জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম

আমরা তো প্রতিদিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকি। প্রতিদিন বলতে স্কুল,কলেজ তো প্রতিদিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু আমরা জাতীয় পতাকা কিভাবে উত্তোলন করতে হয় তা হয়তোবা অনেকেই জানিনা। আপনারা কিভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এবং কোন নিয়মে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

তা জানার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম নিয়ে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম বা বিধিমালাঃ-

আমাদের আজকের এই পোষ্টটি হল জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম এবং বিধিমালা নিয়ে। সরকার থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিধিমালা গুলো নিয়ে পতাকা উত্তোলনের কঠোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাই আমাদের পতাকা উত্তোলনের নিয়ম গুলো মেনে তারপর পতাকা উত্তোলন করতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নিই সরকারি বিধিমালাগুলো।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য কিছু বিধিমালা বা নিয়ম-কানুন রয়েছে। আর এইগুলো নিয়ম-কানুন মেনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন সরকার। আর এই সকল নিয়ম মেনে যদি পতাকা উত্তোলন না করা হয় তাহলে সরকার পদক্ষেপে জেলও হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়ম-কানুন মেনে আমাদের পতাকা উত্তোলন করা উত্তম।

আরও পড়ুনঃ পাক-পবিত্র হওয়ার প্রধান উপায় কি

এই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম-কানুন চলে আসছে প্রায় ১৯৭১ সাল থেকে। যখন আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল তখন আমাদের দেশের একটি পতাকা উত্তোলন করে দেশকে স্বাধীন করে তোলা হয়েছিল। তাই এই পতাকা উত্তোলনের কিছু নিয়মকানুন ও করা হয়।পতাকা উত্তোলনের নিয়ম হল।

যখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে তখন সবাই স্যার হয়ে জাতীয় পতাকার দিকে ডান হাত মাথায় রেখে মুখ ডান দিকে নিয়ে আজও পতাকার দিকে মন প্রদর্শন জানাতে হবে। এবং পতাকা উত্তোলন হয়ে গেলে ডান পা এবং ডান হাত ঝাড়ে দিতে হবে। আর এই সকল নিয়মেই জাতীয় পতাকার উত্তোলন করা হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়মঃ-

আমরা তো প্রতিদিন সকালে বিদ্যালয়ে আসার পর দেখি জাতীয় পতাকা উড়ছে। আর প্রতিদিনই সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কিছু নিয়ম রয়েছে। আর এই সকল নিয়ম এখন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা বাদেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পতাকা সারা দিন উত্তোলন করার কিছু দিন রয়েছে। যেমন ১৫ই আগস্ট জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম। এই দিনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মান প্রদর্শন করা নির্দেশ দিয়েছেন সরকার থেকে।

জাতীয় শোক দিবস, শহীদ দিবস এই দিনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মান প্রদর্শন করার কঠোর অনুমতি সরকারের। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন অন্যান্য দিন পতাকা উত্তোলন না করলেও এই দিনগুলোতে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা বোর্ড এবং অন্যান্য কলেজগুলোতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

কোন কোন তারিখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়ঃ-

আপনারা অনেকেই জানার জন্য ইচ্ছুক আছেন যে কোন কোন তারিখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আজকের এই পোস্টটি। আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সরকারের পড়লে আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়মাবলী এবং তারিখগুলো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন তারিখে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

আরও পড়ুনঃ লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

আমাদের দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিতো রাখার কোন নিয়ম কানুন ছিল না। আমাদের দেশে এই আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে এই নিয়মগুলো চালু করেছেন। আর এখন আমরা আলোচনা করব কোনগুলো তারিখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। যেমনঃ ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস,১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এই দিনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার কঠোর নির্দেশ সরকারের।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম - শেষ কথাঃ-

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সকল নিয়ম কানুন আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি পড়ে থাকেন তাহলে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম না জানার কথা নয়। যদি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url