এসিডিটি থেকে মুক্তির উপায় - এসিডিটি কেন হয়
এই পৃথিবীতে এসিডিটি সমস্যা হয় না এমন কোন মানুষ নেই। ছোট বড় প্রায় সবারই এসিড সমস্যা আছে কারো কম এবং কারো বেশি। এই এসিডিটির জন্য আপনারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আর কোন সমস্যা হবে না আমরা নিয়ে চলে আসলাম এসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেকগুলো টিপস এবং ওষুধের নাম নিয়ে।
আপনাদের মধ্যে যারা এসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের টিপস বা ওষুধের নাম খুঁজছেন শুধুই তাদের জন্য আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি। আমাদের এই পুরো পোস্টটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে এসিডিজি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাহলে শুনুন দেখে নেওয়া যাক কোনগুলো টিপস ব্যবহার করলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ-
- এসিডিটি কেন হয়
- এসিডিটি সম্পর্কে জেনে নিন
- এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে কোনটি বিস্তারিত জানুন
- অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় গুলো জানুন
- চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জেনে নিন
- হাইপার এসিডিটি কি
এসিডিটি কেন হয়
সাধারণত আমাদের জীবনে সকাল থেকে সন্ধ্যায় নানা ব্যস্ততার কারণে সময় মত খাওয়া হয় না। দিনের পর দিন এরকম অনিয়মের কারণে তৈরি হয় এসিডিটি যা লোকমুখে বলা হয় গ্যাস্ট্রিক নামে পরিচিতি। আমাদের দেশে এমন সমস্যা শুধু তাই নয় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই সমস্যা রয়েছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যা চতুর্থাংশ এই সমস্যায় ভুগছে। এসিডিটির সমস্যা টাকে খুব মামুলি বিষয় হিসেবে দেখা হয়।
আমরা যদি এসিডিটির ওষুধ সব সময় খাই এবং এই ওষুধ শরীরে গেলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে যা অনেকেই তোয়াক্কা করে না। আমাদের যদি বুক জ্বলে ঘাড়পিঠ লেগে যায় তাহলে আমরা মুঠোয় মোটে ভরে ওষুধ খাই আসলে এটা একদমই ভালো লক্ষণ নয়। আমাদের এই সমস্যা হলে যে আমাদের গ্যাস্টিকের ওষুধ খেতে হবে এমন কোন কথা নেই।
আরও পড়ুণঃউপায় একাউন্ট খোলার নিয়ম
সামান্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চললেই এই এসিডিটির বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে
তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন। তাই আমরা সব সময় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাব না
নিয়ম-কানুন গুলো ঠিকভাবে মেনে চলবো। নিয়ম কারণ মেনে চললেই সবকিছু ভালো থাকবে
শরীর ভালো থাকবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেবে না।
এসিডিটি সম্পর্কে জেনে নিন
এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে কোনটি বিস্তারিত জানুন
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় গুলো জানুন
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জেনে নিন
অনিয়মিত খাদ্য বাস ব্যায়াম না করা এবং কায়িক শ্রমে অনভ্যস্তন্ধের মধ্যে পেটের ব্যথা ফোলা ভাব ্র তথা গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয়। গ্যাস্ট্রিকের কারণে হজমিতার সমস্যা পেট ফেঁপে থাকে যার কারণে পরিপাক ক্রিয়ায় সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন এসব সমস্যার অন্যতম কারণ হলো বেশি খাওয়া দ্রুত খাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ।গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা গুলি কমবেশি সবারই হয়ে থাকে।
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ গুলো হল পেটের জ্বালা পোড়া করা বদহজম বমি বমি ভাব বমি করা পেটে ক্ষুধা ক্ষুধারারাস পাওয়া খাওয়ার পর উপরে পেট বেশি ভরে গিয়েছে অনুভূতি হয় ইত্যাদি। খাবার সময় মতো খাওয়া হয় না বাইরে ভাজাপোড়া বেশি খাওয়া জ্যাকপট খাওয়া পরিমাণ মতো পানি না খাওয়া ইত্যাদি কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। আমরা যদি নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পান করি তাহলে আমাদের পেটে কোন সমস্যা হবে না জ্বালাপোড়া হবে না এবং এমনকি এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
হাইপার এসিডিটি কী
হাইপার এসিডিটি হলো এমন একটি সমস্যা যা পেটে পিত্ত পড়ে যাওয়ার কারণে দেখা দেয়। এত বুক জ্বালা গ্যাস অবলম্বন বমির সমস্যা দেখা দেয়। এই অবস্থার খেয়াল না রাখলে এখান থেকে বাড়তে পারে পেটে আলসারের সমস্যা। দ্বারা খাবার গরম মসলার অত্যাধিক ব্যবহার ফাস্টফুড বেশি তৈলাক্ত জিনিস কম জল পান করার জন্য অনেক সময় হাইপার এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু খাবার খায় যা এসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। আমরা অনেকেই আছি যারা বাসি খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি।
আরও পড়ুণঃমেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
কিন্তু আমরা এটা জানি না যে বাসি খাবার খেলে এসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে তাই বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন আমরা সব সময় টাটকা খাবার এবং বেশি বেশি শাক-সবজি খাবার তৈলাক্ত জিনিস বেশি পরিমাণ না খাওয়া ফাস্টফুড না খাওয়া ইত্যাদি যেগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা করে এগুলো খাবার খাওয়া থেকে আমরা সবসময় বিরত থাকব। তবেই আমাদের এসিডিটি বা গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং আমরা এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাবো।
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url