পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্তিত
প্রিয় গ্রাহক আমাদের দেশে পদ্মা সেতু তৈরি হয়েছে কিন্তু কোন জেলায় অবস্থিত হয়েছে আপনারা প্রায় অনেকেই জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নিয়ে চলে আসলাম পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত হয়েছে এবং পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
প্রিয় পাঠক আপনারা যদি পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত এবং পদ্মা সেতুর সকল বিষয়ে সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত এ বিষয় সম্পর্কে।
আর্টিকেল সূচি পত্রঃ
- পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত জেনে নিন
- পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি
- পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত বিস্তারিত জানুন
- পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
- পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু
- শেষ কথা
পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত জেনে নিন
পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জ শরীয়তপুর মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত। এটি একটি সড়ক রেল সেতু। এই সেতুটি পদ্মা নদীর উপর দিয়ে অবস্থিত।এ সেতুটির বেশিরভাগ অংশ শরীয়তপুর জেলায় রয়েছে। এ সেতুটি আমাদের জাতির পিতার বঙ্গকন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু।
আরও পড়ুণঃ জিলহজ মাসের চুল নখ কাটার বিধান
এই সেতুটি নির্মাণ হয়ে মুন্সিগঞ্জ শরীয়তপুর মাদারীপুর জেলার মানুষেরা অনেক উপকৃত হয়েছে। এই পদ্মা সেতুটির উপর দিয়ে বাস ট্রাক বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে এবং নিচে দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। এই সেতুর দুই প্রান্তেই টোল বুক আছে বাস ট্রাক সকল যানবাহন চলাচলের টোল দিতে হয়। এই সেতুটি অনেক উন্নত মানের রড সিমেন্ট সবগুলো সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি
বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে অনেক উন্নত মানের সামগ্রী দিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতুর পিলার মোট ৪২ টি। আমাদের বাংলাদেশের স্বপ্ন সেতু পদ্মা সেতু দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ষষ্ঠ। আমাদের বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর বিশেষ সবচেয়ে বড় ট্রাস্ট। বাংলাদেশের পদ্মা সেতু স্বপ্নের সেতুর আয়ুকাল দেওয়া হয়েছে ১০০ বছর। বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতুতে লেন সংখ্যা চারটি রয়েছে।
এই পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে সংযোগ করেছে ১২ টি জেলাকে। কালিম মাননীয় দেশরত্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে ৪ জুলাই ২০০১
সালে। বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু দেশরত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ২৫ জুন ২০২২ সালে উদ্বোধন করেন। বিশ্বের বৃহত্তম সেতুর মধ্যে পদ্মা সেতু
২৫ তম স্থান অধিকার করে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে ৩০ হাজার ১৯৩.৩৯ কোটি
টাকা ব্যয় করেন।
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত বিস্তারিত জানুন
দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার আর ডায়াডাক্ট ৩.১৮ কিলোমিটার। বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জ শরীয়তপুর মাদারীপুর এই তিনটি জেলার উপর বৃহত্তম সেতু। বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে চায়না রেলওয়ে মেজর ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পিলারের গভীরতা ৩৮৩ ফুট। পদ্মা সেতু পিলারের ১৫০ মিটার দূরত্ব। পদ্মা সেতু পাইলিং পিলারের সংখ্যা মোট ২৬৪ টি। আসলে পদ্মা সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২ টি আর স্পেন সংখ্যা ৪১ টি। প্রতিকূল পরিবেশ ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জিং এর বাংলাদেশ সরকার এই স্বপ্নের পদ্মা সেতুটি জনগণকে উপহার দেয়। এই নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জনগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনেক খুশি।
আরও পড়ুণঃ পিতা মাতার অভাধ্য সন্তানের শাস্তি
বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জনগণ চাই এরকম প্রধানমন্ত্রীর মত ব্যতীত কাউকে চায় না তারা শুধু তাকে চায় কারণ বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জনগণ আগে ট্রলার স্পিডবোট নৌকা বিভিন্ন উপায়ে চলাচল করত। আর এখন বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তম সেতু পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জনগণের জন্য অনেক পাওয়া। পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিকঠাক করতে পারে আর ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু নির্মাণ করার প্রস্তুতি নেয় ৪ জুলাই ২০০১ সালে। এ সেতুটি ছিল যাদের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নে সেতু। তার এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বঙ্গমাতা মানিক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সেতুটি নির্মাণের জন্য অনেক জনগণের সুবিধা হয়েছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জনগণের যানবাহন করে ব্যবসার মালামাল নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। অনেক জনের স্বপ্ন এ সেতুতে করে পারাপার করা হয়। পদ্মা সেতুর পুরো নাম পদ্মা বহুমুখী সেতু। সেতুটির আয়ু কাল ১০০ বছর করা হয়েছে। সংযোগ সড়ক হচ্ছে জাজিরা ও মামা প্রান্তে। ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রা ৯ {রিখটার স্কেলে}। স্বপ্নের পদ্মা সেতুটি দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন সেতু কর্তৃপক্ষ এ সেতুটি আসলে অনেক মানুষের স্বপ্ন সেতু। স্বপ্নের পদ্মা সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল নভেম্বরের ২৬ তারিখ ২০১৪ সালে। নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ হয়েছে ৯১৮ হেক্টর। এ সেতুটির নকশা প্রদান করেছেন আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ার। বাংলাদেশের স্বপ্নে সেতু পদ্মা সেতুটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বঙ্গ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু
নদীর এপার নদীর ওপারকে এক করতে পারে একমাত্র একটি সেতু। বিভিন্ন যানবাহনে করে মালামাল নিয়ে যাইতে সহায়তা করে একটি সেতু। বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবে পরিণত হয়েছে আর এই বাস্তব অসম্পূর্ণ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই স্বপ্নের সেতু নির্মাণের দেশ বিদেশের মানুষের আগ্রহের সীমা নেই।
এ পৃথিবীর মানুষের যেমন এবং পশু পাখির আয়ু কাল আছে তেমনি এই সেতুটির আয়ু কল আছে এ সেতুটির আয়ু কাল দেয়া হয়েছে ১০০ বছরেরও বেশি। বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু বিশ্বের ১২২ তম স্থান দখল করেছে এই সেতু। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে বেশ কয়েকটি জেলাকে ঢাকা সড়ক যুক্ত করেছে এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু শুধু সেতু নয় এটি বাংলাদেশের সক্ষমতা ও অহংকারের একটি প্রতীক।
আরও পড়ুণঃ রাজশাহী কলেজ ভর্তি তথ্য ২০২৩
আর এই সক্ষমতা ও অহংকারের প্রতীক বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের বাংলাদেশের জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সেতু নির্মাণে দক্ষিণা
পশ্চিম অঞ্চলের জনগণ অনেক আনন্দিত এবং অনেক সুবিধামুখর। ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ
টাকা ব্যয় করে এই স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে বাস্তবায়ন করেছেন বাংলাদেশের জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত - শেষ কথা
উপর থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আশা করি আপনার পদ্মা সেতু কোন জায়গায় অবস্থিত তা জানতে পেরেছেন। পদ্মা সেতুর কোন জেলায় অবস্থিত শুধু তাই নয় আজকের পুরো আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি পদ্মা সেতুরে পিলার কয়টি, পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু,পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ ঙ্গান সকল বিষয় সম্পর্কে। এগুলো পড়ে আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। এবং এসব আরো টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো রাখুন।
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url