একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম

আজকের আর্টিকেলটি হল একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম নিয়ে। আমরা এই সার্থক জনম স্বাধীন দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দেশের এই প্রতীক উত্তোলন করার নিয়ম গুলো জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব কিভাবে আপনারা আমাদের দেশের এই জাতীয় পতাকা কিভাবে উত্তোলন করবেন।

বিভিন্ন দিবসে আমরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকি। কিন্তু আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম নিয়ে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক একুশে ফেব্রুয়ারিতে আপনারা কিভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন।

আর্টিকেল সূচিপত্রঃ একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম

একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার নিয়মঃ-

আমাদের এই দেশটি অনেক রক্ত ক্ষয় করার পরে আমরা এই মাতৃভাষা পেয়েছি। যুদ্ধের সময় প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের মৃত্যুর পর আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছে। এবং তারপর বাঙালি জাতিরা বাংলা ভাষার দাবিতে একটি মিছিল বের করেছিল। এই মিছিলে অনেক বাঙালির মৃত্যু হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম

তারপর আমরা আমাদের এই মাতৃভাষাকে নিজের ভাষা হিসেবে পেয়েছিলাম। তাই একুশে ফেব্রুয়ারিকে বলা হয় মাতৃভাষা দিবস। এই মাতৃভাষা দিবসে আমরা আমাদের প্রতীক কিভাবে উত্তোলন করব তা এখন আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়লে পতাকা উত্তোলন করার নিয়ম জানতে পারবেন।জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য যে সকল কাজ করা লাগবে।

আপনারা যদি একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তাহলে যে কোন সময় আপনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবেন। কারণ রাত বারোটা হলেই দিন পাল্টে যায় আপনি যদি মনে করেন রাত বারোটার পরে ২১ তারিখ হয়েছে তখন পতাকা উত্তোলন করবেন তাও আপনি করতে পারেন। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম।

পতাকা উত্তোলন নিয়ম দেখুন

১।প্রথমত পতাকাটি লাঠির শীর্ষ স্থানে উঠিয়ে রাখতে হবে।

২।পতাকা অর্ধনিমিত রাখার জন্য পতাকাটি লাঠির অর্ধেক নিয়ে এসে বেঁধে রাখতে হবে।

৩।দিন শেষে যখন পতাকাটি নামাতে হয় তখন অর্ধনমিত অবস্থায় থেকে আবার শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে পতাকাটি নিচে নামিয়ে আনতে হবে। এভাবে আপনারা পতাকা উত্তোলন হতে পারেন।

জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় কেনঃ-

আমারে দেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার কোন নির্ধারিত স্থান বা সময় ছিল না। কিন্তু 1972 সালে মন্ত্রী বিভাগ থেকে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নিয়ম এনেছিলেন। এখন বর্তমানে জাতীয় পতাকা অর্ধা নমিত রাখার কঠোর আদেশ সরকার থেকে। তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব জাতীয় পতাকা কেন অর্ধানমিত রাখা হয়।

আরও পড়ুনঃ পবিত্র থাকার উপায় ও প্রয়োজনীয়তা

আগে পতাকা অর্ধনমিত রাখার জন্য লাঠির চার ভাগে এক ভাগ নিতে বেঁধে রাখলেই হত। কিন্তু এখন ওই নিয়ম পাল্টে নতুন নিয়ম নিয়ে এনেছে সরকার। এই নতুন নিয়মে পতাকা উত্তোলন না করলে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে এবং জেলও হয়ে যেতে পারে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক পতাকা অর্ধনমিত  রাখার নতুন নিয়ম।

আগে লাঠির চার ভাগের একভাগ নিচে বেঁধে রাখলেই পতাকা অর্ধ নামিত রাখা হতো কিন্তু এখন পতাকা অর্ধনমিত রাখার জন্য প্রথমে পতাকা লাঠির শীর্ষ স্থানে উঠাতে হবে তারপর আস্তে আস্তে লাঠি র চার ভাগ এর একভাগ নিচে এনে বেঁধে রাখতে হবে। এবং দিন শেষে যখন পতাকা নামাবেন তখন আবার পতাকাটি লাঠির শীর্ষ স্থানে উঠাতে হবে এবং তারপর নামাতে হবে।

কোন কোন দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়ঃ-

বন্ধুরা ওপরে আমরা ঘোষনা করে এসেছি কিভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হয় এবং নতুন নিয়মে আপনারা পতাকা অর্ধনমিত রাখবেন। কিন্তু আপনাদের কিছু দিবস সম্পর্কে জানাতে ভুলে গেছি যে আপনারা কোন কোন দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবেন। কিছু কিছু দিবস রয়েছে এই দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা বাধ্যতামূলক।

জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার দিবস

  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
  • একুশে ফেব্রুয়ারি
  • শহীদ দিবস
  • ১৭ মার্চ

আমরা যেই দিবস গুলোর নাম উল্লেখ করেছি এই দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা বাধ্যতামূলক হয়েছে। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন এই দিবসগুলো আসলেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাতীয় পতাকা সকল সরকারি বেসরকারি ভবনগুলোতে বেঁধে রাখা হয়।

শোক দিবসে কালো পতাকার ম্যাপঃ-

আমাদের দেশে অনেক দিবস রয়েছে এর ভিতর হলো একটি শোক দিবস। আর এই শোক দিবসে আমরা কালো পতাকা উত্তোলন করে থাকি। ১৯৭১ সালে ১০ই মার্চ ছিল একটি বিরাট ঘটনা বহুল দিন। আর এই দিনে সরকারি বেসরকারি আরো অন্যান্য ভবনগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করে সম্মান প্রদর্শন জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মার্চ মাসের ১০ দিনে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এই দিনটিতে সরকারি আদর্শ সরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এবং সব কর্মচারীরা এই দিনে বিরত থাকেন এবং শেখ মুজিবুর রহমান বিদেশি কয়েকজন সাংবাদিকের সামনে বলেছিলেন প্রায় সাত কোটি জনগণ আজ নিজেদের অধিকার ফিরে পেয়েছে।


আরও পড়ুনঃ ভলোবেসে বিয়ে করলে কি কি করতে হয়

এখন আমরা আলোচনা করব শোক দিবসে কালো ম্যাপ সম্পর্কে। এই দিনটিতে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে একটি ম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল এবং এই ১০ই মার্চ কাল রাত বলে এই ম্যাপটির নাম দেওয়া হয়েছিল কালো ম্যাপ। চলুন তাহলে এই ম্যাপটির ছবি দেখে নেওয়া যাক।

একুশে ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম - শেষ কথাঃ-

আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি ছিল একুশে ফেব্রুয়ারির পতাকা উত্তোলন নিয়ে। একুশে ফেব্রুয়ারি পতাকা উত্তোলন বাদেও আমরা আরো কিছু দিবস সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করে এসেছি। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। যদি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে পছন্দ হয় তাহলে এ সকল আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url