নাপাক অবস্থায় কি কি করা যাবে না
নাপাক অবস্থায় কি কি কাজ করা যাবে না,সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে ইচ্ছুক আছেন। হাদিস কোরআনের মতে আপনি যদি নাপাক থাকেন তাহলে কোন কাজ করাই জায়েজ না। তাই এ সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেকটি। আপনি যদি কোন কাজে লিপ্ত হন বা কোন কারণে নাপাক হয়ে যান তাহলে প্রথমত আপনাকে ফরজ গোসল করতে হবে।
আপনি যদি গোসল না করে বিভিন্ন কাজ করেন তাহলে এটা পুরোটাই হারাম হয়ে যাবে বা আপনি যতক্ষণ গোসল করবেন না ততক্ষণ আপনার গুনাহ হবে। তাই আপনারা নাপাক অবস্থায় কোন কাজ না করে প্রথমত গোসল করে পাক হবেন তারপর কাজ করবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোনগুলো কাজ নাপাক অবস্থায় একেবারেই করা নিষিদ্ধ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ নাপাক অবস্থায় কি কি করা যাবে না
- নাপাক অবস্থায় কোন কাজগুলো করা হারাম
- নাপাক অবস্থায় জিকির করা যাবে কি
- নাপাক অবস্থায় মারা গেলে
- নাপাক অবস্থায় সেহরি খেলে রোজা হবে
- শেষ কথা
নাপাক অবস্থায় কোন কাজগুলো করা হারামঃ-
প্রিয় পাঠক বিন্দু আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন
কারণবশত নাপাক হয়ে থাকে। এতে করে অনেকেই জানে না নাপাক অবস্থায় কি করা যায় এবং
কি করা যায় না। তাই আজকের এই পোস্টটি নিয়ে চলে আসলাম তারা নাপাক অবস্থায়
কোনগুলো কাজ করবেন এবং কোনগুলো কাজ করবেন না। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক নাপাক
অবস্থায় কোন কাজগুলো করা হারাম।
আরও পড়ুণঃ কক্সবাজার হোটেল ভারা
* নামাজ পড়া যাবে না
আপনি যদি নাপাক অবস্থায় থাকেন তাহলে যেই কাজগুলো করবেন না তার মধ্যে একটি হলো
নামাজ। নাপাক অবস্থায় নামাজ পড়া ঠিক নয় এতে করে আপনাদের সওয়াব তো হবেই না তার
থেকে বেশি অনেক গুনাহ হবে। যে সকল ব্যক্তির নাপাক অবস্থায় নামাজ আদায় করে তাদের
আল্লাহ তায়ালা দেখতে পারেন না। তাই আপনারা যদি নাপাক থাকেন তাহলে গোসল করে, অজু
করে তারপর নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবেন।
* কোরআন পড়া
নাপাক অবস্থায় কাজ না করার মধ্যে একটি হলো কোরআন পড়া। নাপাক অবস্থায় কোরআন
পড়া তো দূরের কথা কোরআন ছুঁয়ে দেখাও হারাম। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন প্রথমত
গোসল করে নাপাক থেকে দূর হওয়ার। তারপর আপনারা কোরআন তেলাওয়াত করবেন। এতে করে
আপনারও গুনাহ হবে না এবং আল্লাহ তা'আলা আপনাকে পছন্দ করবেন।
উপরে আমরা মেন দুইটি টপিক তুলে ধরলাম। আসলে নাপাক অবস্থায় কোন কিছু করাই ঠিক
নয়। আপনি যদি নাপাক অবস্থায় ঘুরে বেড়ান এতে করে আপনার অনেক গুনাহ হবে। তাই
আপনারা যদি কোন ভুলবশত নাপাক হন বা আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনি নাপাক অবস্থায়
আসেন তাহলে তৎক্ষণিক আপনি গোসল করে নাপাক থেকে বিরত হওয়ার চেষ্টা করবেন।
নাপাক অবস্থায় জিকির করা যাবে কিঃ-
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা জিকির করতে পছন্দ করে। আসলে জিকির করা একটি ভালো
ইবাদত। অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন নাপাক অবস্থায় জিকির করা যাবে কি না। আসলে নাপাক
অবস্থায় কোন কাজ করাই উচিত নয়। আপনি যদি কোন কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমত
পাক পবিত্র হয়ে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুণঃরাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থান
আল্লাহ তা'আলার কোরআন হাদিসের মোতাবেগে জিকির সব সময় করা যায়। সেটা হোক বসে,
হেঁটে, কাজ করতে করতে, বা অন্যান্য কাজের ফাঁকে। যারা আল্লাহ তাআলার দিনের
পথে মগ্ন আছেন দেখা যায় তারা সব সময় আল্লাহর ধানের মধ্যে থাকেন এবং নামাজ বাদে
সব সময় তারা আল্লাহর নাম নিয়ে জিকির করতে ভালোবাসেন।
নাপাক অবস্থায় মারা গেলেঃ-
মানুষ কখন মারা যায় এটা কেউ কখনো নির্ধারিত বলতে পারে না। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন
জাগে যে নাপাক অবস্থায় যদি কেউ মারা যায় তাহলে কি হবে সে জান্নাতি না
জাহান্নামী। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নিয়ে চলে আসলাম নাপাক অবস্থায় যদি
আপনারা মারা যান তাহলে কি হবে তা নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করব।
প্রশ্নঃ নাপাক অবস্থায় মরে গেলে কি জান্নাতি হয়?
উত্তরঃ অনেকেই মনে করেন নাপাক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে সে
জাহান্নামী। কিন্তু এটা ভুল ধারণা, এমন কোন কথায় হাদিসে আসেনি যে সে নাপাক
অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে জাহান্নামি হবে। অনেক সময় অসুস্থ ব্যক্তিরাও তো নাপাক
অবস্থায় থাকেন। তাই হাদিসের মোতাবেগে নাপাক অবস্থায় গিয়ে মৃত্যুবরণ করলে সে
জাহান্নামী বা জান্নাতি হবে এটা কোন হাদিসে উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র মহান আল্লাহ
তালাই জানে যে সে মৃত্যুবরণ করলে জাহান্নাম বা জান্নাতি হবে কিনা।
নাপাক অবস্থায় সেহরি খেলে রোজা হবেঃ-
অনেকে মনে করেন নাপাক অবস্থায় সেহরি খেলে রোজা হয় না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল
ধারণা। এর আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনি যদি নাপাক থাকেন তাহলে সেহেরী খাওয়ার আগে
আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে কিনা। যদি সময় থাকে তাহলে গোসল করে সেহরি খেলে
ভালো হয়।
আরও পড়ুণঃ ফারাক্কা বাঁধের গেট কয়টি
আর যদি দেখেন আপনার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় নেই তাহলে আপনি অজু করে সেহেরী
খাবেন এবং সেহেরী খাওয়ার পর ফরজ গোসল করে তারপর ফজরের নামাজ আদায় করবেন। হাদিস
কোরানে বলা হয়েছে সেহরি খাওয়া সুন্নত আর নামাজ পড়া ফরজ আদায় এর মধ্যে পড়ে।
তাই আপনি যদি নাপাক অবস্থায় থাকেন তাহলে সেহেরি খেতে পারবেন কোন সমস্যা নেই রোজা
হবে।
নাপাক অবস্থায় কি কি করা যাবে না - শেষ কথাঃ-
আজকের এই পুরো পোষ্টের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত আমরা আলোচনা করে এসেছি যে, নাপাক অবস্থায় কি কি করা যায়, নাপাক অবস্থায় কি জিকির করা যায়, নাপাক অবস্থায় মারা গেলে জান্নাতি হওয়া যায়, আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আমরা পুরো আর্টিকেল আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের যদি আর্টিকেল ভালো লাগে তাহলে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।
লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url