২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় অনুষ্ঠিত হবে
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা তো বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে অনেক পছন্দ করেন। আমাদের দেশে অনেকেই অনেক দেশের সাপোর্ট নিয়ে ফুটবল খেলা দেখে আনন্দ সরকারে। আশা করি গত ২০২২ সাল বিশ্বকাপ খেলা সবাই খুব আনন্দের সহকারী দেখেছিলেন। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ খেলাটি কাতারে অবস্থিত হয়েছিল।
কিন্তু এবার তো আপনাদের জানতে ইচ্ছা হয় যে আগামী ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ খেলাটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই আজকের এই পুরো আর্টিকেলে আমরা নিয়ে চলে আসলাম ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ খেলা কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে। আপনাদের মধ্যে যারা ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ সালের খেলাটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় অনুষ্ঠিত হবে
- ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ কোথায় হবে তা জানুন
- আগামী ফিফা বিশ্বকাপে কয়টি দল খেলায় অংশগ্রহণ করবে
- ফুটবল খেলায় কতজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যায়
- ফুটবল খেলায় কতজন রেফারি থাকে
- ফুটবল খেলায় খেলোয়াড়দের অবস্থান জেনে নিন
- এখন পর্যন্ত কোন দলটি গোলের দিক দিয়ে এক নম্বরে রয়েছে
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ কোথায় হবে তা জানুনঃ
১৯৯৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩২ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বকাপ। সেখানে গ্রুপ ছিল আটটি মোট ম্যাচ ছিল ৬৪ টি। ২০২৬ সাল থেকে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৮ করা হয়েছে। ৪৮ দল নিয়ে আগামী 2026 সালের ফুটবল বিশ্বকাপ কিভাবে আয়োজিত হবে তা জানান ফিফা। প্রাথমিকভাবে ৪৮ দলকে ১৬ কোটি গ্রুপে ভাগ করার পরিকল্পনা ছিল ফিফার।
প্রতি গ্রুপে সেক্ষেত্রে দল থাকতো তিনটি। সেটা না করে বর্তমানে ব্যবহৃত চারটি দলের গ্রুপের ফরমাইটি অনুসরণ করা হবে আগামী বিশ্বকাপে। ফুটবল বিশ্বকাপের বর্তমান শিরোপা ধারী আর্জেন্টিনা। গত বছরের ডিসেম্বরের কাতারের মাটিতে রোমাঞ্চকর ট্রাফিগারে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় লিওলেন মেসির দল।
ফুটবলার শীর্ষ আসরে তৃতীয়বারের মতো সেরা হওয়ার উল্লাস করে তারা। ফিফা বিশ্বকাপের ২৩ তম আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালে। কানাডা মেক্সিকো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই তিনটি দেশ একসঙ্গে ফিফা বিশ্বকাপের ২৩ তম আসরটি আয়োজন করবে। ঠিক করা হয়েছিল যে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে ৪৮ টি দল অংশগ্রহণ করবে।
আগামী ফিফা বিশ্বকাপে কয়টি দল খেলায় অংশগ্রহণ করবেঃ
কাতার বিশ্বকাপের শেষ হয়েছে তিন মাস কেটেছে। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। এবার গত বিশ্বকাপের রেস্ট কাটাতে না কাটাতে ২০২৬ বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু করে দিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা আগামী বিশ্বকাপ থেকে ভারতে চলেছে দলের সংখ্যা। এবারের বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ভালো স্কোর খেলার ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশও এবার বিশ্বকাপ খেলায় অংশগ্রহণ করবে। আগামী বছর থেকে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে ৪৮ টা দলের। চলতি বছরের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে কাতারের, কাতারের আবহাওয়া ও তাপমাত্রা কথা মাথায় রেখে তুলনামূলক কম তাপমাত্রার মৌসুমে অর্থাৎ নভেম্বর মাসে আয়োজিত হবে এই প্রথম পেপার কোন বিশ্বকাপ শীতকালে আয়োজিত হতে যাচ্ছে।
এর মধ্যে ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে এশিয়ার দেশগুলোর অংশগ্রহণ নিয়ে পথ পরিক্রমা
চূড়ান্ত করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন । তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র কানাডা মেক্সিকো
আয়োজন করবে ফুটবলের ২৩ তম বিশ্ব আসর। যেখানে ৪৮ দলের মধ্যে এশিয়া থেকে সুযোগ
প্রায় নয়টি দল।
ফুটবল খেলায় কতজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যায়ঃ
আমরা প্রায় সবাই জানি প্রীতি ম্যাচ জাতীয় আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে তিনজন পর্যন্ত খেলার বদল করা যায়। তবে বদলে খেলোয়াড়দের নাম খেলা আরাম্ভের পূর্বেই রেফারিকে জানিয়ে দিতে হয়। এবং যে প্লেয়ার বদল করা হবে তাকে মাঠ থেকে উঠায় নিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা যে প্লেয়ার সিলেক্ট করা থাকে তাকে নামানো হয়।
রিজাভ বেঞ্চে থাকতেন সাত জন খেলোয়াড়। ১৮৪৮ সালে বিশিষ্ট ফুটবল খেলোয়াড়রা ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজে মিলিত হয়ে ফুটবল খেলার আইন কানুন তৈরি করেন। আমরা সবাই জানি ফুটবল একটি দলগত খেলা যেমন আর্জেন্টিনা একটি দেশের নাম এই দেশের নাম উল্লেখ করে ফুটবল দলের নাম দেওয়া হয় আর্জেন্টিনা।
আমরা অনেকেই একটা কথা জানি এবং অনেকেরই না জানা এবং অনেকেই এই একটি কথা নিয়ে তর্ক বিতর্ক করে অনেকে জানে না যে চীনে ফুটবলের জন্ম হয় আবার অনেকে জানে ব্রাজিলে ফুটবল জন্ম হয়। আসলে সর্বপ্রথম ফুটবল খেলাটি চিনে জন্ম হয় ব্রাজিলিয়ান এক প্লেয়ার চীনে এই ফুটবলটি তৈরি করে এবং তখন থেকে ফুটবল খেলা ধুলা ইত্যাদি যাবতীয় নিয়ম কানুন চীন থেকে তৈরি হয়।
ফুটবল খেলায় কতজন রেফারী থাকেঃ
ফুটবল খেলা আমাদের প্রায় সবারই পছন্দ এবং এই খেলাটি আমরা সবাই উপভোগ করি এবং একজন আরেকজন বিভিন্ন দলকে সাপোর্ট করি। ফুটবল খেলার যতটা কঠিন তার চেয়েও কঠিন এর সহজ সরল নিয়ম গুলো বোঝা। সাধারণত ফুটবল খেলায় দুটি দল থাকে। আমরা সবাই জানি প্রত্যেক দলের সর্বোচ্চ ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকতে পারবে।
একটি ফুটবল খেলায় সর্বোচ্চ মেন এবং তার ওপর ম্যাচ ডিপেন্ড করে সেটি হল গোলকিপার তাই প্রত্যেকটি দলে গোলকিপার থাকা আবশ্যক। আবার কোন দলের সাত জনের কম খেলোয়াড় থাকলে খেলা শুরু করা যাবে না। এমনকি আমরা যেরকম গ্রামের মাঠে খেলাধুলা করি মাঠ যদি আকারে ছোট হয় তাহলে নয়টি প্লেয়ার নিয়ে খেলা হয় আর তার থেকেও বেশি যদি আকারে ছোট হয় তাহলে সাতজন প্লেয়ার খেলতে পারে।
আরও পড়ুণঃ ডিজিটাল মারর্কেটিং শেখোর উপায়
একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা করার জন্য রেফারি দরকার এবং রেফারি ছাড়া ফুটবল খেলা মানায় না। একজন রেফারের উপরেও ম্যাচ ডিপেন্ড করে একটি ম্যাচে সাধারণত রেফারি থাকে তিনটি মেইন রেফারি যিনি মাঠের ভিতরে পুরা খেলা পরিচালনা করবে আর দুই পাশে সাইড লাইন রেফারি যারা অফ সাইট এবং আউট বল গুলো ধরবে।
ফুটবল খেলায় খেলোয়াড়দের অবস্থান জেনে নিনঃ
পৃথিবীর সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল আর আমরা সবাই কমবেশি ফুটবলপ্রেমী। বিশ্বে প্রায় ১৯৫ বেশি দেশে প্রচলন রয়েছে এই খেলা। ফুটবল মাঠে রয়েছে ১১ টি অবস্থান। ফুটবল মাঠে গোলরক্ষক একমাত্র খেলোয়াড় যিনি তার হাত ব্যবহার করতে পারেন।
তবে তা শুধুমাত্র পেনাল্টির সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে যদি সে পেনাল্টি যেটাকে আমরা বলি ডিবক্স আর সে যদি ডিভক্সের দাগ অতিক্রম করে হাত দিয়ে বল ধরে তাহলে সেটাকে বলা হয় হ্যান্ডবল। সাধারণত গোলরক্ষকের জাসসিটি তার দলের থেকে আলাদা থাকে কেননা সে গোল রক্ষক।
আর তাকে চেনার এবং ফুটবল পরিচালনা রেফারির বুঝতে যেন সহজ হয় তার জন্য গোলরক্ষকের জার্সি সাধারণত আলাদা করা হয়। ডিফেন্ডারের প্রধান দায়িত্ব প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বলটি জয় করা এবং স্কোরিং করতে তাদের বাধা দেওয়া। একজন ডিফেন্ডার যদি প্লেয়ার চেক দিতে না পারে তাহলে গোল হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সাধারণত তিনজন থেকে ৫ জন এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পালন করে।
এখন পর্যন্ত কোন দলটি গোলের দিক দিয়ে এক নাম্বারে রয়েছেঃ
লিওলেন মেসিনার কৃতিয়ান ওরোনালদো শ্রেষ্ঠত্বের তর্ক এই দুজনকে নিয়েই। তাদের পেছন থেকে গত বছর তৃতীয় সেরা হয়ে আছেন নেইমার। তবে একটা জায়গায় মেসি রোলানদের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে নেইমার। তারা যা করে দেখাতে পারেননি নেইমার তাই পেরেছেন। জাতীয় দলের হয়ে ৩৮ বছর বয়সের গোল হল ১২৫ টি ২২২ ম্যাচে।
এর মধ্যে ৭৩ টি গোল তিনি করলেন বয়স ত্রিশ বছর হওয়ার পর। ২০০৪ সালের বিপক্ষে এই মাঠে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম গোল করেছিলেন তিনি। টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ মিশনে আসে আর্জেন্টিনা। মাঠের পারফরম্যান্স ফুটবল এর পরিসংখ্যানে সব দিক থেকে কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম হট ফেবারেট দল আর্জেন্টিনা এমনটাই দাবি করেছেন প্রথম ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন দলের সুপারস্টার তারকা লিওনেল মেসি।
আরও পড়ুনঃঘুমানোর আগে যে দোয়া পড়তে হয়
তবে মেসি এর মধ্যে সৌদি আরবে গিয়েছেন। লোহিত সাগরের ছবি তুলে ছবি পর্যটককে এগিয়ে নেওয়ার পোস্টও করেছেন ইনস্টাগ্রামে। তবে বিশ্বের ফুটবলের মধ্যে সেরা ফুটবলার ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনালদিনহো। তার ফুটবল খেলার ধরন এবং তার ফুটবলের স্কেল গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। তারপরের স্থান দাবি করেন আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি কিন্তু তার মত এখনো বিশ্বের মধ্যে কোন ফুটবলার জন্ম নিতে পারেনি।
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url