রাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থান - একদিনে রাজশাহী ভ্রমন

প্রিয় বন্ধুরা আমাদের দেশের প্রায় ৬৪ টি জেলা আছে এর ভিতর আপনারা অনেকেই বিভিন্ন জেলায় বসবাস করেন। কিন্তু আপনারা জানতে চেয়েছিলেন রাজশাহী শহরে দর্শনীয় স্থানগুলি সম্পর্কে। তাই আজকের এই পুরো আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনারা রাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থানগুলি দেখবেন এবং আপনারা কিভাবে এক দিনে রাজশাহী শহর ভ্রমণ করবেন এই বিষয় সম্পর্কে।

আপনারা যদি রাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আজকের এই পুরো পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনারা জানতে পারবেন রাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ

রাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থান-

রাজশাহী শহরের দশনীয় স্থান গুলোর মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বাঘা মসজীদ, পুঠিয়া রাজবাড়ী, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, শহীদ জিয়া শিশু পার্ক, হজরত শাহ মখদুম রুপোস (রহঃ) এর মাজার শরীফ,পদ্মার তীর,শহীদ কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা, স্মৃতি অম্নান ইত্যাদি।এগুলো রাজশাহী শহরের ঐতিহ্যবাহী দশনীয় স্থান।

পুঠিয়া রাজবাড়ি রাজশাহী সদর হতে উত্তর-পূর্বে নাটোরে অভিমুখে পুঠিয়া রাজবাহী অবস্থিত, প্রাচীন কালের নিদশন ও পুরোনো দিনের ব্যাহহিত নিত্য সামগ্রি রাজবাড়ীতে জাদুঘরে সংরিক্ষত রয়েছে। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর এখানে পুরোনো দিনের বিভিন্ন ধরনের সামগ্রি সংরক্ষণ করা আছে , রাজশাহী দর্শনীয় স্থানের মধ্যে  বরেন্দ্র জাদুঘর একটি গুরুত্বপূর্ন স্থান।

আরও পডুণঃকিভাবে মোবাইল লোকেশন বের করব

শহীদ জিয়া শিশু পার্ক, ২০০৫ সালের দিকে ভিত্তি স্থাপন করা হয় তবে এটির কাজ ২০০৪ সালের দিকে শুরু হয়ে যায়, জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য পরিক্ষামূলক ভাবে এটি ২০০৬ সালে খুলে দেওয়া হয়। শহীদ জিয়া শিশু পার্কটি বিশাল একটি এলাকা জুড়ে অবস্থিত 

একদিনে রাজশাহী ভ্রমন বিস্তারিত জানুন-

দূর্ষন মুক্ত শহর হিসেবে আমাদের রাজশাহী আজ বিশ্বজুড়ে পরিচিত। রাজশাহী শহর বিভিন্ন নামে পরিচিত  যেমন, শিক্ষা নগরী, রেশম নগরী, আমের রাজধানী, সবুজ নগরী,ইত্যাদি ।রাজশাহী সিল্ক দেশের সুনামের গন্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরেও সুনাম ছড়িয়ে গেছে। রাজশাহী শহরে দেখার মতো বিভিন্ন ধরনের দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন, পুঠিয়া রাজবাড়ী, শিশু পার্ক, পদ্দার পার ইত্যাদি।

পুঠিয়া রাজবাড়ীঃ পুঠিয়া রাজবাড়ী রাজশাহী সদর হতে ৩১ কিঃমিঃ উত্তর- পূবে নাটোরের অভিমুখে অবস্থিত। বাস ও মাইক্রোবাসে করে দেশের যে কোনো স্থান হতে পুঠিয়া রাজবাহীতে আসা যায়।শিশু পার্ক, শিশু পার্কটি রাজশাহী শহরের রেলগেট হতে নওগা যাওযার রাস্তায় নওদাপাড়া, বিমানবন্দন রোডের পাশেই অবস্থিত। এই পার্কটি অনেকটা ফ্যান্টাসি কিন্ডম এর আদলে তৈরি করা হয়েছে। এখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড রযেছে। 

পদ্দার পারঃ রাজশাহী শহরটি পদ্দা নদীর পাড়ে অবস্থিত। রাজশাহী শহরের মানুষ সুযোগ পেলেই ছুটে যাই পদ্দা নদীর পাড়ে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন পদ্দা নদীর পাড় পরিকল্পিতভাবে সাদিয়ে যাচ্ছে যা রাজশাহী শহরের মানুষের মনে  একটি বিশাল জায়গা করে নিয়েছে এই পদ্দার পাড়ের সৈৗন্দয়। মানুষের আনাগোনা আর হাসিআড্ডায় ভরপুর পূরন হয়ে থাকে এই পদ্দার পাড়।

রাজশাহীর বিখ্যাত জিনিসগুলো সম্পর্কে জেনে  নিন-

সবুজ ছাড়ায় গড়ে ওঠা আমাদের রাজশাহী। রাজশাহী েবরেন্দ্র অঞ্চলে অবস্থিত তাই এখানে নদী বলতে একটি মাত্র নদী রয়েছে যার নাম পদ্দা নদী। রাজশাহী জেলার বিখ্যাত বিষয়গুলো হচ্ছে দূষণ মুক্ত শহর, সবুজ নগরী, সিল্ক শাড়ি, শিক্ষা নগরী, হিসেবে সুপরিচিত তাছাড়া রয়েছে আম, কালাইরুটি,খেজুরের গুড় , সাহেব বাজারের মরিচের চা , মালটা চা, কাটাখালির গরুর কালাভুনা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক বার্গার, টি বাধারে পেয়ারা, আচার মাখা, সিএনবি রানার পুড়ি, বাটার মোড়ে জিলাপি,তালাই মারির বট পরোটা, বেলদার পাড়ার ফুচকা ও শিক বার্গার  ইত্যাদি রাজশাহী জেলার বিখ্যাত খাবার।

তাছাড়া রাজশাহীর প্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনেণ সুস্বাদু আম সবচেয়ে সমৎকার। রাজশাহীর এই সুস্বাদু বিভিন্ন ধররেন আম দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে তাছাড়া রাজশাহীর এই আম আজ দেশের গন্ডি  পেরিয়ে কয়েক বছর ধরে ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি হচ্ছে আমাদের রাজশাহীর এই সুস্বাদু বিভিন্ন প্রকারের আম।

রাজশাহীতে গোপালভোগ থেকে শুরু করে লক্ষণভোগ, রানীপসন্দ, ক্ষিরসাপাত বা হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি ও ফজলি সবই পাবেন রাজাশাহীতে। রাজশাহীতে ভ্রমণ করলে রাজশাহীর হাটে বাজারে পাবেন আমের মেলা মনে হবে ঠিক আমের রাজ্যে এসে পৌছেছেন আপনি।

রাজশাহী শহরের কোন স্থানটি সবচাইতে ভালো-

রাজশাহী শহরের আকষনীয় স্থানগুলোর মধ্যে সবপ্রথম রয়েছে পদ্মাপাড়। যে কোনো মৌসুমে বা সকালে , বিকেল বা সন্ধার সময় পদ্মা গাডেন, টিবাধ, আইবাধ অথবা বিজিপি সবচেয়ে সুন্দর দূশ্যার দেখা মিলবে এখানে। তবে রাজশাহী বাসিরা বিকেলে বা সন্ধার সময় বেশি এখানে এসে প্রাকৃতিক সুন্দয় উপভোগ করে থাকে। রাজশাহী শহরের দক্ষিণ এলাকা জুড়ে রয়েছে নদী।

আরও পডুণঃমালয়েশিয়া শ্রমিক নিয়োগ

এরপর আসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যা দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতেই দেখা মিলবে সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক দৃশ্য যা যেকোনো মানুষের মনকে ভালো করে দিতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ থেকে হাটা শুরু করলে কিছুদূরে মিলবে ছায়াঢাক প্যারিস রোড, যার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো কোনো বাক নেই।রাস্তার দুই পাশে দাড়িয়ে থাকলে চোখ জুড়াবে বিশাল বিশাল রেইট ট্রি, কেওড়া,কৃঞ্জচৃড়া, আর পাতাবাহারের বিভিন্ন ধরনের গাছপালা। গ্রীষ্মকালে মিলবে লালচে বেগুনি জারুল ফুল যা রোকেয়া হলের সামনে মিলবে। 

রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার। খাবার গুলোর তালিকা-

বাংলাদেশের পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর শহর হলো রাজশাহী। রাজশাহী বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মহানগরী। রাজশাহী শহর যা পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত , বিভাগীয় শহরের মধ্যে সবচেয়ে কম বায়ু দূষণ পূর্ণ শহর হলো রাজশাহী শহর। 

পদ্মা নদীর তীরে পদ্মা গাডেনের অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করুন এবং সে সাথে একবার হলেও রাজশাহী শহরে বিশেষ বিশেষ খাবার যা আপনার মনে গভীর জায়গা দখল করে নিবে। 

কালাই রুটি ও ভর্তাঃ কালাই রুটি ও ভর্তা খেতে পারেন । রাজশাহী আসবেন আর কালাই রুটি খাবেন না তা কখন হয় না , দেশের বা বিদেশের বিখ্যাত ব্যাক্তিরা ও রাজশাহী তে আসলে এই সুস্বাদু কালাই রুটির স্বাদ নেন।

বাটার মোড়ের জিলাপিঃ রাজশাহীর আরো একটি বিখ্যাত ও সুস্বাদু খাবার হলো বাটার মোড়ে-র জিলাপি।মিষ্টি প্রেমিদের জন্য এই খাবারটি অনেক সুস্বাদু ও টেস্টি  একটি খাবার ।মিষ্টি প্রেমিরা বাটার মোড়ে যাবে আর বাটার মোড়ের সুস্বাদু ও টেস্টি মিষ্টি খাবে না তা একটি অসম্ভব বিষয়। জিলেপি সকল জায়গাই পাবেন কিন্তু বাটার মোড়ের মতো স্বাদ ও সুস্বাদু আর কোথাও পাওয়া যাবে না তাই যারা রাজশাহীতে আসবেন তারা অবশ্যায় বাটার মোড়ের সুস্বাদু জিলেপি স্বাদ গ্রহন করবেন। 

রাজশাহী পদ্মা পার্ক আকর্ষণীয় ভ্রমন স্থান-

রাজশাহী শহর হলো একটি সবুজ  ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর।রাজশাহী শহর মূলত বরেন্দ্র এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত ।আর পদ্মা নদীর তীর ঘীসে বিভিন্ন ধরণের বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উয়েছে । বর্তমানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন পরিকল্পিত ভাবে পদ্মা নদীর তীরে  বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলেছেন।

আরও পডুণঃমেয়েদের জন্য কোন ফেসওয়াস সবচেয়ে ভালো

লালন শাহ মুক্তমঞ্চঃ মুক্তমঞ্চ হলো পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত যা বর্তমানে রাজশাহী বাসীর জন্য একটি বিনোদন কেন্দ্র যা ২০১৩ সালে স্থাপিত করা হয়েছিল। এখানে রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সুবিধা ও বিভিন্ন ধরনের মেলার  আয়োজন করা হয়ে থাকে এই মুক্তমঞ্চ এলাকায় । রাজশাহী বাসী বিকেলে বা সন্ধার পরে মুক্তমঞ্চ এলাকায় প্রাকৃতিক সন্দয় ও মনমুদ্ধকরণ পরিবেশের সাথে মিশে যাই।

টি-বাধ ও আই বাধঃ আপনি যদি রাজশহী শহরের  প্রাকৃতিক সুন্দরর্য উপভোগ করতে চান তাহলে টিবাধ বা আই বাধে যেতে পারেন যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি সুন্দর ও মনোমুগ্ধকরণ  একটি স্থান ।নদীর পাড়ের শীতল বাতাস মানুষের মন ও শরীর শান্তি প্রদান করে থাকে । তাই রাজশাহী তে কোনো কাজে বা ভ্রমণে আসলে অবশ্যায় রাজশাহীর বিশেষ বিশেষ জায়গায় আসবেন আর রাজশাহী সুন্দর  প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url