অনলাইন থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করার নিয়ম

আমরা অনেক সময় বিভিন্ন বিভ্রান্তির কারণে বা কোন সমস্যায় পড়ে নিজের আইডি কার্ড হারিয়ে ফেলি। এর কারণে আমরা অনেক চিন্তায় পড়ে যাই। আর কোন টেনশনের কারণ নেই আমরা নিয়ে চলে আসলাম আপনারা কি করে আবার আপনাদের আইডি কার্ড ফিরিয়ে পাবেন। আপনারা ইচ্ছে করলে ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে নিজের আইডি কার্ড আবার ফিরে পাবেন।

আপনারা যেভাবে অনলাইন থেকে আপনার নিজের আইডি কার্ড ফিরে আনবেন এই বিষয় সম্পর্কে জানতে যারা ইচ্ছুক আছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা আইডি কার্ড অনলাইন থেকে বের করার নিয়ম জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

কন্টেন সূচিপত্রঃ অনলাইন থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করার নিয়ম

ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম

আমরা সকলে যে দেশে থাকি না কেন যে দেশের বাসিন্দা হয় না কেন সবাই নিজের নাগরিকতা পেতে চায়। কারন একটা মানুষ যে দেশে থাকুক না কেন তা নাগরিকতা প্রয়োজন। নাগরিকতা ছাড়া যে দেশে থাকবে সে সে দেশের নাগরিক হিসেবে প্রযোজ্য নয়। নাগরিকতা হচ্ছে হল ভোটার আইডি কার্ডকে বোঝানো হয়।

আরও পড়ুনঃ ইংরেজি দক্ষতা অর্জনের উপায়

একটা বালকের যখন ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে যাবে তখন সে নাগরিকতা পাবে। নাগরিকতা কার্ড দিয়ে অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সে দেশের সকল কাজ ভালোভাবে করতে পারবে। নাগরিকতা ছাড়া দেশের থাকার কোন মূল্য নেই কারণ একটা প্রয়োজনীয় কাজ করতে এই ভোটার আইডি কার্ড খুবই প্রয়োজন হয় আর সেই ভোটার আইডি কার্ড যদি না থাকে তাহলে সেটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

একটা বালকের যখন ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে যাবে এবং সে নাগরিকতা হতে পারবে তখন তার সেই দেশের অনেক মূল্য হবে। আর এই নাগরিকতা পেতে হলে অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড পেতে হলে সর্বপ্রথম নির্বাচন অফিসে যাবতীয় কাগজপত্র যেমন জন্ম নিবন্ধন গার্জিয়ানের জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ফরম ফিলাপ করার পর সে নাগরিকতার একটা স্লিপ পাবে। আর সেই স্লিপে একটি নাম্বার দেয়া থাকবে ওই নাম্বার অনুযায়ী অনলাইনে থেকে তার ভোটার আইডি কার্ড বা নাগরিকতা কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে।

ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয়

আমরা যারা রয়েছি বিশেষ করে যাদের ২০ পূর্ণ হয়েছে প্রায় সবারই ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে। এই ভোটার আইডি কার্ড দেশের একটি লাইসেন্স আর এই ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে অনেক জীবনের লাইফের কাজকর্ম করা হয়। আর এই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে বিশেষ করে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স মাইক্রো ড্রাইভিং লাইসেন্স পাসপোর্ট তৈরি ইত্যাদি কাজে এই ফটোটা টি কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যেমন বাইরের দেশে গেলে বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ডের কোন মূল্য নেই সেই দেশে। কিন্তু একটা কাজ হয় সেটা হল যে দেশে যে যাবে সে দেশের সরকার অনুমোদিত এই বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ডটি শো করা হয় এবং তারা বুঝতে পারে এটি বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা যারা দেশের বাহিরে যাই তারা অনেকে ভুল করে বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ড রেখে যায়। এই ভুল কাজটি কখনোই করা যাবে না এই ভোটার রেখে যাওয়া হয় তাহলে তার বাইরের দেশে থাকা খুব অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে এবং পুলিশ প্রশাসন অন্য ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

আমাদের অনেক কারণে বসতে মনের অজান্তে অনেকের এই ভোটার আইডি কার্ডটি হারিয়ে যায় এবং অনেক বিভ্রান্তিতে পড়ে। এ বিষয়টি যারা জানেনা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনাটি। যদি আপনার কোনো কারণবশত ভোটার আইডি কার্ডটি হারিয়ে ফেলেন তাহলে দেরি না করে সাথে সাথে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করবেন। তার পাশাপাশি আপনি ভোটার হওয়ার আগে আপনার কাছে নির্বাচন অফিস থেকে একটা স্লিপ দেওয়া হয় একটি নাম্বার বসানো রয়েছে যদি সেই নাম্বারটি সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার হারিয়ে যাওয়া কার্ডটি আবার ফেরত পাবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাই

আমরা যে দেশেই থাকি না কেন কম বেশি এখন সবাই ভোটার হয়ে গেছি বিশেষ করে ২০ বছরের উপরে যারা রয়েছে। যারা এখনো ভোটার হতে পারেনি তারাও খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে আশা করি কারণ এই ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে অনেক সমস্যার বিভ্রান্তিতে পড়া ইত্যাদি সকল প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করা যায় এর মাধ্যমে। যেমন একজন ব্যক্তি ভোটার হওয়ার কারণ হচ্ছে সে দেশের একজন নাগরিকতা পাওয়ার জন্য হয়।

আরও পড়ুনঃ চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়

এর মধ্যে আবার অনেকে রয়েছে যারা শখের বসে ভোটার হতে চায়। আবার কেউ কেউ রয়েছে যারা ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার হতে চায়। আসলে ভোটার আইডি কার্ড ভোট দেয়ার জন্যই করতে হবে এমন কোন কথা নেই। ভোটার হওয়ার মেইন কারণ হচ্ছে সে দেশের একজন নাগরিক আর সে ব্যক্তির যদি নাগরিকতা কার্ড না থাকে তাহলে এই দেশে তার কোন কাজকর্মের মূল্য নেই।

এর মধ্যে যারা ভোটার আইডি কার্ড করেছে ভালো এবং যাদের ভোটার আইডি কার্ড করার পরেও অনেক ভুল রয়েছে তাদের জন্য অনেক খারাপ এবং বিভ্রান্তি। ভোটার আইডি কার্ড করার সময় যদি কোন ব্যক্তি সঠিকভাবে ডকুমেন্ট তাদের কাছে না দিতে পারে তাহলে ভোটার আইডি কার্ড হওয়ার পরে যদি কোন ভুল তথ্য দেওয়া হয় ভোটার আইডি কার্ডের ভিতরে তাহলে সেই ব্যক্তিকে অনেক বিভ্রান্তিতে পড়তে হবে। তাই আমরা এই ভুল না করে ভালোভাবে বুঝে শুনে সব ডকুমেন্ট তাদের কাছে পৌঁছে দিব। এবং এই সংশোধন করার জন্য অনেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হবে যেমন উপজেলায় পরিষদ পৌরসভা ইত্যাদি এমনকি ঢাকা হাইকোর্ট পর্যন্ত যাওয়া লাগতে পারে।

নতুন আইডি কার্ড কিভাবে করতে হয়

আমরা যারা নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছি তাদের অনেক শখ এবং আকাঙ্ক্ষা নতুন ভোটার হওয়ার। এবং সেটিও সম্ভব হচ্ছে নির্বাচন অফিস থেকে এবং পৌরসভা থেকে যাদের ইউনিয়ন তাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। শুধু নতুন আইডি কার্ড কিভাবে করতে হয় তা জানলে হবে না তার নিয়ম কানুন জানতে হবে এবং এর ব্যবহার ও জানতে হবে। যারা নতুন ভোটার হতে চায় তাদের অনেক করণীয় থাকে।

আসলে ভোটার হওয়ার এই সুযোগটা সবার ভাগ্যে আসে না। যাদের বয়স এবং বয়সের সাল ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যাদের জন্ম হয়েছে শুধু তারাই ভোটার হতে পারবে। এক কথা যাদের ১৯ থেকে ২১ বছর বয়স তারা ভোটার হতে পারবে। এর মধ্যে যাদের ২০ বছর রয়েছে তাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা কম বোঝে। তারা ভাবে যে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার হতে হয় কিন্তু এটা একদম ভুল কথা আসলে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার হতে হয় না।

আরও পড়ুনঃ খলি পেটে কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়

দেশের নাগরিকতা পেতে ভোটার হতে হয় এক কথায় যেমন মোটরসাইকেল, মাইক্রো, ট্রাক, বাস ইত্যাদি যানবাহনের যেমন লাইসেন্স রয়েছে তেমনি এটি একটা মানুষের লাইসেন্স। দেশে থাকতে হলে দেশের নাগরিকতা কার্ড অবশ্যই বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। এই কার্ড দেশের জন্য নয় এ কার্ড নিজের জন্য কেননা এই ভোটার আইডি কার্ড অনেক প্রয়োজনীয় কাজের ব্যবহার করা হয়। কোন ব্যক্তি যদি বিদেশ যায় তার পাসপোর্ট ভিসা করতে হলে এই ভোটার আইডি কার্ডের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রয়েছে।

অনলাইন থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করার নিয়ম - শেষ কথা

আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি অনলাইন থেকে কিভাবে আপনারা আইডি কার্ড সংগ্রহ করবেন। আপনারা জানতে পেরেছেন নতুন আইডি কার্ড কিভাবে করতে হয়, অনলাইন থেকে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাই এছারাও আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে। আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগলে তাহলে এ সকল আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url