ওসিডি রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয়

আপনাদের মধ্যে অনেকেই ওসিডি রোগে ভুগছেন। এই রোগটি হল একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগটির মাধ্যমে অনেক মানুষ মারাও যাচ্ছে। তাই এই রোগটি নিয়ে সবাই অনেক চিন্তিত আছে। যদি আপনাদের এই রোগটি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ডক্টরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ওসিডি রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয়

• ওসিডি কেন হয়?
• ওসিডি রোগ থেকে মুক্তির উপায়
• ওসিডি রোগের চিকিৎসা
• ওসিডির ঔষধ কত দিন সেবন করবেন
• শেষ কথা

ওসিডি কেন হয়?

ওসিডি হল একটি মারাত্মক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হলে অনেক ব্যক্তি মারা যেতে পারে। তাই এই রোগ সম্পর্কে আপনাদের জেনে থাকা অনেক জরুরী। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়েও থাকেন তাহলে আপনাদের অধিকারী দপ্তরের কাছে পরামর্শ নিয়ে অসহযোগ জীবন করা উচিত। না হলে যদি আপনারা এভাবে থাকেন তাহলে আপনার অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ প্রেসার লো হলে কি খেতে হয়

তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নিয়ে চলে আসলাম ওসিডি কেন হয়। বিভিন্ন কারণেই এই রোগটি হয়ে থাকে। যদি আপনারা এই কারণগুলো জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। ওসিডি হলো গ্যাস্ট্রিকের একটি অংশ মানুষের যখন বেশি বেশি গ্যাস হয় তখন থেকে শুরু হয় ওসিডি বা অনেক বেশি গ্যাস হতে থাকলে বা এভাবে চলতে থাকলে মানুষের ওসিডি হতে অনেক সময় লাগে না।

আর কোন ব্যক্তির যদি ওসিডি একবার হয়ে যায় তাহলে মানুষের মাথার মস্তিষ্কের যে আঘাত করে। এতে করে মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এই রোগটি হওয়ার বিশেষ কারণ হলো অপরিষ্কার আপনারা যদি সব সময় অপরিষ্কার হয়ে থাকেন তাহলে এই রোগ হতে বেশি দেরি হয় না। তাই আমাদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে শরীরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার আগা এবং সব সময় নিজের শরীরের খেয়াল রাখা।আর এই সমস্যার সম্মুখীন যদি আপনারা হয়ে যান তাহলে অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।

ওসিডি রোগ থেকে মুক্তির উপায়ঃ-

মানুষের চলাফেরা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া এর কারণে ওসিডি রোগে ও ভুগছেন। এর উক্তি সব সময় হয়ে থাকে অপরিষ্কার এর কারণে। আপনারা যদি অপরিষ্কার হয়ে থাকেন তাহলে এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। চলাফেরার কারণে দেখা যাচ্ছে অনেকের ওসিডি রোগটি হয়ে গেছে কিন্তু এর থেকে কিভাবে আপনারা মুক্তি পাবেন সেই উপায়গুলো জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

অনেকেই মনে করে ওসিডি হলে মুক্তি পাওয়া যায় না কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। অনেকে বলে থাকে আমি ওসিডি রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক ট্রিটমেন্ট নিয়েছি কিন্তু এর থেকে মুক্তি পাইনি। আপনারা এই ধারণা করে ট্রিটমেন্ট নেওয়া বাদ দেবেন না কারণ ওসিডি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আপনারা সব সময় চেষ্টা করবেন যে অসুখ হয়েছে ওই সকল ডাক্তারের কাছ থেকে স্টেটমেন্ট নেওয়ার।

ওসিডি হলো এমন একটি রোগ যা হলে আপনাদের মস্তিষ্কে আঘাত করে কিন্তু মস্তিষ্কের কোন আঘাত করলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই ধরনের রোগে যদি আপনারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের জন্য দুটি চিকিৎসা আছে তা ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন ১। সাইকিয়াস্টিক ২। সাইকোলজিস্টি।

ওসিডি রোগের চিকিৎসাঃ-

মানুষ মনে করে ওসিডি রোগে আক্রান্ত হলে এর কোন চিকিৎসা নেই কিন্তু এটা তো সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। ওসিডি রোগের ও চিকিৎসা রয়েছে। ওসিডি রোগ হলে মানুষের মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। মানুষের ব্রেন এ গিয়ে আঘাত করে। এতে মানুষের অনেক দুর্বলতার সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের মধ্যে আপনারা যদি ওসিডি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবে।

আরও পড়ুনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রযুক্তি ইউনিট

সাধারণত এই রোগটি ছেলে মেয়ে উভয়ই হয়ে থাকে। এই রোগটি ছয় বছর বয়স থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স্ক লোকদের হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময় দেখা যায় এই রোগটি বয়সন্ধিকালে হয়ে থাকে। যদি এই রোগটি হয়ে থাকে তাহলে যেগুলো লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন।

ওসিডি রোগের লক্ষণঃ-

1. আপনার বা অন্য কারো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এরকম চিন্তা ভাবনা মাথায় আসা।
2. খাবার প্লেটে বা সারা শরীরে জীবাণু লেগে আছে বা অপরিষ্কার আছেন এমন চিন্তা ভাবনা করা।
3. পুরো শরীরে ময়লা জীবাণু লেগে আছে এমন চিন্তা ভাবনা করে পুরো শরীর ধৌত করা।
4. একই ধরনের চিন্তা বারবার করা বা একই কাজ বারবার করবে এ ধরনের ভাবনা আছে এমন কাজ। যেমনঃ ঘরে তালা লাগা আছে কিনা বারবার চেক করা, গ্যাসের চুলা বন্ধ করলেন কিনা তা বারবার ঘুরে ঘুরে দেখা এমন হারানো চিন্তা থাকলে বুঝবেন যে আপনার ওসিডি রোগ হয়েছে।

তাই এই সকল কাজ যদি আপনারা বারবার করেন তাহলে আপনি বলবেন ওসিডি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা মানসিক রোগ। তাই আপনাকে অতি তাড়াতাড়ি মানসিক রোগের কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দেখব ওষুধ সেবন করতে হবে। না হলে এর থেকে আপনি আরো গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।