কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান - কক্সবাজার ভ্রমণ

বাংলাদেশের সবচাইতে সৌন্দর্যময় এবং দর্শনীয় স্থান হল কক্সবাজার। এখানে বিশাল সমুদ্র সৈকত বাদেও আছে অনেক দর্শনীয় স্থান। আর এই সকল দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আজকের এই পুরো আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। আর আপনারা যদি এই দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে  আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার এর দূরত্ব হলো ৪৫০ কিলোমিটার এবং সিলেট থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব হলো ১২০ কিলোমিটার। এবং তাই নয় আজকেরে এই আর্টিকেল আমরা আলোচনা করব আপনাদের কক্সবাজার ভ্রমণ করতে কত টাকা খরচ হবে, সেখানে গিয়ে কোনগুলো হোটেলে উঠলে আপনাদের কম খরচ হবে, এবং সেখানে গিয়ে কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করবে আপনাদের কত টাকা খরচ হবে এই সকল বিষয়ে সম্পর্কে।তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান ভ্রমন সম্পর্কে।

আর্টিকেল সূচিপত্রঃ- কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান - কক্সবাজার ভ্রমণ

কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিনঃ-

আমরা কক্সবাজার সম্পর্কে অনেকেই জানি। কক্সবাজারে একটি ভ্রমনীয় এলাকা এবং এই কক্সবাজারের খুব নাম ডাক রয়েছে। আমরা সাধারণত কক্সবাজারে ঘুরতে যাই সমুদ্র সৈকত দেখতে মহেশখালী দ্বীপ দেখতে রামু বাবার বাগান দেখতে রেডিয়েন্ট ফিসওয়ার্ল্ড দেখতে রামু বদ্ধ বিহার দেখতে শ্যামলাপুর সৈকত দেখতে মারমেড ইকো রিসোর্ট শাহপরীর দ্বীপ।

সোনাদিয়া দ্বীপ কুতুব দেয়া দ্বীপ হিমছড়ি ঝর্ণা ইনানী বিচ হিমছড়ি ছেঁড়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপ আদিনাথ মন্দির মহেশখালী এগুলো সব দর্শনীয় স্থান। এগুলো দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আমরা অনেকে জানি এবং অনেকেই ঘুরতে গিয়েছি। আমরা কক্সবাজার ভ্রমণে গেলে সাধারণত মারমেড ইকো রিসোর্টে থাকার জন্য বেছে নি এবং যতদিন কক্সবাজার থাকবো ইকো রিসোর্ট এ থাকি। ইনানী বিচ হিমছড়ি থেকে আরো মিটার গেলেই ইনানী পেজ বা ইনানী সমুদ্র সৈকত আমাদের চোখের সামনে পড়ে।

আরও পড়ুণঃ ইতালি থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

ইনানী বীজ দেখতে যেমন সুন্দর আবার হাওয়া খাওয়ার মত একটা খুব মজাদার জায়গা। আমাদের মন যদি খারাপ থাকে তাহলে এই ইনানী বিচ এর সামনে আসলে এবং ছাতার নিচে বসলে অটোমেটিকলি মন ভালো হয়ে যায়। আমরা যদি কখনো কক্সবাজারে ঘুরতে যাই সর্বপ্রথম তাহলে ইনানী বীজ ভ্রমণ করব।

কক্সবাজার দেখার জন্য সেরা ১০ টি স্থানঃ-

কক্সবাজারে পর্যটকদের আকর্ষণ-কক্সবাজার বাংলাদেশের আকর্ষণীয় এবং একটি জেলা। একটি বিশেষ দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত থাকার জন্য বিখ্যাত এবং শহরটি ক্যাপ্টেন এরাম বক্সের নাম থেকে সেনা অফিসার ব্রিটিশ ভারত পরিবেশন করেছে।

কক্সবাজারের সেরা দশটি স্থানের নাম উল্লেখ করা হলোঃ-

১।কক্সবাজার ব্রিজ

২। ইনানী ব্রিজ

৩। হিমছড়ি

৪। সুগন্ধা ব্রিজ

৫। লাবনী ব্রিজ

৬। কলাতলী ব্রিজ

৭। মেরিন ড্রাইভ রোড

৮। মহেশখালী

৯। রামু বৌদ্ধবিহার

১০। রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ছাড়াও আরো রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান এবং ভ্রমণের জন্য আরো আকর্ষণীয় স্থান তার মধ্যে হল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। মানুষ সমুদ্র পাড়ে বসে প্রিয় পানির গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে সূর্যাস্ত দেখার কথা ভাবলে মাথায় আসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাম। সমুদ্রের দীপ্তিময় সৌন্দর্যের সাক্ষী হওয়ার জন্য আপনার তালিকা প্লাবনী পয়েন্ট কিভাবে বা হিমছড়ি এছাড়াও এবার যুক্ত হতে পারে আরো কয়েকটি স্থান।

আপনারা পরেরবার যখন কক্সবাজারে যাবেন ভ্রমণের স্বাদ অনুভব করতে এমন অসাধারণ সমুদ্র সৈকতগুলো দর্শন করতে ভুলবেন না। কক্সবাজার জেলাটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এটি চট্টগ্রাম থেকে ১৫২ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে ৪১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। বার্মা থাইল্যান্ড চীন সহ বিভিন্ন দেশের মসলা দ্বারা পণ্য দিয়ে সীমান্ত বরাবর ভার্জিন বাজার করে উঠেছে।

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাতঃ-

কক্সবাজারের নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে আসে দিগন্ত জোড়ার সাগর আর দীর্ঘ সৈকত। ১২০ কিলোমিটার এর এই সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ সৈকত। আপনারা ইতিমধ্যেই জানেন যে বাংলাদেশের ভারতীয় হিন্দু টুরিস্টদের জন্য কোন নিরাপত্তার গ্যারান্টি নেই। কারণ আমরা অনেক সময় অনেক বোকামো কাজ করে ফেলি যেমন আমরা সমুদ্রের ধারে গেলে সমুদ্রের পানির ঢেউয়ের সমাহার এবং অনেকেই এখানে গোসল করে তা দেখতে পাই।

আমরা যদি ওই ঢেউয়ের সমাহার দেখতে চাই এবং নিচে  নেমে যাই ঢেউ এর সাথে আমরা যদি এসে যায় তাহলে আমাদের মরণ ছাড়া আর কোন গতি নেই। তাই আমরা যদি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমনে যাই তাহলে খুব সতর্কভাবে সমুদ্রের পানি উপভোগ করব এবং গোসল করব। আসলে কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত? বলার অপেক্ষা রাখে না কক্সবাজার বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত এবং অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র।

আরও পড়ুণঃফারাক্কা বাঁধের গেট কয়টি

তবে শুরুতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত হওয়ার কারণেই কক্সবাজার বিখ্যাত। যারা সচারচর প্রশ্ন করে থাকেন কক্সবাজার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত তারা নিশ্চয়ই এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন যে কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানের কোন অভাব নেই তাই কক্সবাজার দর্শনীয় স্থানগুলোর জন্য বিখ্যাত।

কক্সবাজার যাওয়ার উপযুক্ত সময়ঃ-

মূলত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পর্যটন মৌসুম এই সময়টাতে কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়। আর এই সময়টাতে পর্যটকদের চাপ বেশি থাকে । তবে যদি আপনি পাগলের আসল রূপ দেখতে চান তবে একটু বেশি সময় নিয়ে বর্ষা মৌসুমে ভ্রমন করুন। ভ্রমণের সঠিক সময় প্রয়োজন হয় না আপনি যেকোন ইচ্ছে তখনই ভ্রমণ করতে পারেন।

বাংলাদেশ বেশিরভাগ মানুষ শীতকালের ভ্রমন করে। কারণ শীতকালে করে  অনেক মজা পাওয়া যায় শীতকালের সময় বৃষ্টি মেঘ হয় না তাই শীতকালে ভ্রমণ করে অনেক মজা পাওয়া যায়। আমরা যদি কক্সবাজার ভ্রমণ করতে যাই তাহলে সর্বপ্রথম সমুদ্র সৈকতে যাব। আর আমরা কক্সবাজার ঘুরতে গেলে বিশেষ করে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে যাব কারণ এই কয়েক মাস ভ্রমণ করে অনেক মজা পাওয়া যায়। কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র। বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত বলে প্রথমে চোখে ভেসে ওঠে পুরাতন সি বিচ বা লাবনী পয়েন্ট বা পুরাতন সী বিচ হিসেবে পরিচিত।

কক্সবাজার থেকে ইনানী ভাড়াঃ-

আমরা যদি কক্সবাজার ভ্রমনে যাই তাহলে অনেক জায়গায় কক্সবাজারের ভিতরে ভ্রমনীয় এলাকার রয়েছে এবং সেখানে ঘুরতে যাই। তার মধ্যে অন্যতম একটি ইনানী বিচ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সব সময় জানি সমুদ্র সৈকত যাওয়ার খোলা জিপ পাওয়া যায়। রেজাব গেলে বেশি টাকা লাগে আলোচনা সাপেক্ষে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় যাওয়া যায়।

একটি জীবে ১২ থেকে ১৫ জন অনায়াসেই বসা যায়। অটো রিক্সায় ইজিবাইক করে ইনানী সমুদ্র সৈকত যাওয়া ও আসার সহ সিজন ভেদে ভাড়া লাগবে ৫০০থেকে ৮০০টাকা। আমরা যদি কক্সবাজার ভ্রমণে যাই তাহলে যে কোন পর্যটন এলাকায় ঘুরতে গেলে বিশেষ করে সকালে রওনা দিব। কারন আমরা যদি সকালে রওনা দেই তাহলে পর্যটন এলাকায় অনেক সময় ঘুরতে পারবো এবং অনেক মজা করতে পারবো। এই মৌসুমে বাংলাদেশের সব পর্যটন স্পটে টুরিস্ট এর প্রচুর চাপ থাকে আর কক্সবাজারের যে সেন্টমার্টিনে চাপ বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে যাবার আগে অবশ্যই হোটেল চেক আউট করে যাবেন আর ব্যাগ পত্র চেক আউট লাগে হিসেবে রেখে যেতে পারেন। কেননা অনেক সময় হোটেল এর যে রুমে থাকেন সে রুমে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা টাকা পয়সা ইত্যাদি যদি রেখে যান তাহলে সেটা রিক্সের ব্যাপার হবে কেননা বলা যায় না বাই চান্স যদি সেগুলো চুরি হয়ে যায় তাই সব সময় সবকিছু নিজের কাছেই রাখা ভালো।

কোন গাড়িতে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালোঃ-

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান এর নাম কক্সবাজার শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য কক্সবাজার জেলার সুনাম ছড়িয়ে আছে বিশ্বব্যাপী। এছাড়াও কক্সবাজার রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং ভ্রমণ করার মত জায়গা রয়েছে। যেমন ইনানী বিচ সেন্টমার্টিন হিমছড়ি সুগন্ধা বিচ লাবনী পয়েন্ট মেরিন রোড ইত্যাদি আরো অনেক কক্সবাজারের সার্টিফিকেট দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

আমরা যদি কক্সবাজার যাই প্রথমে ঢাকা হতে মূলত বাস এবং বিমান এই দুইটি উপায় সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারবেন। রেলপথে অর্থাৎ ট্রেনে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এক ক্ষেত্রে আপনাকে ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম এসে পরবর্তীতে অন্য উপায়ে চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার যেতে হবে। আমরা যদি কক্সবাজার ভ্রমণে যাই তাহলে যদি আমাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা পয়সা থাকে প্রথমে আমরা ঢাকা হতে বিমানের করে কক্সবাজার যেতে পারবো।

আরও পড়ুণঃভারতের সাথে কয়টি দেশের সিমান্ত রয়েছে

দ্বিতীয়তঃ আমাদের কাছে যদি টাকার এমাউন্ট কম থাকে তাহলে ঢাকা হতে বাসে করে কক্সবাজার যেতে পারবো। এমনকি আমরা নিজ স্বাধীনতা পরের কোন কথা না শুনে নিজ উপায়ে আরেকটি মাধ্যমে যেতে পারবো সেটি হল আমরা যদি কোন মাইক্রোবাস বা হাইস মাইক্রো ভাড়া করে সেটিতেও কক্সবাজার ভ্রমণে যেতে পারবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url