ইতালি থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

আমাদের দেশ থেকে এখন অনেক মানুষই ইতালি যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর অনেকেই ভালোভাবে কাজ করতে পারছে আবার অনেকেই অনেক ধরনের বিপদে আছে। তাই তারা ইটালি থেকে অন্যান্য দেশে পার হয়ে যাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে কিন্তু তারা জানে না ইতালি থেকে তো সব দেশে যাওয়া যায় না।

তাই আজকের এই পুরো আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব আপনারা ইতালি থেকে কোন কোন রাষ্ট্রে যেতে পারবেন। আপনারা যদি ইতালি থেকে কোন কোন রাষ্ট্রে যাওয়া যায় তা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আজকের এই পুরো পোস্টটি পড়তে থাকুন।

আর্টিকেল সূচিপত্রঃ ইতালি থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

ইতালি থেকে কোন কোন দেশে যেতে পারবেন তা জেনে নিন

ইতালি দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে যাওয়া যাই তবে ইতালি শহরে যাওয়ার জন্য পাসপোট করতে কিছু শর্ত ও ‍নিদেশনা থাকে যা সঠিক ভাবে পালন করে পাসপোট করা যাই। তাছাড়া ইতালি থেকে সহজে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যাই, যদি যেকোনো একটি দেশের পাসপোট রয়েছে তারা খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়াই যাওয়ার জন্য সহজেই আবেদন করতে পারবেন।

সাধারণত ইতালি থেকে সহজেই অস্ট্রেলিয়া ভিজিট ভিসা ৩ থেকে ৪ মাসের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে তবে আপনি চাইলে পরে আরো সময় বাড়িয়ে নিতে  পারবেন । ইতালিতে ২০০৮ সাল থেকে ইতালির রোমের অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাস কোনো প্রকার ভিসা জমা নেই না, তবে আপনাদের যেকোনো ধরনের ভিসার জন্য অনলাইনের সাহায্য নিতে হতে পারে।

আরও পড়ুণঃস্যামসাং s23 আলট্রা প্রাইজ ইন বাংলাদেশ

ইতালি থেকে অস্ট্রোলিয়া যাওযার জন্য সরকারি বা বেসরকারি ভাবে যাওয়া যাই তবে আবার অনেক সময় লটারির মাধ্যমেই যাওয়া যাই,তবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম বা নির্দেশনা থাকে যা সঠিক ভাবে পূরণ করতে হয় । ইতালি থেকে যে দেশে যাবেন সে দেশের ভাষা টা আয়ত করতে হবে তাহলে সে দেশে গিয়ে সমস্যা হবে না তাছাড়া অস্ট্রেলিয়াই অনেক কর্মীদের চাকরির জন্য জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। 

আসলেই ইতালি থেকে অন্য দেশে যাওয়া যায় কিনা তা জানুুন

ইতালি থেকে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য সরকারি বা বেসরকারি ভাবে যাওয়া যাই তবে অনেক সময় লটারির মাধ্যমেও ইতালিতে যাওয়া যাই তাছাড়া ইতালির সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের ২০২৩ সালে ৮৩ হাজার ৭১০ জন নতুন শ্রমিক নেওয়ার  জন্য ঘোষণা দিয়েছে ইতালি সরকার এবং এই সব বিষয়ের সরকারি গেজেটও প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকার।

তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে  দালালের মাধ্যমে ইতালি দেশে যেতে দে টাকা খরচ হয় তার থেকে বেশি পরিমাণে টাকা খরচ হয়ে থাকে।তাছাড়া অনেক সময় দালাল রা অনেক মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রার্থীকে বিভান্ত সৃষ্টি করে থাকে  এবং অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আদায় করে থাকে ইতালিতে প্রধানত ২ শ্রেণিতে শ্রমিক নেই , যেমন সিজন ও নন - সিজন শ্রেণিতে ৪৫ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি দেশটি।

এর মধ্যে ইতালি সরকার কৃষিকাজের জন্য ২২ হাজার শ্রমিক নেওয়ার জন্য নোটিস প্রদান করেছেন। যারা এই কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজ করতে পারেন বা এই কাজ করতে আগ্রহি তারা এই কৃষি কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন । আর বাকিরা অন্যান্য কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। 

ইতালি থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

ইতালি থেকে আমেরিকাই যাওয়া যাই সহজেই যাওয়া যাই তবে যারা ইতালি থেকে উন্নত দেশটিতে যাওয়াার ইচ্ছে পোষন করছেন তারা অবশ্যায একটি বিষয় খেয়াল রাথতে হবে সেটি হলো ইতালি থেকে আমেরিকাই যাওয়ার জন্য অবশ্যয় কিছু নিয়ম বা নির্দেশণা আছে যা অবশ্যয় যানতে হবে এবং আয়তে আনতে হবে

তাছাড়া সরকারি বা বেসরকারি ভাবেও আমেরিকায় যাওয়া যাই তবে যারা এই উন্নত দেশটিতে যাওয়ার জন্য আগ্রহি তারা অবশ্যয় সরকারি যাবেন কারন সরকারি ভাবে গেছে অনেক সময় দেশের দূতাবাস থেকে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান বা সাহায্য পাওয়া যাই কিন্তু যারা দালালের মাধ্যমে আমেরিকাই যাবেন তারা অবশ্যয় সতর্কো থাকবেন কারণ দালালেরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে আপনাকে বিভান্ত ফেলতে পারে এবং প্রয়োজনের থেকে অধিক পরিমানে টাকা নিয়ে থাকে।

আরও পড়ুণঃশিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষন ও প্রতিকার

ডি ভি লটারির মাধ্যমে আমেরিকা যাওয়া এই মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বহু সংখ্যক লোক আমেরিকায় গিয়েছেন। যদিও ২০১২ সালের পর থেকে তা বন্ধ হয়ে আছে । তাছাড়া যাদের যেকোনো একটি দেশের পাসপোট ধারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সহজেই আমেরিকা যেতে পারবেন। তবে ৯০ দিন বা এর জন্য এবং ৯০ দিন এর বেশি সময় অবস্থান করতে পারবেন না ।

ইতালির রাজধানী এবং মুদ্রার নাম কি তা জেনে নিন

প্রাচীন সভ্যতার একটি পযায ইতালি শহর পঞ্চম শতাব্দিতে সাম্রজ্যে একজন সম্রাটের নেতৃত্বী থাকা সরকার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং  রোমের সাম্রাজের পতন ঘটে। সূত্রপাত ঘটে রেনেসার মধ্যে দিয়ে সামন্ত প্রথার বিলুপ্তি ঘটে । সান মারিনো ও ভ্যাটিকান সিটি নামের স্বাধীন দুইটি রাষ্ট্র ইতালি শহরে অন্তভুক্ত। 

ভ্যাটিকান সিটি হলো রোম শহরের একটি স্বাধীন দেশএবং শহরের মধ্যে একটি দেশের বিদ্যমান থাকার একমাত্র উদাহরণ এটি। এ কারণে রোমকে দুই রাষ্ট্রের রাজধানী বলা হয়ে থাকে। এবং ইতালির মুদ্রার নাম হলো ইউরো এবং ইউরোপিয় ইউনিয়ন দেশগুলোর মুদ্রা এটি। বর্তমানে  ইতালির মুদ্রা ইউরো তা ইউরোপের প্রায় ২২ টি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া ১৯৯৯ সালের দিকে ইউরোপের প্রায় ১৪ টি দেশ ইউরো প্রথমদিকে ব্যবহার শুরু করেন।

পরবতীতে ইউরোপের অন্যান বা বিভিন্ন দেশ গুলোও এই ইউরো মুদ্রাটি ব্যাবহার করতে শুরু করে এবং এই ইতালির ইউরো মুদ্রটি সাত ধরনের নোট নিয়ে গঠিত হয়েছে। প্রতিটি নোটের আকার ও রং ভিন্ন আকারে দেওয়া হয়েছে। ইতালির মুদ্রা ইউরোর নোটের মূল্য যত বেশি এর আকারও ততো বড় হয়ে থাকে।

ইতালি থেকে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান কত

ইতালি শহরে সরকারি বা বেসরকারি ভাবে যাওয়া যাই তবে অনেক সময় ইতালি শহরে লটারির মধ্যমেও যাওযা যাই কিন্তু ২০১২ সালের পর থেকে এখন পযন্ত লটারির মাধ্যমে ইতালি শহরে যাওয়া বন্ধ আছে তবে আশা করা হচ্ছে যে সামনের দিনে এই লটারির মাধ্যমে ইতালিতে যাওয়া পূনরায় চালু হবে।    

ইতালি হচ্ছে একটি ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ, ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে হতে জনপ্রিয় দেশগুলো ধরতে গেলে ইতালিতে কেউ একটি জনপ্রিয় দেশ বলে ধরা হয়। আর শিশু বাদেই অনেক মানুষ ইতালি এখন কয়টা বাজে ভাই ইতালির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাই, তো আজকের আর্টিকেলে ইতালির সময় এবং আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

প্রায় সকল দেশের সাথে বাংলাদেশের সময়ের প্যর্থক্য থাকে ঠিক তেমন ই বাংলাদেশের সাথেও ইতালি শহরের সময়ের পার্থক্য রয়েছে । তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে ইতালির শহরের সময়ের পার্থক্য রয়েছে প্রায় ৫ ঘন্টা।তবে ইতালি থেকে বাংলাদেশ ৫ ঘন্টা এগিয়ে আছে যেমন ইতালিতে যদি এখন বাজে সকাল ৭ টা তাহলে বাংলাদেশে তখন সময় ১১ টা বাজে তাহলে বুঝতেই পারছেন আশা করি ইতালি ও বাংলাদেশের সময়ের মধ্যে পাথক্যটা । 

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় গুলো দেখুন


বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার ভিসা ২৭ শে জানুয়ারি ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয়েছে। ইতালি ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ । অথনৈতিক দিক থেকেও ইতালি দেশটি খবই ভালো অবস্থানে রয়েছে। দীর্ঘদিন ইতালিতে বাংলাদেশী কোন শ্রমিক প্রবশে করেত পারত না । অবশেষে বাংলাদেশ বৈদেশিক কসসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ইতালিতে আবারো ভিসা আবেদন শুরু হয়েছে।
 
তাছাড়া সারা বিশ্ব থেকে অসংখ্য জনগণ েইতালিতে কাজের উদ্দেশে এসে থাকেন। ইতালিতে যাওয়ার জন্য কোন অবৈধ ভিসা আপনারা করবেন  না । ইতালিতে যাওয়ার জন্য অবশ্যয় সকল ধরণের শত ও নির্দেশনা বলি মেনে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তাছাড়া ইতালিতে কাজের পাশাপাশি উন্নত জীবনধারণের জন্য নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে প্রবেশের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের হাজার হাজার বাঙালি সবসময় চেষ্টা করে ইউরোপের একটি উন্নত রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য  বতমানে সে সুযোগ এখন সবার জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। ইতালি  বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার শ্রমিক নেবে। বৈধ ভাবে ইতালিতে আসলে সেসব শ্রমিক কৃষিকাজসহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করার সুযোগ পাবেন। তাই আপনি ও চাইলে বৈধ ভাবে ইতালিতে এসে শ্রমিক হিসেবে প্রবেশ করতে পারবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url