দাঁতের ফিলিং করার পর করণীয়

আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেরই দাঁতের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেমন দাঁতে পোকা লাগা, দাঁতের গোড়ালি ফুলে যাওয়া এবং দাঁত যন্ত্রণা করা এ ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।এ কারণে আমাদের দাঁত ভালো রাখার জন্য দাঁতের ফিলিং করা খুবই জরুরী। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব দাঁতের ফিলিং করার পর আপনারা যে সকল কাজগুলো করবেন।

আপনারা যদি দাঁতের ফিলিং করার পর।সঠিক নিয়ম কারণ মেনে না চলেন তাহলে ফিলিং করা দাঁতের সমস্যা হতে পারে। তাই দাঁত ফিলিং করার আগে জেনে নেওয়া দরকার দাঁত ফিলিং করার পর আমরা কিভাবে দাঁত ভালো রাখবো এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক দাঁত ফিলিং করার পর আমাদের কি কি কাজ করা প্রয়োজন।

পেজ সূচিপত্রঃ দাঁতের ফিলিং করার পর করণীয়

দাঁতের ফিলিং কিভাবে করা হয় তা জেনে নিনঃ

এখনতো প্রায় সব মানুষের দাঁতের সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।খাবার খাওয়ার পর আমরা ঠিকমতো দাঁতের যত্ন নি না।আর এই ঠিকমত দাঁতের যত্ন না নেওয়ার কারণে আমাদের দাঁতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে যেমনঃদাঁতের গড়া ব্যথা,দাঁতের গড়ালি ফুলে যাওয়া এবং দাঁতে পোকা এরকম আরো অনেক সমস্যা।আমাদের দাঁতের উপরে যে অংশটি রয়েছে এই অংশটির নাম হল এনামেল।আমাদের দাঁতের যখন ঠিকমতো যত্ন নিই না তখন থেকে আস্তে আস্তে আমাদের দাঁতের এই এনামেলটি নষ্ট হতে থাকে।


আর যখন এই এনাবেলটি নষ্ট হয়ে যায় তখন আমরা ডক্টরের কাছে গিয়ে আবার আগের মত নষ্ট হয়ে যাওয়া পরিষ্কার করে নি বা হয় স্থানীয় দাত ভরাট করে নেই। আর এই দাঁত ভরাট করার নেয়াকেই দাঁতের ফিলিং বলা হয়। আমাদের দেশে এখন সব মানুষই সৌন্দর্য সচেতনা পছন্দ করে এই কারণে দাঁতের কোন সমস্যা হলে দাঁত পরিষ্কার করে নেওয়া বা দাঁতের গর্ত ভরাট করে নেওয়ার জন্য সবাই তাদের সাথে মিল করিয়ে ফিলিং করাতে চায়। আর দাঁতের সাথে মিল করিয়ে ফিলিং করাকে কম্পোজিট ফিলিং বলা হয়।

দাঁতের ফিলিং খরচ কত বিস্তারিত জানুনঃ

এখন তো প্রায় সব মানুষেরই দাঁতে পোকা,দাঁতের গোড়ায় ব্যথা এবং দাঁত গর্ত হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে দাঁতের ফিলিং করাতে হয় আর দাঁতের ফিলিং করাতে কত টাকা খরচ হয়। আজকে আমরা এই দাঁতের ফিলিং করানো খরচ সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা যদি দাঁতের ফিলিং করানো খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক দাঁতের ফিলিং করানোর জন্য কত টাকা খরচ হয়।

আমাদের দাঁতে তো প্রায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।যেমন দাঁতের গোড়ালি ফুলে যাওয়া, দাঁত যন্ত্রণা করা এবং দাঁতের মাঝখানে গর্ত হয়ে যাওয়া সাধারণত যখন দাঁতের মাঝখানে গর্ত হয়ে যায় তখন আমাদের তাদের ফিলিং করানো খুব জরুরী হয়ে যায়।দাঁতের ফিলিং করানোর অনেক ধরনের রকম আছে। ভিন্ন ধরনের ফিলিং এ ভিন্ন ধরনের খরচ। যেমন আপনি যদি দাঁতের কসমেটিক ফিলিং করাতে চান তাহলে আপনার ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে। আর এই কসমেটিক ফিলিং টি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আপনি যদি এই কসমেটিক ফিলিং কোরান তাহলে অনেক দীর্ঘদিন দাঁত ভালো থাকবে এবং টিক সই হবে।

দাঁতের ফিলিং করার পর ব্যথা হওয়ার কারণঃ

আমাদের দাঁতে যখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তখন আমরা ডক্টরের কাছে গিয়ে দাঁতের প্রোটিন বা ফিলিংকরাই।কিন্তু দাঁতের প্রোটিন বা ফিলিং করিয়ে নেয়ার পর আমরা সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে চলি না। এ কারণে আমাদের দাঁতের শিশি রানী এবং ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এখন আমরা আলোচনা করব আপনারা তাদের ফিলিং করানোর পর দাতে শীর শীরানী এবং ব্যথা থেকে কিভাবে দূরে থাকবেন। তাহলে দেখে নিন কিভাবে আপনারা দাঁতের ফিলিং করানোর পর দাঁতের যত্ন নিবেন।

আমরা সাধারণত দাঁতের প্রোটিন বা ফিলিং করে নেয়া আসার পর ডাক্তারের দেওয়া নিয়মকানুন মেনে চলি না। এ কারণে আমাদের দাঁতের ব্যথা শুরু হয়ে যায়। সাধারণত যখন দাঁতের গর্ত হয় তখন থেকে দাঁতের ব্যথা শুরু হয়। এতে করে আপনারা যদি তাড়াতাড়ি দাঁতের ফিলিং করে না নেন তাহলে খুব বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আমরা দাঁতের ফিলিং করানোর পর বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাই যেমনঃ সেভেন আপ, কোকাকোলা, আইসক্রিম ফ্রিজে রাখা পানি আরো অন্যান্য ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি এর কারণে আমাদের দাঁতে শিরশিরানি শুরু হয়।

আরও পড়ুণঃওয়ালটন মোবাইল প্রাইস ইন বাংলাদেশ

আর আস্তে আস্তে শীর শিরানী বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের দাঁতের ব্যথা খুব বেড়ে যায়। তাই আমরা দাঁত ফিলিং করানোর পর বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবো। এর সাথে সাথে বেশি শক্ত জাতীয় খাবার ও খাওয়া যাবে না যেমনঃ কাঠবাদাম, ভুট্টা ভাজা, সিম ভাজা বাদাম আরও বিভিন্ন ধরনের শক্ত জাতীয় খাবার। এগুলো খাবার আমাদের দাঁত কে খুব প্রেসার দেয় এ কারণে দাঁতের ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।

দাঁতের পুডিং কি তা সম্পর্কে জানুনঃ

বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার পর আমরা ঠিকমতো দাঁতের কোনাকুনি বা দাঁতের ভেতরে পরিষ্কার করি না। এর কারণে খাদ্য দাতের ভেতরে দীর্ঘস্থায়ী সময় থেকে যায়। আর এই খাদ্যগুলো অনেক বেশি সময় তাদের ভেতরে থাকার কারণে খাদ্যগুলো পচন ধরে এতে দাঁতের উপরে কালো দাগ পড়ে যায় এবং উপর থেকে দাঁতের গর্ত হতে শুরু করে। আর আমাদের যাতে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আস্তে আস্তে দেখা যায় দাঁতের যন্ত্রণা শুরু হয়। সাধারণত আমরা দাঁতের যন্ত্রণা দূর করার জন্য ছোটখাট ডাক্তারের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি।

কিন্তু এ সকল ওষুধ খেয়ে কোন কাজেই আসে না। দাঁতে যখন অতিরিক্ত গড়া ফুলে যায় এবং দাঁতের উপর থেকে গর্ত হতে শুরু করে তখন বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়েও কোন কাজ হয় না তখন এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য দাঁতের প্রোটিন বা ফিলিং করাতে হয়। এবং আমাদের দাঁতের এখন ছোটখাটো সমস্যা হয় দাঁতের শীর্ষে রানী দাঁতের গোড়ালি ব্যথা এ ধরনের সমস্যার হলে আমরা দাঁতের পুডিং করিয়ে নিতে পারি।

আর দাঁতের পুডিং করালে এ ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। দাঁতের পুটিং করানোর জন্য প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মত খরচ হয়ে থাকে। আর দাঁতের ছোটখাটো সমস্যার জন্য যদি ফুটিং করিয়ে নেই তাহলে দাঁত ভালো রাখতে পারব। আর দাঁতের অল্প সমস্যাতে যদি পুটিং করিয়ে নিন তাহলে জটিলতা সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

দাঁতের ফিলিং করার পর কত বছর স্থায়ী থাকে তা জানুনঃ

ওপরে আমরা দাঁতের পুডিং করা, দাঁতের ফিলিং করানো এবং আরো অন্যান্য বেশি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এবার আমরা জানবো দাঁতের ফিলিং করার পর কত বছর স্থায়ী থাকে। আর দাঁতের ফিলিং করার পর কত বছর স্টাডি থাকে এ বিষয় নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দাঁতের ফিলিং করার পর কতদিন থাকবে।আমাদের দাঁতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফিলিং করিয়ে থাকি যেমনঃ জিংক অক্সাইড, কম্পোজিট ফিলিং, কসমেটিক ফিলিং আরো অন্যান্য ফিলিং রয়েছে যা আমরা দাতে করিয়ে থাকি।

জিংক অক্সাইড ফিলিংঃ আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আমরা ফিলিং করে থাকি এর মধ্যে হলে একটি জিংক অক্সাইড ফিলিং। আমরা যখন দাঁতের রুট ক্যানেল বা পুডিং কড়িয়ে থাকি তখন এই  ফিলিং ব্যবহার করা হয়। ডক্টররা এই ফিলিং করানোর পর কোন নির্ধারিত সময় দিয়ে থাকে না। এই ফিলিং করানোর পর চার থেকে পাঁচ মাসে থাকতে পারে কিংবা 6 থেকে ১ বছর পর্যন্ত লাস্টিং করতে পারে।

কম্পোজিট ফিলিংঃ কম্পোজিট ফিলিং হলো, খুব শক্তিশালী এবং মজবুত একটি ফিলিং এই ফিলিং করানোর পর প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত লাস্টিং করে থাকে। আপনারা যদি কম্পোজিট ফিলিং করাতে চান তাহলে তিন থেকে চার হাজার টাকার মত খরচ হবে।

কসমেটিক ফিলিংঃ কসমেটিক ফিলিং তেমন বেশি ভালো না। দাঁতের গরা ব্যথা, দাঁতে কালো দাগ পড়া এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে কসমেটিক ফিলিং করানো হয়। আপনারা যদি কসমেটিক ফিলিং করান তাহলে দুই তিন বছর পর্যন্ত লাস্টিং করতে পারে। এই কসমেটিক ফিলিং সাধারণত অল্প সমস্যা দেখা দিলে করানো হয়। আপনাদের দাঁতে যদি শিরশিরানি হয় বা দাঁতের উপরে কোন ধরনের কালো দাগ পড়ে তাহলে আপনারা কসমেটিক ফিলিং করাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url