কম্পিউটারে কাজ করার গতি বজায় রাখার জন্য কোনটি ব্যাবহার করা হয়
প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের মধ্যে তো অনেকেই কম্পিউটারে কাজ করেন। কিন্তু অনেকে আছেন কম্পিউটারের কাজ করার গতি বজায় রাখার জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয় তা সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন না। তাই আপনাদের মধ্যে যারা কম্পিউটারে কাজ করা করতে বলে রাখার জন্য এটি ব্যবহার করা হয় তা সম্পর্কে জানতে চান তারা আজকের এই আর্টিকেল পড়তে পারেন।
আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করতে যাচ্ছি কম্পিউটারের গতি বজায় রাখার জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয় তা নিয়ে। কম্পিউটার চলতে চলতে অনেক সময় দেখা যায় কম্পিউটারের গতিটা অনেক কমে গেছে এ কারণে আমাদের করনীয় কি তা তো জানা অত্যন্ত জরুরী। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন তাহলে বুঝতে পারবেন কম্পিউটারের গতি কমে গেলে বা গতি ঠিক রাখার জন্য কি করা উচিত।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ কম্পিউটারে কাজ করার গতি বজায় রাখার জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয়
- কম্পিউটারের গতি বজায় রাখার জন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়
- কম্পিউটারে কোন অংশটি ডাটা স্টোর করে
- কম্পিউটারে বাংলা থেকে ইংরেজি করার নিয়ম
- কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়ম
- আমাদের শেষ কথা
কম্পিউটারের গতি বজায় রাখার জন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ঃ-
আপনাদের মধ্যে সবাই কম্পিউটারে কাজ করেন কিন্তু কাজ করার সময় দেখা যায় অনেক
সময় কম্পিউটারের গতি কম আবার কোন সময় দেখা যায় গতি বেশি। এটা হয় নেট সমস্যার
কারণে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় নেট স্পিড থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটারে গতি অনেক
কম। এরকম সমস্যা যখন দেখা দিবে তখন বুঝবেন আপনার কম্পিউটারে কোন ধরনের প্রবলেম
আছে।
আরও পড়ুনঃ টাই বাধার নিয়ম - টাই বাধার পিক
আপনাদের কম্পিউটারে যদি এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় তাহলে আপনারা কি করবেন তা বুঝতে
পারেন না। তাই আজকের এই পোস্টটি নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের কম্পিউটারের গতি সব সময়
ঠিক রাখার জন্য কোন সফটওয়্যারটি ব্যবহার করবেন তা নিয়ে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া
যাক কোন সফটওয়্যারটি ব্যবহার করলে আপনাদের কম্পিউটারের গতি বজায় রাখবে
সবসময়।
ডিস্ক ক্লিনারঃ-
আমরা তো সবাই জানি উইন্ডোজের সাথে ডিস্ক ক্লিনআর নামে একটি প্রোগ্রাম থাকে।
উইন্ডোজের সাথে থাকা এই ডিস্ক ক্লিনার কম্পিউটারের গতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা
করে। আপনাদের কম্পিউটার যখন অনেকগুলো ডকুমেন্ট বা অন্যান্য আপনার ভিডিও অডিও
গান সংগ্রহ করে রাখেন তখন এইগুলো কম্পিউটারে অনেক জায়গা ধরে নিয়ে এটা
কম্পিউটারকে স্লো করে ফেলে। তাই আপনারা এগুলো ক্লিন করতে হলে আপনারা ডিক্স
ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন।
কম্পিউটারে কোন অংশটি ডাটা স্টোর করেঃ-
আমরা সবাই কম্পিউটার ব্যবহার করি কিন্তু কম্পিউটারের কোন অংশটি কি কাজ করে তা
আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের শুধু কম্পিউটার কাজ করা জানলেই হবে না। এর মাঝে মাঝে
আমাদের জেনে থাকা দরকার কম্পিউটারে কোন অংশটি কি কাজ করে। তাই আমরা এখন আলোচনা
করব কম্পিউটারে কোন অংশটি ডাটা স্টোর করে।
সাধারণত কম্পিউটারে কাজ হল মেমোরিতে ডাটা স্টোর করা, ইনপুট আউটপুট সংগ্রহ করে
রাখা, ফলাফলে আউটপুট দেওয়া আরো ইত্যাদি কাজ। একটি কম্পিউটারের মূল অংশ হলো তার
হার্ডডিক্স। কম্পিউটারের সমস্ত ডাটা স্টোর হার্ডডিস্ক জমা করে রাখে কম্পিউটারে।
কিন্তু কোন হার্ডডিসি যদি অনেক ডাটা স্টোর জমা হয়ে যায় তখন কম্পিউটার অনেক স্লো
কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ মুখে লাল দাগ দূর করার উপায়
এ কারণে এখন এসএসডি নামে একটি ডিভাইস বের হয়েছে তা আপনারা কম্পিউটারে ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ডাটা স্টোর সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন এবং আপনাদের কম্পিউটার কোন সময় স্লো কাজ করবে না। আপনি যদি ৫১২ জিবি এসএসডি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডাটা স্টোর সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন এবং কোন সময় আপনার কম্পিউটার স্লোভাবে কাজ করবে না। এবং এসএসডি ব্যবহার করলে আপনার কম্পিউটারের ঘন ঘন উইন্ডোজ ও ব্যবহার করতে হবে না।
কম্পিউটারে বাংলা থেকে ইংরেজি করার নিয়মঃ-
প্রিয় পাঠক আপনাদের কাজ করার সময় অনেক সময় বাংলা থেকে ইংরেজি ট্রান্সলেট করে
লেখার প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনারা বাংলা থেকে ইংলিশ এটা ট্রান্সলেট করবেন কি করে
তা বুঝতে পারছেন না। তাই এখন আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনারা ইংরেজি থেকে বাংলায়
ট্রান্সলেট করে লেখালেখি করবেন।
আমরা যখন কোন ডকুমেন্ট বা আর্টিকেল লিখে তখন আমাদের অনেক সময় প্রয়োজন হয় ইংলিশ
থেকে বাংলায় ট্রান্সফার করার। আমরা যদি তা একে একে করার চেষ্টা করি বা অনেক সময়
ব্যবধান হয়ে যায়। তাই আপনারা অতি তাড়াতাড়ি কিভাবে ইংলিস থেকে বাংলায়
ট্রান্সলেট করবেন তা জেনে নিন।
আমাদের যদি কোন ডকুমেন্ট ইংলিশে লেখা থাকে তা বাংলায় ট্রান্সলেট করার জন্য
প্রথমত আপনারা google বারে গিয়ে google ট্রান্সলেট নামে একটি ওয়েবসাইট আছে তা
আপনারা সার্চ করবেন। যখন গুগল ট্রান্সলেট নামে একটি অপশন চলে আসবে তখন আপনারা
সেখান থেকে ইংলিশ বাংলায় ট্রান্সলেট করে নিতে পারবেন। আবার ওই একই গুগল
ট্রান্সলেট থেকে আপনারা বাংলা থেকে ইংলিশেও ট্রান্সফার করতে পারবেন।
কম্পিউটারে বাংলা লেখার নিয়মঃ-
আমরা তো সবাই কম্পিউটার টিপাটিপি করতে পারি কিন্তু কিবোর্ডে বাংলা টাইপিং করতে
অনেকেই পারি না। এ কারণে আমাদের বাংলা লেখালেখির অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আর কোন চিন্তার কারণ নেই আমরা নিয়ে চলে আসলাম কি করে আপনারা অতি
সহজে বাংলায় লেখালেখি করে কাজ করবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই বাংলায় বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট আর্টিকেল লিখেন এই কারণে
আমরা যখন কিবোর্ডে টাইপিং করতে যাই তখন অনেক সময় প্রয়োজন হয়। তাই আমরা কম
সময়ে বেশি বাংলা টাইপিং করব কিভাবে তা অনেকেই জানিনা। বাংলা টাইপিং করার
জন্য বৌদি তাড়াতাড়ি বেশি লেখার জন্য কী করতে ব্যবহার করা উচিত তা আমাদের জেনে
থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ কোন অ্যালোভেরা জেল ভালো
আমরা যদি বাংলা টাইপিং হতে তাড়াতাড়ি করতে হয় তাহলে আমাদের যা করতে হবে। আপনারা যদি ব্লগার এ বাংলা টাইপিং করেন তাহলে আপনারা ভয়েসের মাধ্যমে বাংলা টাইপিং লেখালেখি করতে পারবে এতে করে আপনাদের অনেক সময় বেচে যাবে।গুগল ভয়েস টাইপিং নামে কি ওয়েবসাইট টা আপনাদের ক্রোম ব্রাউজারে সেটআপ করতে হবে। ক্রোম বাজারে সেটাপ করা হলে সেখান থেকে আপনারা প্রকারে ভয়েস টাইপিং এখানে কি করতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথাঃ-
আজকের এই পোস্টে কিভাবে কম্পিউটারের গতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়, বাংলা থেকে
ইংলিশে টাইপিং করার নিয়ম, কিভাবে অতি তাড়াতাড়ি বাংলায় টাইপিং করবেন আর
অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে এসেছি। আশা করি আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি
পড়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। যদি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগে তাহলে
বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং এই সকল আরো টিপস পেতে ওয়েবসাইট ফলো
রাখবেন।ধন্যবাদ।
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url