কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ - ঘুমানোর সঠিক সময়

প্রিয় বন্ধু আজকের এই পোস্টে আমরা দারুন একটি টিপস নিয়ে চলে আসলাম যে কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ এবং ঘুমানোর সঠিক সময়। আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যেকোনো সময় ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু এটা ঠিক নয়। হয়তোবা আপনারা জানেন না ঘুমানোর সঠিক সময় কখন এবং কোন কোন সময় ঘুমালে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না।

আপনারা যদি ঘুমানোর সঠিক সময় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টে আপনাদের জন্য। আর আপনারা যদি এই ঘুমানোর সঠিক সময় এবং কোন কোন সময় ঘুমালে ভালো হয় তার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন দেখে নাও যাক কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ এবং ঘুমানোর সঠিক সময়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ-কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ - ঘুমানোর সঠিক সময়

কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ জেনে নিনঃ-

বন্ধুরা আপনারা অনেকেই জানেন না কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত এবং কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত নয়। দিন রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে সব সময় ঘুমানো ঠিক নয়। কিছু কিছু সময় আছে সেই সময়গুলোতে ঘুম পারলে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন যে সময় ঘুম পারতে নিষেধ করা হয়েছে সেই সময়গুলোতে ঘুম না পারার।

আরও পড়ুনঃ- মাথা কিভাবে কাজ করে

জীবনে সব মানুষেরই ঘুমের প্রয়োজন আছে। ঘুম না পারলে জীবনে কোন মানুষ বেঁচে থাকতে পারবে না।বেঁচে থাকতে হলে সব মানুষের ঘুমের দরকার। আবার ঘুম যেমন মানুষের শরীরের জন্য ভালো আবার তেমনি মানুষের শরীরের জন্য ঘুম অনেক খারাপ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মানুষের জন্য ঘুম শুধু ছয় থেকে সাত ঘন্টা। এর থেকে কম ঘুম পারলে শরীরের ক্ষতি হবে এবং বেশি ঘুম পারলেও শরীরের অনেক ক্ষতি হবে।

তাই এখন আমরা আলোচনা করব ২৪ ঘন্টা মধ্যে কোন কোন সময় ঘুম পাড়ার জন্য উপযুক্ত সময়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন। তোমরা রাতে এশার নামাজের পরপরই ঘুমিয়ে পড়বে। এবং ফজরের আযানের আগেই তোমরা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করবে।এ সকল নিয়ম মেনে যদি আপনি ঘুম পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালো।

ঘুমানোর সঠিক সময় সম্পর্কে জানুনঃ-

ঘুম মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। কিন্তু আপনারা জেনে না শুনেই যে কোন সময় ঘুম পেড়ে থাকেন।কিন্তু এটা ঠিক নয় ঘুম পাড়ারও একটি সঠিক সময় আছে। তা হয়তোবা আপনারা জানেন না। তাই আমরা নিয়ে চলে আসলাম কোন কোন সময় গুলো আপনাদের জন্য ঘুম পারার উপযুক্ত সময় এবং কোন কোন সময় ঘুম পারলে শরীরের ক্ষতি হবে।

এই ঘুম পাড়ের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন তোমরা এশার নামাজ পড়েই অতি তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। তিনি আরো বলেছেন তোমরা ফজরের আযানের আগেই উঠবে এবং ফজরের নামাজ আদায় করবে।

আপনাদের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তি আছেন যারা নামাজ তো পড়েই না এবং দেখা যাচ্ছে ঘুম থেকে উঠে সকাল আটটা নয়টা কিবা দশটা বাজিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এতক্ষণ সময় ধরে ঘুম পাড়া নিজের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। তাই আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন এশার নামাজের পর ঘুমানো এবং ফজরের আযানের আগেই ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করা।

মাগরিবের সময় ঘুমালে কি হয়ঃ-

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা সময় অসময় না বুঝেই যেকোনো সময়ই ঘুমায়। কিন্তু সময় অসময়ে না বুঝে সব সময় ঘুমানো ঠিক নয় এতে করে নিজের শরীরেরও ক্ষতি হয়। কিছু কিছু লোক আছে যারা মাগরিবের সময় ঘুমায়। নামাজ কালাম তো পরেই না বরং নিয়ম কানুন না মেনেই ঘুমায়।

মাগরিবের সময় ঘুমানো ঠিক নয় এতে আল্লাহতালা বেজার হয়। একজন মুসলমান ঘরের সন্তান হিসেবে আমাদের প্রথমত নামাজ কালাম আদায় করা উত্তম। তাই সবসময় আমাদের সময় মেনটেন করে চলতে হবে এবং সময়ের মূল্য যা শিখতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের সুবিধা ও অসুবিধা ভেবেই দিন ও রাত তৈরি করেছেন।

আরও পড়ুনঃ- মানুষের হাত কোন শ্রেণীর লিভার

দিন তৈরি করেছেন আল্লাহ তাআলার ইবাদত এর জন্য এবং অন্যান্য কাজ কামের জন্য। দিনের বেলায় সকল কাজ কাম করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালা দ্বীনের মুগ্ধ থাকতে হবে। তাই আমাদের এশার আজানের আগে ঘুমানো ঠিক নয় এতে করে অনেক ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন এশার নামাজের পর ঘুমানো এবং ভোর না হতে এই ফজরের আগেই ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করার।

ফজরের পর ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয়ঃ-

আপনারা জানতে চেয়েছিলেন ফজরের পর ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা নিয়ে চলে আসলাম  ফজরের পর ঘুমালে যে সকল ক্ষতির সম্ভাবনা হতে পারে। ফজরের পর ঘুমালে যে সকল ক্ষতি সম্ভাবনা হতে পারে তা আপনারা যদি জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আর্টিকেল পরতে পারেন।

এখন তো ফজরের পর ঘুমানো একটি কমন বিষয় হয়ে গেছে। এইটা গ্রামের মানুষ প্রাই সবাই করে না কিন্তু শহরের মানুষ ফজরের পর ঘুমায়। কিন্তু তারা জানেনা এটা তো অনেক পাপ কিন্তু শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। আগের মানুষ কোন সময়ই ফজরের পর ঘুমাতো না ফজরের আগেই উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে তারা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকতো। কেউ কেউ হাদিস কোরআন নিয়ে পড়তে ব্যস্ত থাকতো আবার কেউ কেউ তার নিজ নিজ কাদের জন্য বেরিয়ে যেত।

ছেলেদের ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্কে জানুনঃ-

এখন তো দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ই ছেলেরা নিয়ম কারণ না মেনেই চলাফেরা করে। সময় নেই অসময় নেই দেখা যায় তারা ঘুমিয়ে থাকে। এতে করে তাদের শরীরের অনেক ধরনের ক্ষতি সম্ভাবনা হতে পারে তারা বুঝতেই পারে না। ঘুমানোর জন্য আল্লাহ তাআলা নিজেই নির্দিষ্ট সময় দিয়ে দিয়েছে।

ছেলেদের জন্য সঠিক সময় হলেও এশার নামাজের পর ঘুমিয়ে পড়বে এবং ফজরের নামাজের আগেই ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করবে। কিন্তু এখন তা সবাই মানে না কেউ কেউ দেখা যায় ঘুমাতে রাত একটা দুইটা বাজিয়ে দেয় কিন্তু সকাল নয়টা দশটার দিকে উঠে কিন্তু এগুলা তো ঠিক নয়।

আরও পড়ুনঃ- কোন পানিতে অক্সিজেনের পরিমান বেশি থাকে

এতে করে অনেক ধরনের পাপ হয় বরং নিজের শরীরেরও অনেক ধরনের ক্ষতি সম্ভাবনা হতে পারে। তাই ছেলেদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা সব সময় চেষ্টা করবেন এশার নামাজের পর পরে ঘুমানো এবং ফজরের আগেই উঠে ফজরের সালাত আদায় করার। তারপর চেষ্টা করবেন কোরআন তেলাওয়াত করা বা নিজ নিজ কাজে বেরিয়ে পড়ার। কিন্তু ফজরের নামাজের পর আবার ঘুমাতে যাবে না এতে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন এবং শরীরের অনেক ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।

কোন কোন সময় ঘুমানো নিষেধ - শেষ কথা

আজকের এই পুরো আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করে আসলাম কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত, ঘুমানোর সঠিক সময়, মাগরিবের সময় ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয় আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে। আশা করি আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক কিছুই শিখতে পেরেছেন বা বুঝতে পেরেছেন। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং এ সকল আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো রাখবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url