পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন ও সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি

প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের কি অজানা তথ্য নিয়ে আমরা আজকে চলে আসলাম। পৃথিবীর সর্বপ্রাচিরন ও সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি। আশা করি এটি আপনাদের অনেকেরই অজানা। আমরা মুসলিম তাই আমাদের এই মুসলিম তথ্যগুলো জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী।


আপনাদের এই অজানা তথ্যটি যদি জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। চলুন তাহলে দেখে নেই পৃথিবীর সর্ব সর্বপ্রাচিন ও সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি।

সূচিপত্রঃ যে কনটেন্টটি পড়বেন তার উপর ক্লিক করুন

ভূমিকাঃ-

আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি। এই ঘটনাটি কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের অনেকের মনেই আগে থেকে প্রশ্ন যাগছিল যে পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি। তাই এই অজানা তথ্যটি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি।

পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি জেনে নিনঃ-

পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদটি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নির্মাণ করেন এবং সকলকে এই মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য দাওয়াত করতেন। মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের ধারা শুরু হয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসলামের দাওয়াতের জন্য। পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ কুবা মসজিদ এই মসজিদটি নির্মাণের কারণে মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের কাজ চালু করে।


মসজিদে কুবা বা কুবা মসজিদ সৌদি আরবে মদিনায় এই মসজিদটি অবস্থিত। এটি ইসলামের একটি প্রথম মসজিদ। আর এই কুবা মসজিদের নাম কেন্দ্র করে ওই এলাকার নাম জাগ্রত হয় কুবা মহল্লা। তাই আমরা হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মত করে সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দিব এবং সবাইকে নামাজে যাওয়ার জন্য বলব। কেননা আমরা মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছি তাই আমাদের এইটুকু করতেই হবে কারণ যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার কথা অনুযায়ী তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আমাদের গ্রামে যদি একটি মসজিদ থাকে সেটা বড় হোক কিংবা ছোট হোক তাতে কিছু না কারণ আল্লাহর ঘর নামে যদি তৈরি করা হয় তাহলে সেটা অনেক বড় ছোট হলেও বড় বড় হলেও বড়। এই আল্লাহর ঘর তৈরি করে আমরা যদি ওই ঘরে না যাই সেখানে গিয়ে নামাজ যদি না পড়ি তাহলে আমাদের অনেক গুনাহ হবে এবং আল্লাহর কথাকে অসম্মান করা হবে। 

বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটিঃ-

আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি এবং যারা মুসলমান আছি তাদের মনে অনেক সময় প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি এবং এই মসজিদটি কোথায় অবস্থিত হয়েছিল। আর আপনাদের এই মনে প্রশ্ন জাগা প্রশ্নের উত্তরটি আমরা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা যদি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মসজিদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

বাংলাদেশের রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়ক ধরে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে গেলেই একটি লালমনিরহাট পড়বে আর সেখানে একটি মসজিদ আছে এই মসজিদটি ১৯৮৭ সালের প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। আর বাংলাদেশের রংপুরের কুমিল্লা গ্রামের লালমনিরহাট এইখানকার এই মসজিদটিকে সর্বপ্রথম মসজিদ বলা হয়ে থাকে।

প্রাচীনকালে এইখানে কয়েকটি মাটির উচু ঢিলা ছিল সেই উঁচু মাটি গুলো অনেক জঙ্গলে লতাপাতায় আবৃত ছিল। আর এইগুলো পরিষ্কার করার সময় প্রাচীনকালের তৈরি করা ইট পাওয়া গিয়েছিল আর এই ইটের উপর ফুলের ছবি আবৃত করা ছিল। এই আবৃত মাঠের ঢিলা ও ইট পরিষ্কার করতে গিয়ে এই মসজিদটির ভিত খুঁজে পাওয়া যায়।


আর এখানকার একটি শিলালিপিতে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। এরপর বিশেষজ্ঞরা বলেন এই মসজিদটি তৈরি হয়েছে ৬৯২ খ্রিস্টাব্দে। আর তারপরে এই মসজিদটিতে কার্যকর শুরু হয়। আর সেখানকার লোকজন এই মসজিদটির নাম দিয়েছিল হারানো মসজিদ।

নবীজি সর্বপ্রথম কোন মসজিদ নির্মাণ করেনঃ-

 উপরে আমরা জেনেছি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মসজিদ কোনটি এবং বাংলাদেশের এই মসজিদটি কোন জেলায় অবস্থিত হয়েছিল। এখন আমরা জানবো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম পৃথিবীতে আসার পর তিনি কোন মসজিদটি সর্বপ্রথম নির্মাণ করেছিলেন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নির্মিত প্রথম মসজিদটি সম্পর্কে।

সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত কুবা মসজিদ। আমাদের প্রিয় নবীর হযরত মুহাম্মদ সাঃ হিজরতের পর এই মসজিদটির প্রথম ভিত তৈরী করেছিলেন। এখন পর্যন্ত এই মসজিদটিতে প্রায় দুইজন ইমাম এবং দুইজন আযান দেওয়ার জন্য দুইজন ব্যক্তি রয়েছেন। এই মসজিদটি তৈরি করার পর এখানে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বেশ কিছুদিন থেকে ছিলেন।


হযরত মুহাম্মদ সাঃ নবুয়াত সাহেবের পর প্রিয় বান্দাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত প্রচার করে ঘুরে বেড়াতেন। এ কারণে তার ওপর অনেক নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তায়ালাকে নিয়ে মক্কা ত্যাগ করেছিলেন।

মসজিদে কোরআন ফজিলত জেনে নিনঃ-

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা আল্লাহ তাআলার ধ্যান-মগ্নে সব সময় থাকে। যারা কাজের পাশাপাশি একটু সুযোগ পেলেই আল্লাহর বিভিন্ন আমল করে এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন। অনেকে আছে যারা মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে কোরআন তেলাওয়াত করবে। এদের জন্য অনেক ফজিলত আছে বা তা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করার চেষ্টা করব চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক মসজিদে কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত।

আল্লাহ তাআলার বান্দাদের মনে আল্লাহর ধ্যানমগ্ন থাকার জন্য যুগে যুগে অনেক নবী রাসূল প্রেরণ করেছিলেন মহান আল্লাহতালা। নবী রাসূলগণ আল্লাহ তাআলার ধ্যান-মগ্ন থাকার জন্য তারা বিভিন্ন গাইডলাইন হিসেবে কিতাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের সর্বশেষ এবং সর্বপ্রথম কিতা হলো আল কুরআন।


আল কোরআন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সব বান্দাদের সঠিক পথে বা সঠিক ধ্যানে আনার জন্য। কুরআন রমজান মাসে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কোরআনের মাধ্যমে আমরা বুঝে নিতে পারি কোন দিকটা খারাপ এবং কোন দিকটা ভালো সঠিক পথ দেখানোর জন্যই এই কোরআন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রমজান মাসে।

পৃথিবীর সর্ব প্রাচীন এবং সর্বপ্রথম মসজিদ - উপসংহারঃ-

আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে সর্বপ্রথম এবং সর্ব প্রাচীন মসজিদ কোনটি এবং হযরত মুহাম্মদ সাঃ কোন মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন তা নিয়ে আজকের এই পুরো পোস্টটিতে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে আশা করি আপনারা পোস্টটি পড়ে তা বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যদি এ সকল আরো ইসলামিক তথ্য পেতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো রাখবেন এবং সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url