং সেটা ব্যবহার করব। যে কোন ফেসওয়াশে ফেনা থাকলে যে পরিষ্কার করবে এমন কোন কথা নাই আসলে ফেনা বিহীন ফেসওয়াস ত্বকের জন্য খুবই ভালো। যেমন একটি ফেসওয়াশের নাম নো লেদার এ ফেসওয়াস টি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত যে ভাবটা থাকে সেটা থেকে মুক্তি পাবেন এবং সে তৈলাক্ত ভাবটা আপনার ত্বকে দেখা দেবে না একদম সূক্ষ্ম পরিষ্কার দেখাবে।

শীতকালে কোন ফেসওয়াশ ব্যবহার করা ভালো তা দেখুনঃ

আমাদের যাদের মুখে ব্রণ আছে এবং আমরা সারা বছর যে ফেসওয়াশ টি ব্যবহার করে থাকি সেই একই ফেসওয়াশ আমরা শীতকালে ব্যবহার করব। কেননা শীতকালের জন্য ত্বকের কোন অতিরিক্ত আইটেম নেই। আর যদি থাকে ও আপনারা রেগুলার যে ফেসওয়াস ক্রিম গুলা ব্যবহার করেন একই গুলা শীতকালে ব্যবহার করতে হবে।কেননা আমরা এখন একটা ফেসওয়াশ ব্যবহার করছি ছয় মাস পরে যেটা ব্যবহার করতাম ওইটা চেঞ্জ করে আরেকটি ব্যবহার করছি এটা যদি আপনারা করেন তাহলে একদম ভুল করছেন।

আরও পড়ুণঃমানুষের হাত কোন শ্রেণির বিভাগ

আমরা রেগুলার যে ফেসওয়াশ দিয়ে ব্যবহার করি একই ফেসওয়াশ রেগুলার ব্যবহার না করলে আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক রকম ব্যান্ডের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে করতে আরেকটি ফ্রেন্ডের ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকে ব্রণ এবং আরো অনেক রকমের সমস্যা দেখা দিবে। আপনারা শীতকাল একটি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন সেটি হলো জেল বেলজট ফেসওয়াশ গুলার শীতকালে ব্যবহার করতে পারেন।

মেয়েদের জন্য কোন ক্রিম ব্যবহার করা উত্তমঃ

বন্ধুরা বিশেষ করে আমরা জানি যে পন্ডস ক্রিম কোম্পানির অনেক ডাক নাম এই কোম্পানির ক্রিম আমরা সবাই ব্যবহার করি। সমগ্র পৃথিবীর ভিতরে এটি একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ক্রিম। এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী ত্বককে সবসময় সূক্ষ্ম মলম রাখে। সৌন্দর্য নারীদের অলংকার রূপ।

আর তারা এই সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেক নামিদামি ব্রান্ডের ক্রিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকে। কারণ মেয়েদের প্রধান রূপ হলো তাদের সৌন্দর্য আরে সৌন্দর্য ধরে রাখতে মেয়েরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলে। সাধারণত মেয়েরা এখন ফর্সা হওয়ার জন্য খুঁজে থাকে কোন ক্রিম তাদের জন্য সবচাইতে ভালো যেই ক্রিমটা বাজারে বেশি ব্যবহার করা হয় এবং চলমান থাকে তারা সেটা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়।

আসলে এভাবে ব্যবহার করা উত্তম না বরং অনেক ক্ষতি। যেমন তারা যুগ যুগ ধরে যে ক্রিম ব্যবহার করে আসে তাদের ওই ক্রিমটাই ব্যবহার করতে হবে তা না হলে তাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হবে। এটা অনেকে বোঝেনা তাই আমরা প্রথম থেকে যে ক্রিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকি ওইটাই সবসময় ব্যবহার করব।

মেয়েদের ব্রণ দূর করার ফেসওয়াশঃ

আমরা আজকের আর্টিকেলে জানব মেয়েদের ব্রণ দূর করার ফেসওয়াশ সম্পর্কে এবং কি কি ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ব্রণ দূর করে। এর কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হলো 

১। পিয়াস আরেকটা মাইল ফেসওয়াশ তেল ক্লিয়ার ব্লগ।

২। ল্যাকমে প্লাস গ্লাস ব্লাস এন্ড গ্লো কিউই ক্রাস জেল ফেসওয়াশ।

৩। ডারমা লাজিকা ব্রেক আউট ক্লিয়ার থমিং ফেসওয়াশ।

উপরে যেগুলো ফেসওয়াশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে আপনারা হয়তো অনেকে এগুলো ফেস ওয়াশ সম্পর্কে জানেন আবার অনেকেই জানেন না। এগুলো অনেক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ আর এগুলো ব্যবহার করলে আপনাদের ত্বকের ব্রণ থাকবে না। আমাকে যাদের ত্বকে ব্রণ আছে ব্রণ দূর করার জন্য আমরা অনেক রকমের ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকি গরমকালে এবং শীতকালে সে একই ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকি।

উপরে উল্লেখ করা যেগুলো ফেসওয়াশের নাম দেয়া আছে আপনারা এগুলো ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে আপনাদের মুখে ব্রণ থাকবে না খুব সহজে এবং দ্রুত ব্রণ দূর হয়ে যাবে। আমরা সাধারণত মুখ ধোয়ার পরে ঝকঝকে ত্বক দেখতে কার না ভালো লাগে। সেই অনুযায়ী আমরা আপনাদের জন্য আপনাদের ভালোর জন্য উপরে উল্লেখ করা তিনটি ফেসওয়াশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে আপনারা সেগুলি ব্যবহার করবেন ইনশাল্লাহ আপনাদের মুখে ব্রণ দূর হয়ে যাবে।

কোন বয়সে মেয়েদের মুখে বেশি মেছতা পড়েঃ

বিশেষ করে এখন মেয়েদের জন্য একটি সমস্যা মেছতা এই সমস্যায় অনেক মেয়েরা বিভ্রান্তিতে আছে। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা পরে। এখন দেখা যায় বেশিরভাগ প্রতি ৯ জন ১০ জন মেয়েদের হয় এবং এতে পুরুষেরা অনেকে শিকার হয়েছে এই মেছতা। এরও কিছু না তো ইয়াং টিনেজারদের বেশি হয়।

এখনকার সময় দেখা যায় অনেক সময় বয়স্ক মহিলাদের ও এ মেস্তা রোগের শিকার হয়। সাধারণত দেখা যায় এখন ১৬ থেকে ১৭ বছরের আগে এই রোগটি হয় না। ১৮ বছর থেকে ৪০-৪৫-৫০ বছরের মহিলাদের এই মেছতা রোগটি হয়। এমনকি এই রোগটি এই সেম বয়সে পুরুষদেরও হয়ে থাকে। 

আরও পড়ুণঃপদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত

অনেক সময় আমরা দেখেছি ছোটদেরও মেস্তা হচ্ছে এবং যতদিন বয়স বাড়ছে এই মেছতার আগার আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বয়স ভেদে মেজতার বৃদ্ধির কারণ কি, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং এর উক্তি দূর করতে ভালো মানের ডক্টরের পরামর্শ নেয়া অন্তত জরুরী। আমরা যদি এই রোগে শিকার হই তাহলে বসে না থেকে অতি জরুরী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url