শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় - শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায়
প্রিয় পাঠক আপনাদের মধ্যে অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন কিন্তু এই শ্বাসকষ্ট নিয়ে আপনারা অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় সর্দি বা কাশি বা বুকে চাপ ধরে থাকে এই সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে থাকে। এই করোনা কালিন প্রায় সবার মুখেই ছিল এই শ্বাসকষ্টের কথা। তাই যারা এই শ্বাসকষ্ট ভুকছেন আর কোন টেনশনের কারণ নেই এই শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ারও অনেক উপায় আছে।
তা আজকের এই আঁটিকেলে আমরা আলোচনা করব। আপনারা যারা যারা এই শ্বাসকষ্টের রোগটি থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। তাই যারা এই রোগটি থেকে মুক্তি পেতে চান তারা আজকের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনারা শ্বাসকষ্ট থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন তা বুঝতে পারবেন।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় - শ্বাসকষ্ট হলে মুক্তির উপায়
- শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায়
- দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমানোর উপায়
- শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে
- বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
- শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না বিস্তারিত জেনে নিন
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায়
সর্দি কাশি হলে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আবার বর্তমানে করনাকালীন প্রায় সব রোগীর মুখে শোনা যায় শ্বাসকষ্টের কথা। কিছু অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আমরা সবাই প্রায় গ্রামে বাস করি সবসময় মাঠে কাজে ব্যস্ত থাকি এতে ধুলাবালি ইত্যাদি বায়ু দূষণের কারণে আমাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়।
এমনটি হলে খুব সহজে বাড়িতেই এই শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট রোগ প্রতিরোধ সমাধান আছে। তবে আমাদের যদি অতিরিক্ত বেশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় তাহলে আমাদের বাড়িতে বসে না থেকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। আমাদের যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় তাহলে আমরা সামনের দিকে যুগে বসতে হবে।
আরও পড়ুণঃ ভীষণ ফ্রিজের দাম কত
এটি করলে শরীর রিল্যাক্স হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শ্বাসকষ্ট রোগীদের অনেক সুবিধা হয়। এভাবে ঝুকে বসার ফলে ফুসফুস হাটের ওপর চাপ সৃষ্টি হয় এতে করে আমাদের যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তা অনেক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমাদের যদি এই সমস্যাটি দেখা দেয় তাহলে আমরা এর পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারব।
পেটের পেশিকে ব্যবহার করে গুহীর ভাবে শ্বাস নিলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। আমাদের যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে এগুলো চিকিৎসা করে যদি শ্বাসকষ্টের প্রভাব না কমে তাহলে আমরা বসে না থেকে দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করব।
দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমানোর উপায়
আমরা সবাই জানি নভেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। কমছে তাপমাত্রা বাতাসের আদ্রতার পরিমাণও কমে যাচ্ছে। এই সময়ে আমাদের অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে এ শ্বাসকষ্টের মূল কারণ শ্বাসনালের সংকোচন ও এলার্জেনের কারণে ইরিটেশন। আমাদের শ্বাসকষ্ট হলে আমাদের অনেক সমস্যা হয়।
এবং যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারাই একমাত্র জানে যে শ্বাসকষ্টের কষ্ট কত শ্বাসকষ্ট হলে ফুসফুসের প্রয়োজন বাতাস ঢুকতে বাধা পায়। রোগীকে ঘন ঘন নিশ্বাস নিতে হয়। রোগী অক্সিজেনের অভাবে বহু ধরনের শারীরিক জটিলতার মুখোমুখি হয় এবং অনেক মারাত্মক কিছু ঘটে যায়। আমরা সবাই প্রায় জানি সাধারণভাবে সর্দি কাশি হলেও শ্বাসকষ্ট হয়।
অনেকের সাইনোসাইটিস হলেও শ্বাসকষ্টের প্রকোপ বাড়ে। সাইনোসাইটিসের ক্ষেত্রে ঠিক ফুসফুস শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী নয়। এজন্য নাকের ভেতরের গাত্র প্রদাহে আক্রান্ত হয়ে ফুলে যায় তাই প্রয়োজনীয় বাতাস নাক দিয়ে ফুসফুসে ঢুকতে পারে না এজন্য আরও বেশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় এবং নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়।
ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়তে উপকারী ডুমুর টি আমরা অনেকেই চিনি এটি যদি আমরা
রান্না করে খাই তাহলে আমাদের এই রোগ থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
পেঁয়াজ রসুন আর বাদ যাবে কেন সব তরকারিতেই তো আমরা পেঁয়াজ খাচ্ছি অনেক কিছুতেই
রসুন খাচ্ছি। তবে আমরা অনেকেই খাবারের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে খুব বেশি পছন্দ
করি আসলে খাবারের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া অনেক উপকার পাওয়া যায়।
শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ খেতে হবে
শাশকটে সঙ্গে সম্পর্কিত রোগ সম্পর্কে ডাক্তার. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন এটি একটি রোগ এ রোগের ফলে ধীরে ধীরে শ্বাসনালী গ্রন্থের দিকে কমতে শুরু করে। আর আমাদের নানা কারণে মধ্যেই শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর পিছনে যেমন রয়েছে দূষণের প্রভাব তেমনি এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে শরীরচর্চা বিহীন জীবনযাপন।
আমরা যদি শরীর স্বাস্থ্য ভালো না রাখি আজেবাজে খাবার খাই এবং বেশি ধুলাবালিতে থাকি তাহলে আমাদের শ্বাসকষ্ট দিন দিন বাড়বে কমবে না। তাতে আমাদের সব সময় সাবধান থাকতে হবে এবং ধুলাবালি থেকে দূরে থাকতে হবে সব সময় শরীর চর্চা রাখতে হবে তাহলে আমাদের অনেকটাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুণঃ বিদেশে কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা মাদকে আসক্ত যেমন সিগারেট বিড়ি জর্দা গুল ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের মাদক নেশাদ্রব্য রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয় এবং যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাদের বিশেষ করে আরও বেশি সমস্যা হয় এবং মারাত্মক রোগে সৃষ্টি হয়।
আমরা যদি এগুলো থেকে বিরত থাকি তাহলে আমাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। আমরা সবাই তিন বেলায় খাবার খাই খাবারের সাথে আমরা যদি বেশি বেশি পানি পান করি খাবারের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খায় তাহলে আমাদের এই শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
সেচ শুরু হলে শিশুদের ঠান্ডা জড়িত সমস্যা দেখা যায়। এই ঠান্ডার সমস্যা যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন নিউমোনিয়া এজমা সহ শ্বাসকষ্ট জনিত নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। আমরা অনেকেই আমাদের পরিবারের যদি কোন শিশু বাচ্চা থাকে তাকে যদি সবসময় পরিচর্যা শরীর চর্চা ইত্যাদি না রাখি যত্ন না নিয়ে তাহলে এগুলোর প্রভাবের কারণে শিশু বাচ্চাটির শ্বাসকষ্ট সহ এজমা নিউমোনিয়া রোগ হতে পারে।
তাই আমাদের বাড়িতে যদি শিশু বাচ্চা থাকে তাহলে এই সময়ে শিশুটির বাড়তি যত্ন নেয়া খুবই প্রয়োজন। শিশুরা অনেক সময় অনেক রকমের খেলাধুল করে যেমন কোন কোন শিশু রয়েছে যারা ধুলাবালি ছাড়া খেলাধুলা করে না সেইগুলো শিশুকে সবসময় যত্ন সহকারে শরীর পরিচর্চা রাখতে হবে। শীতের বৃষ্টি কম হওয়ায় ধুলাবালি গাড়ির ধোঁয়া আর আবর্জনা সবমিলিয়ে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়।
আমরা যদি রাস্তাঘাটে চলাফেরা করি কোন জায়গায় যদি ধুলাবালি গাড়ির ধোঁয়া
আবর্জনা দেখতে পায় তাহলে সেগুলো থেকে সবসময় বিরত থাকবো এবং দূরত্ব বজায় রেখে
চলাফেরা করব। এই গাড়ির ধোঁয়া ধুলাবালির আবর্জনার বায়ু দূষণ যদি আপনার শিশুকে
আক্রমণ করে তাহলে তাহলে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা বিস্তারিত জেনে নিন
শ্বাসকষ্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রোগ এবং খুবই গুরুতর মারাত্মক একটি রোগ। শ্বাসকষ্ট হলে মানুষের শ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়। এটা যেকোনো সময় হতে পারে এ কারণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা শ্বাসকষ্ট রোগীদের সব সমস সর্তক থাকতে বলেন। আমাদের মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টের রোগ প্রধান সমস্যা ফুসফুসে থাকে।এ রোগীদের ফুসফুসের ছোট ছোট বায়ু চলাচলের নারী ধীরে ধীরে শুরু যায়।
এ কারণে তাই ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না তাই আমাদের শ্বাসকষ্ট থাকলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। আবার শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য কিছু খাবারও রয়েছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্য তালিকা নজর রাখতে বলা হয়। আমরা অনেকেই জানিনা যে আমাদের অনেক রোগের সমস্যার সমাধান নিজের বাড়িতে থাকে এবং ঘরের ভিতরে থাকে ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা করতে পারি।
কমবেশি আমাদের সবার বাড়িতে লেবু আঙ্গুর তরমুজ ভ্রুকলি ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের ফলমূল রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য এবং অনেক রোগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই ভালো। আমাদের যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে আমরা বেশি বেশি লেবু তরমুজ আঙ্গুর খাবো তরমুজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ভিটামিন সি ছাড়াও তরল জাতীয় এই ফল ঠান্ডা রাখে যা স্বাভাবিকভাবে শ্বাসকষ্ট রোগীদের শরীর সুস্থ রাখে এবং মাথা ঠান্ডা রাখে। স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য বিখ্যাত একটি ফল রয়েছে, যা হলো আঙ্গুর ফল এই ফল ছোট ছোট নানা অসুখ থেকে মুক্তি দিতে ভূমিকা রাখে। এবং এটি যদি আমরা নিয়মিত খাই তাহলে আমাদের ত্বক ভালো রাখা ছাড়াও শরীরের অক্সিজেনকে ঠিকমতো কাজ করাতে কার্যকারী এই আঙ্গুর ফলটি।
আরও পড়ুণঃ কিভাবে তাড়াতাড়ি ওজন কমানো যায়
আমাদের যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে আমরা ধুলাবালি থেকে বিরত থাকবো এবং বিদেশি সিগারেট বিড়ি গুল জর্দা ইত্যাদি মাদকদ্রব্য নেশা থেকে বিরত থাকবো কারণ এগুলো গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতি করে এবং ফুসফুসের ক্ষতি করে আর এই ফুসফুসের জন্যই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়।
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url