ডিসেম্বর মাসের সরকারি ছুটি - সরকারি ছুটির তালিকা
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই জানেন না ডিসেম্বর মাসের সরকারি ছুটি কেন রাখা হয়। অনেকেই জানতে ইচ্ছুক কেন ডিসেম্বর মাসে সরকারি ছুটি হয়। সারা বছরেও বা মাসে মাঝে মধ্যে দু একদিন করে ছুটি থাকে। কিন্তু সারা বছর গিয়ে ডিসেম্বর মাসে একবারে অনেক দিন ছুটি দেওয়া হয় কেন। এ সকল বিষয় সম্পর্কে অনেকজন জানার জন্য ইচ্ছুক থাকেন।
তাই আজকের এই আর্টিকেল আমরা আলোচনা করব ডিসেম্বর মাসে সরকারি ছুটি এবং আরো অন্যান্য সরকারি ছুটির তালিকা নিয়ে। আপনারা যদি এই ছুটির তালিকা গুলো সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে এই পুরো আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। তাহলে চলনা দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক সরকারি ছুটির তালিকা গুলো।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ
- ডিসেম্বর মাসে সরকারি ছুটি সম্পর্কে জানুন
- ডিসেম্বর মাসে কেন সরকারি ছুটি দেওয়া হয়
- মার্চ মাসে সরকারি ছুটি
- কোরবানির সরকারি ছুটি
- ফেব্রুয়ারি মাসের সরকারি ছুটি
- সরকারি ছুটির তালিকা - শেষ কথা
ডিসেম্বর মাসে সরকারি ছুটি সম্পর্কে জানুন
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই ২০২৩ সাল সরকারি ছুটির তালিকা গুলো দেখতে চাচ্ছেন।
তাই আজকের এই পোস্টে আমরা নিয়ে চলে আসলাম ডিসেম্বর মাসের সরকারি ছুটির তালিকা
গুলো নিয়ে। আপনারা যদি ডিসেম্বর মাসে কি কি কারণে সরকারি ছুটি থাকে তা সম্পর্কে
জানতে চান তাহলে এই পোস্ট থেকে দেখতে পারবেন আর জানতে পারবেন। তাহলে চলুন
দেখে নেওয়া যাক ডিসেম্বর মাসের সরকারি ছুটি গুলো।
আরও পড়ুণঃ টাই বাধার নিয়ম
জানুয়ারি মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই ১১ মাসের মধ্যে বা প্রতি মাসেই তো
সরকারি ছুটি থাকে। কিন্তু সারা বছর গিয়ে ডিসেম্বর মাস পুরোটাই কেন ছুটি থাকে তা
সম্পর্কে আপনারা কি জানেন। কিন্তু আপনাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই জানেন না ডিসেম্বর
মাস কেন পুরোটাই ছুটে থাকে। এই ডিসেম্বর মাসে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাও ঘটে গেছে এবং
বিভিন্ন রাজনীতিবিদ জড়িয়ে আছে এই ডিসেম্বর মাসে।তাই সারা বছর গিয়ে ডিসেম্বর
মাস পুরাটাই সরকারি ছুটি রাখা হয়।
আবার যদি স্কুল কলেজের দিক দিয়ে বলা হয় তাহলে সারা বছর স্কুল কলেজে পড়াশোনার
পর নভেম্বর মাসে সমস্ত পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। এতে করে সকল শিক্ষার্থীদের
ডিসেম্বর মাস পুরোটাই ছুটি দেওয়া হয়। তারপর নতুন বছরে যখন জানুয়ারি মাস পড়বে
আবার সকল শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন বই নিয়ে পড়াশোনা শুরু করবে। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন ডিসেম্বর মাস কেন ছুটি রাখা হয়।
ডিসেম্বর মাসে কেন সরকারি ছুটি দেওয়া হয়
আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন কেন ডিসেম্বর মাসে ছুটি দেওয়া হয় এ সকল
বিষয় সম্পর্কে। আগের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে এই ডিসেম্বর মাসে। ডিসেম্বর মাসের
প্রায় প্রতিটা দিনই কোন না কোন একটি ঐতিহাসিক দিন। তাই এই ডিসেম্বর মাসে একদিন
একদিন করে ছুটি দেওয়া বাদ দিয়ে পুরো মাসেই ছুটি দেওয়া হয়।তাই আজকেই আমরা
নিয়ে চলে আসলাম ডিসেম্বর মাসে কেন ছুটি রাখা হয় এর তালিকা নিয়ে। ডিসেম্বর
মাসের ছুটির তালিকা গুলো দেখে নিন।
- ১ ডিসেম্বর হল মুক্তিযোদ্ধা দিবস, ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখে এই মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে এই দিন সরকারি ছুটি রাখা হয়।
- ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরতা দিবস, এই দিনটি সাক্ষরতা দিবস হিসেবে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে ছুটি রাখা হয়।
- ৬ ডিসেম্বর হলো সংবিধান দিবস তাই এদিনও সরকারি ছুটি দেওয়া হয়।
- আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ৯ ডিসেম্বর এই দিনে আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দুর্নীতি বিরোধী কাজ করা হয়েছিল তাই এই নয় ডিসেম্বর সরকারিভাবে ছুটি পালন করা হয়।
- আমাদের বাংলাদেশের মানবাধিকার দিবস হল ১০ ডিসেম্বর এই দিনে অনেক মানবাধিকার কাজ করা হয়েছিল তাই এই দিনটিতে সরকারি ছুটি হিসেবে পালন করা হয়।
- শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হল ১৪ ডিসেম্বর এই কারণে ১৪ তারিখে ছুটি পালন করা হয়।
বছর শেষে এই ডিসেম্বর মাসে প্রতিটা দিনই কোন না কোন একটি দিবস পালন করা হয়। তাই
সরকারিভাবে এই পুরো মাসটাই ছুটি থাকে। আমরা উপরে কয়েকটি দিবস উল্লেখ করেছি। এরকম
ভাবে প্রতিটা তারিখেই দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এই ডিসেম্বর মাসে প্রতিটা তারিখে
বিভিন্ন ধরনের দিবস থাকা উপলক্ষে। সকল ছাত্র-ছাত্রী যখন নভেম্বর মাসে পরীক্ষা শেষ
হয়ে যায়।তাই এই ডিসেম্বর মাস পুরোটাই ছুটি রাখা হয়।
মার্চ মাসে সরকারি ছুটি
প্রতিবছরই প্রতিটা মাসে মাসে সরকারি ছুটি থাকে। কিন্তু এখন আমরা আলোচনা করব মার্চ
মাসের ছুটি সম্পর্কে। আপনারা যদি মার্চ মাসের ছুটি নিয়ে জানতে ইচ্ছুক থাকেন
তাহলে এই পোস্টটি পড়তে পারেন। তাহলে জানতে পারবেন কি কারনে মার্চ মাসের ছুটি
রাখা হয়। একজন সরকারি কর্ম কর্তা হিসেবে সবারই ইচ্ছা থাকে ছুটি কাটানোর। বাসায়
গিয়ে পরিবারের সাথে আনন্দ সহকারে কোন না কোন অনুষ্ঠান পালন করবে। এ কারণে ও
সরকারি হিসাবের ছুটি রাখা হয়।
আরও পড়ুণঃ পলাশীর যুদ্ধের কারণ
আমরা যদি গত বছরের হিসেবে বলে থাকি গত বছর ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর এর
জন্মবার্ষিকী হিসেবে ছুটি রাখা হয়। কিন্তু এই দিনটি কোন বছরই পাল্টানো হয় না বা
এই দিনটি কোনদিন পাল্টাবে না। তাই ওই হিসেবে ২০২৩ সালেও ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর
জন্মবার্ষিকী হিসেবে ছুটি রাখা হয়েছে। এই দিনটিতে সরকারি কর্মকর্তারা বাড়িতে
যায় ছুটি কাটানোর জন্য।
আবার আমরা প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ছুটি পেয়ে থাকি। আমাদের
দেশটি ২৬ শে মার্চ স্বাধীন হয়েছিল তাই এই কারণে এই দিনটিতেও সরকারি ছুটি রাখা
হয়। এ মাসে অনেক ধরনের দিবস রয়েছে যা আমরা পালন করে থাকি। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু
মজিবরের জন্মবার্ষিকী এবং ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস এই উপলক্ষে শুধু সরকারি
ছুটি থাকে না। সরকারি ছুটির সাথে সাথে অনেকগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে
থাকে। আর এই কারণে অনেক কর্মকর্তারা ছুটি পেয়ে আনন্দ সহকারে দিন কাটাতে পারে।
কোরবানির সরকারি ছুটি
মুসলমানদের প্রতি বছর দুটি উৎসব থাকে একটি হলো কোরবানির ঈদ এবং আরেকটি হলো রোজার
ঈদ। এই দুটো ঈদে মুসলমান মানুষরা খুব আনন্দ সহকারে এই দুটি উৎসব পালন করে
থাকে। কিন্তু এখন আমরা আলোচনা করব কোরবানির ঈদের সরকারি ছুটি সম্পর্কে।
প্রতিবছর যখন কোরবানি চলে আসে। ঈদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই সরকারি বেসরকারি
সব প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে দেয় ঈদ পালন করার জন্য।
যারা যারা সরকারি চাকরি করেন তারা এই ছুটি কাটানোর জন্য বাড়িতে চলে আসে। কোরবানি
দেয় এবং খুব আনন্দ সহকারে এই ঈদটি পালন করে থাকে। বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের
বাড়িতে বেড়াতে যায় অনেক জনের সাথে ঘোরাফেরা করে আনন্দ ফুর্তি করে। প্রতিটা বছর
এই কোরবানির ঈদ আসলে সরকারি ছুটি দিলে সবাই বাড়িতে চলে আসে সবার সাথে আনন্দ
ফুর্তি করে বেড়ানোর জন্য।
আরও পড়ুণঃ রাজশাহী কলেজ ভর্তি তথ্য
আবার অন্য দিক দিয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছুটি দেওয়া হয় এই কোরবানির ঈদ।সকল ছাত্র-ছাত্রীরা এই ছুটির মধ্যে খুব আনন্দ সরকারেই পালন করতে পারে। অনেকেই নানির বাড়ি,ফুফুর বাড়ি, খালার বাড়ি আর অন্যান্য বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে বেড়াতে যায় এই কোরবানির ছুটিতে। সকল ছাত্র-ছাত্রীদের এই কোরবানির ছুটিতে খুব আনন্দের সহকারেই দিন চলে যায়।
ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি ছুটি
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে অনেক সরকারি ছুটি কাটানো হয়। বা এই মাসেও অনেক
দিন সরকারি ছুটি দিয়ে থাকেন। ২১ ফেব্রুয়ারি হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। এই
দিনটি যে সরকারি বেসরকারি এবং অন্যান্য স্কুল প্রতিষ্ঠান সব ছুটি দেওয়া হয়।
আবার অন্য দিক দিয়ে প্রতি বছর যখন ফেব্রুয়ারি মাস আসে। তখন দেখা যায় এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার জন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি রাখা হয়। পুরো এক মাস ধরে এই পরীক্ষা হয়। তাই ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা চলাকালীন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া হয়। আরো অন্যান্য কারণে ও ছুটি দেয় যেমন মেজারের ছুটি, পূর্ণিমার ছুটি, ভস্ম বুধবারের ছুটি আরো অন্যান্য কারণে এই মাসে সরকারি ছুটি পালন করে থাকি।
শেষ কথা
আশা করি আপনারা ডিসেম্বর মাসের সরকারি ছুটি বা অন্যান্য মাসেও যে কারণে ছুটি রাখা
হয় তার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আরো এরকম ছুটির তালিকাগুলো সম্পর্কে জানতে
ইচ্ছুক থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো রাখুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন।
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url