১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বক্তব্য

প্রিয় গ্রাহক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে।আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই জাতীয় শোক দিবসে যে সকল বক্তব্য হয়েছিল তা সম্পর্কে আমরা জানিনা।তাই আপনারা যদি ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য গুলো জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

আজকের এই পোস্টে আমরা জাতীয় শোক দিবসে কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো হলঃ ১৫ ই আগস্ট এর ইতিহাস, জাতীয় শোক দিবসের ভাষণ, জাতীয় শোক দিবস কবে তা জানুন আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক জাতীয় শোক দিবসের কিছু বৈশিষ্ট্য গুলো।

পেজ  সূচিপত্রঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বক্তব্য

জাতীয় শোক দিবস কবে তা জানুন

আমরা প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট শোক দিবস পালন করে থাকি। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে ডাক দিয়েছিলেন।এই দিনে কোটি কোটি মানুষের সামনে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৫ ই আগস্ট আমাদের দেশে জাতীয় পতাকা এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা ধানমন্ডি ১ তার নিজ বাড়িতে তা সপরিবারে সবাইকে হত্যা করা হয়েছিল। তাই আমরা এই দিনটিকে ১৫ই আগস্ট শোক দিবস হিসেবে বিবেচনা করে থাকি।

১৫ আগস্ট এর ইতিহাস

১৫ আগস্ট শোকের দিন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দিনে বলেছিল আল্লাহর দোহাই আমাকে হত্যা করবেন না।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশের মানুষকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসতেন, এদেশের মানুষকে বিশ্বাস করতেন ,এছাড়াও তিনি এ দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। 

আরও পড়ুণঃ ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে ১৫ ই আগস্ট হত্যা করা হয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা করা হয়েছে সাথে ১০ বছরের শিশু রাসেল রেহাই পাইনি সেই দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির এক কলঙ্কিত দিন ছিল সেদিন। দিনটা ছিল ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট ধানমন্ডি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর বাড়িতে এমন হত্যাকাণ্ড চালায় নিকৃষ্ট হত্যা কারীরা।

সেই দিনটা ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্য অত্যন্ত একটি নিকৃষ্ট দিন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাই আমরা তাকে শ্রদ্ধা করে এই দিনে স্মরণ করি দোয়া মাহফিল করি হয়তো তিনি না থাকলে আমাদের এই দেশটা আর সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠত না।   

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করে থাকি কারণ আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে এবং তার সহ পরিবারকে সেই দিনে হত্যা করা হয় আমরা প্রাণ খুলে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করি সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।বাংলাদেশে আগস্ট মাস একটি শোকের মাস এই মাসে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল।

আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছিল তার জ্ঞান ভান্ডার, সাহস, তিনি এদেশে মানুষকে বাসতেন এবং বিশ্বাস করতেন। তাই আমরা আগস্ট মাস এবং ১৫ ই আগস্ট এই দিনটা অত্যন্ত শ্রদ্ধা স্মরণে রাখি।

জাতীয় শোক দিবসের ভাষণ

আসলে আগস্ট মাস শোকের মাস।এই মাসের ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে এবং তা সহ পরিবার সহ হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু একটা দুঃখের বিষয় হলো এমন একটা ব্যক্তির শোক জ্ঞাপন করতে আপনাদের সামনে এসেছি। আসলে সে একটা মানুষই ছিল না আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের অন্তরে অন্তরে জায়গা রেখেছিল।তিনি হয়তো না থাকলে আমরা আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ কি আর বাংলাদেশ দেখতে পারতাম না। তুমি তার জীবন যুদ্ধ রেখে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা

১৫ ই আগস্ট শোক দিবস।এই দিনে বিভিন্ন স্কুল কলেজ আরো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন করা হয়। ১৫ ই আগস্ট শোক দিবস সবগুলো ধর্মই পালন করে থাকে। এক কথায় যারা বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে চিনে তারা সবাই এই দিবসটি পালন করে। এছাড়াও এই দিবসটি পালন করার মেন উদ্দেশ্য হল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এই সোনার বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছেন।

আরও পড়ুণঃ সিজারের পর খাওয়ার তালিকা

তিনি না থাকলে হয়তো বা এই পূর্ণতা অপূর্ণ থেকে যেত। তাই আমরা ১৫ ই আগস্ট এই দিবসটি পালন করে থাকে। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্মরণে এই দিবসটি পালন করা হয়। আগস্ট মাসটাই হলো একটি শোকের মাস কারণ এই মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে এবং তার এবং তার সহ পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

১৫ই আগস্ট নিহতদের নামের তালিকা

দিনটা ছিল ১৫ই আগস্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার কে যারা হত্যা করেছে তারা সেই দিন পরিকল্পনা করেছিল যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের কাউকে জীবিত রাখবেন না এরকম পরিকল্পনা করেছিল।এবং তারা ৩২ নম্বর বাড়ি সহ আশেপাশের বাড়িগুলোতেও হত্যার জঘন্য উল্লাসে মেতে ওঠে। সেদিন এই দেশের জন্য অনেকজন শহীদ হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেউ হত্যা করা হয়েছিল এবং তার সহ পরিবর্তন সহ হত্যা করে তারা।

তার মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় ছেলে, এবং বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল কেও হত্যা করা হয়েছিল।  তার মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, তার মধ্যে ছিল সে কামালের স্ত্রী সুলতানা খুকু, শেখ জামালের স্ত্রী পারভীন জামাল রোজী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেজ বোনের স্বামী আব্দুর শেরনিয়াবাত। এছাড়া আরো অনেক জন এই দিনে শহীদ হয়েছিলেন।

১৫ ই আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন

সেই দিনের কালো রাত আসলে অনেক ভয়াবহ রাত ছিল। সেই অন্ধকার কাল রাত্রে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহ পরিবার কে হত্যা করা হয়েছিল। ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়িতে সেদিন কালো অন্ধকার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ছেলে এবং আবু নাসের তার মধ্যে ছিল সে কামালের স্ত্রী সুলতানা খুকু।

তার মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, আরো ছিল শেখ জামালের স্ত্রী পারভিন জামাল রোজী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেজ বোনের স্বামী আবদুর শেরনিয়াবাত কে হত্যা করা হয়েছিল। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর মেজ বোনের বড় ছেলে শেখ ফজলুল হক কে হত্যা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুণঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

শেখ ফজলুল হক এর স্ত্রী বেগম আজরু মুনিকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিউল উদ্দিন কে হত্যা করা হয়েছিল। আব্দুর রব শেরনিয়াবাতের ছোট মেয়ে  বেবি  শেরনিয়াবাত কেউ হত্যা করা হয়েছিল। এছাড়াও আরো অনেক জনকে সে কালো অন্ধকার রাতে হত্যা করা হয়েছিল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url