স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম

প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকের এই পোস্টটি হলো স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম। আমরা এই স্বাধীন দেশে বসবাস করি তাই আমাদের এই দেশের সকল নিয়মকানুন জেনে রাখা প্রয়োজন। আমাদের এই স্বাধীন দেশ এই হিসেবে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।

এই নিয়মগুলো আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকে জানিনা। আপনাদের মধ্যে যারা স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম গুলো জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম।

আর্টিকেল সূচিপত্রঃ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম

স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের নিয়মঃ-

আমাকে সার্থক জীবন এই যে আমরা এই স্বাধীন দেশে বসবাস করি। এই স্বাধীন দেশের আমাদের একটি প্রতীক রয়েছে তা আমাদের ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলটি হল স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বা উৎসব আয়োজনে পতাকা উত্তোলন করে থাকি।

আরও পড়ুনঃ ডিসেম্বর মাসে কোন সবজি পাস করা যায়

অন্যান্য উৎসব বাদে সবচাইতে গুরুত্ব পূর্ণ উৎসব হল স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসে আমাদের দেশে পতাকা উত্তোলন করা আইন থেকে কঠোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পতাকা উত্তোলন করলেই তো হবে না। পতাকা উত্তোলনের কিছু বিধি বিধান রয়েছে যা আমাদের নিয়ম মেনে পতাকা উত্তোলন করতে হবে।

আমরা যখন পতাকা উত্তোলন করি তখন পতাকার দিকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ডান দিকে হয়ে পতাকার দিকে তাকিয়ে ডান হাত মাথায় স্যালুট জানিয়ে পতাকা উত্তোলন করতে হয়। পতাকা উত্তোলনের পর আবার পুনরায় ডান হাত এবং ডান পা ঝাড়ি মেরে সম্মান প্রদর্শন করতে হয়। এটা হল পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম।

কোন কোন দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ঃ-

আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকগুলো দিবস রয়েছে যা আমরা দেশের জন্য পালন করে থাকি। কিন্তু এই দিবসগুলোতে পতাকা উত্তোলনের কঠোর ভাবে আদেশ সরকার থেকে। এই দিবসগুলো আসলেই দেখবেন সব জায়গাতেই পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্কুল, কলেজ, উপজেলায় আরো অন্যান্য জায়গায়।

বাংলাদেশে অনেকগুলো দিবসের মধ্যে কিছু কিছু দিবস রয়েছে যা আমাদের অনেক পরিচিত। বা আমরা প্রতিবছর এই দিবস গুলো খুব আনন্দসহকারে বা উৎসবে মেতে পালন করে থাকি। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক এই উৎসবগুলোর তালিকা।

৭ই মার্চ পতাকা উত্তোলন

এখন বর্তমানে ৭ই মার্চ পতাকা উত্তোলনের কঠোর আদেশ দেওয়া হয়েছে সরকার থেকে। প্রতিবছর ৭ই মার্চ দেখবেন রাস্তা, স্কুল, কলেজ আরো অন্যান্য জায়গায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত রাখা বাধ্যতামূলক হয়েছে।

১৭ মার্চ পতাকা উত্তোলন

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এবং জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে এই দিনে পতাকা উত্তোলনের কঠোর আদেশ সরকার থেকে। এই দিনে পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত রাখার ও আদেশ করা হয়েছে। সরকার বলেছেন এই দিনে সরকারি বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহ আরো সরকারি বেসরকারি ভবনগুলোতেও পতাকা উত্তোলন করা হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়মঃ-

সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল কলেজ গুলোতে দেখবেন প্রতিদিনই পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু স্কুলগুলোতে প্রতিদিন পতাকা উত্তোলন করা সরকার থেকে অনুমোদিত। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত রাখাও সরকার থেকে কঠোর আদেশ। কিন্তু সব সময় তো পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত রাখা হয় না।

আরও পড়ুনঃ পবিত্র থাকার উপায় ও প্রয়োজনীয়তা

পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত রাখার কিছু দিবস রয়েছে যা আমরা আনন্দ সহকারে পালন করে থাকি। এই দিবসগুলো আসলেই শুধু স্কুল-কলেজে নয় সরকারি বেসরকারি ভবনগুলোতেও পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনামৃত রাখা হয়। যেমনঃ বিজয় দিবস, শহীদ দিবস, মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি এই দিবসগুলো আসলেই সব প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করা সরকার থেকে অনুমোদিত।

কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কিছু নিয়ম রয়েছে তা হল। যখন ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসে তখন জাতীয় সংগীতের জন্য সবাই সার হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তখন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় সকল ছাত্র-ছাত্রী ডান হাত মাথার সাথে লাগিয়ে পতাকার দিকে ডান কাটে তাকিয়ে ডান পা এবং ডান হাত ঝাড়ি মেরে স্যালুট জানানো হয়। এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা উত্তোলন করা সঠিক নিয়ম।

জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় কেনঃ-

জাতীয় পতাকা সব সময় বা সব মাসেই তো অর্ধনমিত রাখা হয় না। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার কিছু দিবস সমূহ রয়েছে। কোন কোন দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা বাধ্যতামূলক তা আমরা। এখন আলোচনা করব। এখন বর্তমানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার কিছু নতুন নিয়ম রয়েছে।

এই নতুন নিয়ম গুলো যারা শিখতে ইচ্ছুক আছেন বা জানতে ইচ্ছুক আছেন তারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।নতুন নিয়মে পতাকা অর্ধমৃত রাখা হয় যেভাবে, পতাকা অর্ধনমিত রাখার সময় পতাকা উড়ানো লাঠির চার ভাগের একভাগ নিচে বেঁধে অর্ধনমিত রাখার আদেশ করা হয়েছে সরকার থেকে। এই নিয়মটি সাধারণত আগে ছিল না। 

১৯৭২ সালের পর থেকে যখন আমাদের দেশ স্বাধীন হয়ে নতুন কিছু দিবসের পরিণত হলো তখন থেকে এই নতুন নিয়মে এই দিবসগুলোতে পতাকা অর্থনীত রাখার আদেশ করা হয়েছিল সরকার থেকে। যে দিবসগুলোতে পতাকা অর্ধনমৃত রাখা বাধ্যতামূলক তা হলঃ ১৭ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর শহীদ দিবস, মাতৃভাষা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ ডিসেম্বর মাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা

স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলন - শেষ কথাঃ-

প্রিয় পাঠক বিন্দু আজকের এই আর্টিকেলটি ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন সম্পর্কে আর এই সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা পুরো আর্টিকেলে আলোচনা করে এসেছে। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের কাছে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আরো এ সকল টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url