পিতা মাতার অভাধ্য সন্তানের শাস্তি

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব পিতা-মাতার অবাধ্য হলে কি কি শাস্তি হতে পারে।পিতা মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে যে সকল শাস্তি পেতে হবে তা জানতে চাইলে আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। পিতা মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে এবং তাদের কথা মতো না চললে হাদিস কুরআনে অসংখ্য ভয়াবহ শাস্তির কথা উল্লেখ করা আছে।জাহান্নাম থেকে জান্নাতে যাওয়ার সবচাইতে কাজ হল পিতা-মাতের কথা মত চলা।

পিতা-মাতা হলো দুনিয়ার জান্নাত। যে সকল ব্যক্তি দুনিয়াতে পিতা-মাতার কথা মত চলাফেরা করবে এবং নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিবেন।। আর আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব পিতা মাতার অবাধ্য হলে কি কি শাস্তি হতে পারে এ সকল বিষয় সম্পর্কে।আপনারা যদি পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া শাস্তি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

পেজ সূচিপত্রঃ পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানের শাস্তি

অবাধ্য সন্তান নিয়ে উক্তিঃ

দেখা যায় আমরা প্রায় সময়ই পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে চলি। যা যা আদেশ করেন তা আমরা মানি না আমরা নিজের মতো করে চলি। আমরা অনেক সময় নিজের মতো করে চলতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের বিপদে পড়ি এতে পরে দুশ দি কপালের। এখন আমরা আলোচনা করব মা বাবার অবাধ্য সন্তান নিয়ে কিছু উক্তি। আপনারা যদি এই উক্তিগুলো জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক অবাধ্য সন্তানের উক্তি।

আরও পড়ুণঃ দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়

মা বাবা আমাদের অনেক কষ্টে লালন পালন করে ছোট থেকে বড় করে তুলে।আর যে ব্যক্তি মা বাবার অবাধ্য হয় সেই ব্যক্তির কোনদিন ভবিষ্যৎবাণী আর ভালো হয় না। ধীরে ধীরে তিনি শুধু ধ্বংসের পথেই ঝরে পড়ে।রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন যে ব্যক্তি পিতা মাতার অবাধ্য হয় তাকে মহান আল্লাহ তা'আলা পছন্দ করেন না।

যে ব্যক্তি মা বাবার অবাধ্য হয়ে চলাফেরা করে সেই ব্যক্তি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না।তিনি সবসময়ই আল্লাহর কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকবে। হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছিলেন যে ব্যক্তি মা-বাবার সন্তুষ্টি চায় তার জন্য আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্টি চায়।

মা-বাবা সন্তুষ্টি চাওয়ার জন্য হাদিস কোরআনে বারবার মা বাবার সন্তুষ্টি লাভের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই হাদিস কুরআনে বারবার বলা হয়েছে যদি পিতা-মাতা কোনরকম ভুলভ্রান্তিও করে থাকি বা তোমাকে যদি মারধরও করে তাও তাদের ওপর কোনো রকম ভাবে খেপদিতো হওয়া যাবে না।

পিতা মাতার গুরুত্বঃ

প্রায় সময় দেখা যায় পিতা মাতার কোন খোজ খবর নেই না।তাদের সাথে সদ ব্যবহার করিনা। এতে করে আল্লাহ তাআলা বেজার হন। সব সময় আদেশ করা নিয়ে এসেছে তোমরা আল্লাহ তাআলার ইবাদত পালন করো এবং পিতা মাতার প্রতি খেয়াল রাখো। পিতা মাতার সাথে কোন সময় খারাপ ব্যবহার করবে না তাদের সাথে সবসময় সৎ ব্যবহার করবে।হাদিস কুরআনে আরও এসেছে যে ব্যক্তি পিতা মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে তিনি কোন সময় সবার কাছে সম্মানের পাত্র হতে পারবে না।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন তোমরা কোন সময় পিতা-মাতাকে ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করবে না। তোমরা সব সময় পিতা-মাতার প্রতি সদ আচরণ কর। তাদের মনে কোন সময় কষ্ট দেবে না। পিতা-মাতা যদি কোন রকম ভুল ভ্রান্তি করে থাকে বা তোমার সাথে ধরনের খারাপ আচরণ করে থাকে তাহলে তাকে কোন ধমক দেওয়া যাবে না।বরং তার সামনে থেকে মাথা নিচু করে চলে আসবে। এবং তাদের সাথে মমতাবোধ দেখিয়ে চলাফেরা করবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা পিতা-মাতার মাধ্যমে আমাদেরকে এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আর বলেছেন  পিতা মাতাই হল তোমাদের সবচেয়ে প্রিয় বা আপনজন। তাদের তোমরা কোন সময়ই কোন ভাবে কষ্ট দুঃখ দেবেনা। আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা পাশাপাশি পিতা মাতার খেদমত করার তাগিদ দিয়েছেন বারবার।

পিতা মাতাকে কষ্ট দিলে জাহান্নামে যেতে হবে কেনঃ

যদি কোন রকম ভাবে আপনারা আর মা-বাবার প্রতি অসন্তুষ্ট হন তাহলে জাহান্নাম অবধারিত।মহান আল্লাহতালা বলেছেন আমার এবাদত করা পাশাপাশি তোমরা পিতা-মাতার সদাচরণ করে এবং তাদের খেদমত করো। যে ব্যক্তি পিতা-মাতার খেদমত করবে তাদের সাথে কোন রকম ভাবে খারাপ আচরণ করবে না তারা এই দুনিয়াতে এবং পরকালেও ভালো কিছু লাভ করবে। হাদিস কোরানে বারবার এসেছে যে ব্যক্তি আমার ইবাদত করা পাশাপাশি মা-বাবার খেদমত এবং তাদের কথামতো চলাফেরা করবে না তাদের জন্য জাহান্নামের দুটি দরজা অবধারিত খোলা থাকবে।

যে সন্তান মা-বাবার অবাধ্য হয়ে চলাফেরা করে এবং আল্লাহ তাআলার কোন আদেশ নিষেধ মেনে চলে না হাদিসের উপলক্ষে সেই সন্তানকে বলা হয়েছে ফিতনা। যে সন্তান পিতা মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং তাদের দেখতে পারেন না তাদেরকে মহান আল্লাহ তা'আলা সহ্য করতে পারেন না।

পিতা-মাতা সন্তানের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যখন আল্লাহর কাছে দূর রাকাত নামাজ পড়ে বলেন আমি আমার সন্তানের উপর খুবই অসন্তুষ্টি আমি আমার সন্তানের জন্য খুবই কষ্টে আছি। আমি যেদিন তোমার কাছে নামাজ আদায় করে বলবো সেদিন তুমি আমার সন্তানের লাশ আমার কাছে এনে দিও। তাহলে আপনারা ভাবুন সন্তান পিতা মাতাকে কতটা কষ্ট দিলে পিতা-মাতা আল্লাহ তায়ালার কাছে সন্তান এর মৃত্যু কামনা করেন। তাই আমরা কোন সময় পিতা-মাতার সাথে কোন রকম ভাবে খারাপ ব্যবহার করব না তাদের মনে কোন রকম কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করব না তাহলে আল্লাহ তা'আলা বেজার হবেন এবং জাহান্নাম অবধারিত হবে।

পিতা মাতাকে কষ্ট দিলে কি হয়ঃ

একজন মা একটি সন্তানকে দশ মাস দশ দিন গর্ভে রাখার পর পৃথিবীতে জন্ম দেয়। এবং তারপর থেকেই মা সন্তানকে খুব আদর যত্নে লালন পালন করে বড় করে তোলে।সব দুঃখ কষ্ট বেদনা পিছনে ফেলে দিয়ে মা সন্তানকে লালন পালন করে থাকে। আর এই কারণেই আদেশ কুরআনে এসেছে তোমরা বড় হয়ে মা-বাবাকে দুঃখ কষ্ট দেবে না। তাদের সাথে সবসময় সদাচারণ করবে। তাদেরকে কোনো সময় বকবে না।

মা বাবা অনেক শত কষ্টের পরেও একজন সন্তানকে ছোট থেকে বড় করে তোলে। সন্তানের যখন ২ বছর হয় তখন সে মায়ের দুধ ছাড়ে। এবং তার পরেও মা-বাবা তার লেখাপড়া যাবতীয় খাবার-দাবার ও জামাকাপড় পরিয়ে তাকে বড় করে তোলে। তাই হাদিস কোরআনে এসেছে তোমরা কখনো ওই মা-বাবাকে দুঃখ কষ্ট দেবে না তাদের সাথে সবসময় সাধারণ করবে। 

পিতা মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করা খুবই ভয়াবহ একটি কাজ। যারা পিতা মাতার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তাদের সন্তুষ্টি চায় না তাহলে জাহান্নাম অবধারিত। এই দুনিয়াতে স্বার্থ ছাড়া ভালবাসেন শুধু পিতা মাতা। সমস্ত হাদিস কোরআনেও পিতা-মাতাকে সম্মান করার কথা বলা হয়েছে। আর সবকিছু জেনেশুনে যারা পিতা-মাতা সাথে খারাপ ব্যবহার করবে তারা পরকালেও জাহান্নামি হবে এবং দুনিয়াতে অনেক কষ্টের সঙ্গে ভুবেন।

পিতা মাতার অবাদ্ধতার পরিনামঃ

পিতা-মাতা হল দুনিয়াতে একজন সন্তানের জাহান্নাম জান্নাত। যে সন্তান পিতা মাতার সাথে সদাচারণ করবে এবং তাদের খেদমত করবে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে এবং তার পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করবেন সৎ পথে চলবেন তারা পরকালে এবং দুনিয়াতেও ভালো কিছু অর্জন করবে। এবং যারা পিতামাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে এবং তাদের অসন্তুষ্টি চাবে তারা কোনোভাবেই জান্নাত লাভ করতে পারবে না তাদের জন্য জাহান্নামের দুটি দরজা খোলা থাকবে।

আরও পড়ুণঃহজ্জের গুরুত্ব ও ফজিল

আল্লাহ তাআলা বলেছেন যে ব্যক্তি আমার ইবাদতের পাশাপাশি পিতা আমাদের খেদমত করবে না এবং তাদের কথা মত চলবে না তাদের আমি পছন্দ করি না। পৃথিবীতে পিতা মাতাই হলো ভবিষ্যতের বুনিয়াদ আর যারা পিতা-মাতা সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ ব্যবহার করবে এবং তাদের বকাবকি করবে তাদেরকে দেখতে পারবে না তারা কোন সময় ভালো কিছু অর্জন করতে পারবে না তাদের জন্য সামনে শুধু অপেক্ষা করছে দুঃখ কষ্ট বেদনা।

শেষ কথাঃ

ওপরে আমরা পিতা-মাতা সাথে কেমন ব্যবহার করে চলবে এই সকল বিষয় সম্পর্কে অনেক কিছু আলোচনা করেছি। ওপরের পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি আপনারা অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি আল্লার ইবাদত করার পাশাপাশি পিতা মাতার সাথে সদাচারণ করেন এবং তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন তাহলে এই দুনিয়াতে এবং পরকালেও ভালো কিছু পাবেন।আর এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে বেশি বেশি শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url