গর্ভাবস্তায় কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়

আজকের এই পোস্টটি হল গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়? অনেক গর্ভবস্থায় আছেন এমন মায়েদের বিভিন্ন কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এ কারণে তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ে। তাই আজকের এই আটিকেলে আপনারা জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় মায়েদের কেন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আপনারা আরো জানতে পারবেন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায়।

গর্ভাবস্থায় মায়েদের কেন কোষ্টকাঠিন্য হয় এটা যদি আপনারা না জানেন তাহলে মেয়েদের সুরক্ষায় রাখতে পারবেন না। তাই এই বিষয় সম্পর্কে আপনাদের জেনে থাকা অনেক জরুরি। আপনারা যদি এই বিষয় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।

আর্টিকেল সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কোষ্টকাঠিন্য কেন হয়

ভূমিকাঃ-

আজকের এই পোস্টটিতে গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিভিন্ন কারণবশত গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য এই রোগটি দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে এর চিকিৎসা অতি তাড়াতাড়ি না নিলে অল্প সমস্যা থেকে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। তাই আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব কেন কষ্টকাঠিন্য হয় এবং এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায়। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কষ্ট কাঠিন্য কেন হয়।

আরও পড়ুনঃ ডিসেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা যায়

গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয় জেনে নিনঃ-

কোন একজন নারী যখন অন্তঃসত্তা হয় তখন তার শরীরের যত্ন অনেক বেশি বেড়ে যায়। তার সন্তানের যেন কোন ক্ষতি না হয় এবং সে সুস্থ থাকে সেই কারণে তার শরীরের যন্ত অনেক বেশি নিতে হয়। গর্ভাবস্থায় গ্যাস এবং বদহজমের সমস্যা অনেক বেশি দেখা দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ নারী গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য এই রোগটিতে ভোগেন।

আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব গর্ভাবস্থায় নারীদের কোনগুলো যত্নের অভাব হলে কোষ্ঠকাঠিন্য এই রোগটি হয়। আমাদের প্রায় সব বাড়িতেই তো নারী গর্ভাবস্থায় হয় একবার হলেও তাই আপনাদের এই বিষয়গুলো জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক গর্ভ অবস্থায় কেন নারীদের কষ্ট কাঠিন্যর রোগ দেখা দেয়।

কোন নারী যখন অন্তঃসত্ত্বা হয় তখন তার শরীর হরমনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে খাবার হজম হতে অনেক বেশি সময় লাগে এই কারণে পেট ব্যথা বা পেট ফাঁপা এই রোগটি অনেক বেশি হয়। একজন নারী যখন অন্তঃসত্তা হয় তখন ১০ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত গলায় খুসখুস এবং গলা শুকিয়ে যাওয়া এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য এই রোগটি অনেক বেশি হয়।

আরও পড়ুনঃ ভালোবেসে বিয়ে করলে কি কি করতে হয়

গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়ঃ-

কোন নারী যখন গর্ভধারণ হয় তখন তার যত্নের অভাবে অনেক ধরনের রোগ দেখা দেয়। যেমনঃ পেট ব্যথা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ইত্যাদি রোগ দেখা দেয় গর্ভধারিনী নারীদের। আগে সকল রোগগুলো আমরা নিজে থেকেই টেনে আনি। তাই আমরা এখন আলোচনা করব কোনগুলো যত্নের অভাবে নারীদের এই রোগ গুলো দেখা দেয়।

পানি পান করা

গর্ভধারিনী মায়েদের বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পানি অনেক বেশি কম খেলে এমনিতেই শরীর দুর্বল এবং শরীরের ওয়েট অনেক কমে যায়। আর কষ্ট কাঠিন্য এবং পেট ব্যথা ও পেট ফেপে যাওয়া এই কারণে তো অনেক বেশি পানি পান করতেই হবে। গর্ভধারিনী মায়েদের জন্য পানি পান করার নিয়ম গুলো ডক্টরের থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপর নিয়মমাফিক পানি পান করাটা অনেক ভালো।

ফল মূল খাওয়া

যখন কোন নারী গর্ভধারিনী হয় তখন তার শরীরের অনেক দুর্বলতা বোধ করে। এর পাশাপাশি অনেক পুষ্টির ও ঘাটতি দেখা দেয়। তাই প্রতিনিয়ত ২ থেকে ৩ পিস ফল খেতে হবে। ফলে অনেক খনিজ এবং ভিটামিন থাকার কারণে শরীরে দুর্বলতা অনেক দূর করে। গলার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও ফল অনেক কার্যকরী একটি ফল। তাই গর্ভধারিণী মায়েদের প্রতিনিয়ত দুই থেকে তিন পিস ফল খাওয়াতে হবে।

দই খাওয়া

দই এ রয়েছে অনেক বেশি উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যা শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম এর দুটি উপাদান গর্ভধারিনী মায়ের জন্য অনেক প্রয়োজন। এই গর্ভধারিনী মায়ের প্রতি নিয়ত দই খেতে হবে। কিন্তু চেষ্টা করবেন বাড়িতে বানিয়ে দই খাওয়ানোর।

গর্ভাবস্থায় কোনগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবেঃ-

কোন মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন তার অনেক যত্নের প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি অনেক ফলমূল এবং ভিটামিন জাতীয় খাদ্য বেশি দিতে হয়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য বেশি বেশি মাছ, মাংস, দুধ, ডিম আরো অন্যান্য শোষণ খাদ্য গর্ভবতীর জন্য প্রয়োজন। এর পাশাপাশি কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যার গর্ভবতী মায়েদের জন্য মেনে চলা অনেক প্রয়োজন।

কোন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন তার জন্য কোন ভারী কাজ করা একেবারেই নিষিদ্ধ। কোন ধরনের কাজ বা ভারী জিনিসপাতি বহন করা যাবে না। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম দুই মাস এবং শেষের তিন মাস একদমই কোন কাজ করা যাবে না। অনেকে রেস্টে থাকতে হবে এবং হালকা হাটাহাটি করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ সাবান খেলে কি হয়

হাটাহাটির সময় কোন  পিছল জায়গা দিয়ে হাটাহাটি করা যাবে না কারণ কোন কারণে পিছলে পড়ে গেলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে এমনকি বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি কোন সিড়ি বেয়ে উপরে বা নিচে চলাফেরা সমান খুব সাবধানে ওঠানামা করতে হবে। কোন ধরনের ভারি চাপ ফেলা যাবে না। এ নিয়মগুলো অবলম্বন করে চলতে হবে গর্ভধারী নারীদের।

গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয় - শেষ কথাঃ-

গর্ভাবস্থায় কষ্ট কাঠিন্য কেন হয় এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি এ সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা এই আটিকেলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url