ফরজ গোসল না করে কি কি করা যাবে

বন্ধুরা আপনারা অনেকেই জানেন সহবাসের পর গোসল  ফরজ হয়। তাই আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়েছিল যে ফরজ গোসল করার আগে কোন কাজ করা যাবে কিনা এবং কোনগুলো কাজ করা যাবে এবং কোনগুলো কাজ করা যাবে না। হাদিস কোরআনের কথায় ফরজ গোসল করার আগে কোন কাজ করা জায়েজ না।

আপনারা যদি ফরজ গোসল করার আগে কোন কাজ করেন তাহলে সেটি হারাম এবং পাপে পরিণত হবে। কিন্তু এর ভেতর আবার ভাগ আছে। ফরজ গোসল করার আগে কোনগুলো কাজ একদমই করা যাবে না সেই সকল বিষয় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল আলোচনা করব। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক। ফরজ গোসলের আগে নিষিদ্ধ কাজগুলি।

পেজ সূচিপত্রঃ যে কনটেন্টটি পড়বেন তার উপর ক্লিক করুন

ফরজ গোসলের আগে কি কি কাজ করা যাবে নাঃ-

আমাদের প্রায় সকলেরই বিভিন্ন কারণে শরীরের অপবিত্র হয়। আমাদের শরীর যদি অপবিত্র থাকে তাহলে আমাদের ঈমান ভঙ্গ করে রাখার মত হয়। আমাদের শরীর যদি অপবিত্র হয় তাহলে আমরা তা অজুর মাধ্যমে পবিত্র করে নেব। এমন এমন অপবিত্রতা আছে যা অজুর মাধ্যমেও পবিত্র করা সম্ভব হয় না।

আরও পড়ুনঃ শীতকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা

আবার কিছু কিছু অপবিত্রতা আছে যেমনঃ স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ মেয়েদের হায়েজ-নেফাজ ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের অপবিত্রতা রয়েছে। এগুলো কারণে যদি শরীর অপবিত্রতা হয়ে থাকে তাহলে আমরা অজু করে শরীর পবিত্র করে তারপরেই গোসল করব।

কেননা আমরা যদি অপবিত্র হয়ে থাকি তাহলে আমাদের ঈমান ভঙ্গ করা হবে কেননা পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। মহান আল্লাহতালা শরীর পবিত্র রাখা বান্দাকে ভালোবাসেন। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন। আমরা যদি সঠিক ঈমানদার ব্যক্তি হই তাহলে আমরা সবসময় শরীর পবিত্র রাখব কখনোই অপবিত্র রাখবো না। আমরা যদি শরীর অপবিত্র রাখি তাহলে আমাদের নামাজ, রোজা ,হজ ,যাকাত ইত্যাদি কিছুই হবে না।

ফরজ গোসল দেরিতে করা যাবে কিনাঃ-

ইসলামের শরীয়তে অপবিত্রতা দুই প্রকার। মানসিক এবং শারীরিক। আমরা অনেকেই অনেক ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত রয়েছি। যেমনঃ আমরা যদি কুফর কোন কাজ করি বা করে নামাজ হজ যাকাত ইত্যাদি পালন করি তাহলে আমাদের এইসব করে কোন লাভ হবে না। কেননা একজন কুফর কারিকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করে না ভালোবাসে না।

আমাদের সবারই প্রায় দৃষ্টি রয়েছে আর এই দৃষ্টিকে কাজে লাগিয়ে আমরা যদি কোন মহিলার দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাই তাহলে এটা পুরোটাই অপবিত্রতা। কেননা আল্লাহতালা খারাপ নজর দাড়িকে পছন্দ করেনা। আমরা একইভাবে যদি মানুষিক অপবিত্রতার মত সবকিছু করি তাহলে আমাদের হজ যাকাত ইত্যাদি করে কোন লাভ হবে না।

আমরা প্রায় সবাই মুসলমান রয়েছি অনেক মুসলমান ফরজ নামাজ পড়ে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে কখনো কাজা করে না। আমরা ফরজ গোসল করার আগে যদি কোন অপবিত্র হওয়ার মতো কাজ করে থাকি তাহলে তা ফরজ গোসলের আগে ওযু করে শরীরকে পবিত্র করে তারপরেই ফরজ গোসল শেষ করব। কেননা অপবিত্রতা অবস্থায় থাকা সময় গুনাহ লেখা হয় তাই আমরা সবসময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব এবং থাকবো।

ফরজ গোসলের আগে খাওয়া যাবেঃ-

আমরা সবাই প্রায় মুসলমান এবং সবাই সব রকম ইবাদত পালন করার চেষ্টা করে থাকি এবং অনেকেই করি। যেমনঃ আমরা ইবাদত নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ইত্যাদি এসব ইবাদত পালন করে থাকি। তারপরেও রয়েছে আমরা অনেকে ফরজ ইবাদতটা পালন করি। আমরা অনেকেই বলি যে ফরজ গোসলের আগে কিছু খাওয়া যাবে কি না।

আরও পড়ুণঃ নভেম্বর মাসের সবজি চাষ

আসলে ফরজ গোসলের আগে সবকিছুই খাওয়া যাবে যেমন ফলমূল আপেল, কমলা, আঙ্গুর, বেদনা, খেজুর ইত্যাদি সবকিছুই প্রায় আমরা ফরজ গোসলের আগে খাওয়া যায়। আমরা যদি গোসলের আগে এইসব ফলমূল খেয়ে যদি আমাদের শরীর অপবিত্র থাকে তাহলে অজু করে শরীর পবিত্র করে গোসল করা উত্তম।

আমরা অনেকেই ফজরের আজানের আগে অপবিত্র হয়ে থাকি। আমরা যদি অপবিত্র হয়ে থাকি তাহলে আমাদের ফজরের নামাজ হবে না। তাই আমরা সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব এবং যদি ভুল ভবিষ্যত শরীর অপবিত্র হয়ে যায় তাহলে আমরা অজু করে পবিত্র হয়ে থাকব। কেননা পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ পবিত্র থাকা মানুষগুলোকে আল্লাহতালা ভালবাসেন। আমরা যদি সব সময় পবিত্র থাকি তাহলে আমাদের অসুখ বিসুখ কম হয়। তাই আমরা সবসময় পবিত্র হয়ে থাকবো এবং অসুখ বিসুখ এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকবো।

ফরজ গোসল না করার শাস্তিঃ-

আমরা সবাই মুসলিম আমাদের জন্ম সবারই মুসলিম ঘরে। আমরা যদি মুসলিম হয়ে থাকি তাহলে আমরা সবসময় আল্লাহতালার ইবাদত পালন করব। আর আল্লাহতালা বলেছেন তোমরা যেই কাজই করো না কেন আমার ইবাদত পালন করবে। কিন্তু আমরা তা তো করি না আমরা সব সময় কোন না কোন খারাপ কাজে গফুর কাজে লিপ্ত থাকি।

উপর থেকে কার কখন ডাক আসবে সেটা আমরা কখনোই বলতে পারব না। তাই আমরা সময় থাকতে আল্লাহতালার ইবাদত পালন করব এবং অন্যকে ইবাদত পালন করার বুদ্ধি পরামর্শ দিব। আল্লাহতালা বলেছেন তোমরা আমার ইবাদত পালন করো এবং অন্যজনকে ইবাদত পালনের জন্য এবং ইসলামের জন্য দাওয়াত দাও। আমরা যদি আল্লাহ তাআলার ইবাদত পালন করি তাহলে আল্লাহ তা'আলা আমাদের ভালবাসবেন।

আরও পড়ুণঃ নাপাক অবস্থায় কি কি করা যাবে না

ইবাদত পালন করার জন্য কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো নিয়ম কানুন যদি আমরা না জেনে থাকি তাহলে কোন বড় হুজুরের মাধ্যমে তার সংশোধন করে নিব। আমরা প্রায় সবাই ফরজ ইবাদতটি পালন করি এবং এই ইবাদতটি পালন করা খুবই ভালো। আমরা যদি ফরজ ইবাদত পালনের আগে কোন ভুল কাজ বা পাপ কাজ করে থাকি তাহলে সেটা আল্লাহতালার খাতায় গুনাহ হিসাবে লিখে নেওয়া হয়। এবং সে অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা আমাদের শাস্তি দেন।

ফরজ গোসল না করে কি কি করা যায় - শেষ কথাঃ-

আজকের এই পুরো পোস্টটিতে ফরজ গোসল না করে কি কি করা যাবে এবং কি করা যাবে না এটা আমরা সম্পূর্ণ আলোচনা করে এসেছি। আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং পাশেই থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url