নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমান বেশি থাকে কেন

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত হল নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকার কারণ নিয়ে। নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কেন বেশি থাকে? এই বিষয়ে সম্পর্কে অনেকেই জানিনা বা এই প্রশ্নগুলো আমরা অনেকেই করে থাকি।

আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তরগুলো জানতে ইচ্ছুক আছেন তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে বুঝতে পারবেন নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কেন বেশি থাকে।

পেজ সূচিপত্রঃ যে কনটেন্ট পড়বেন তার উপর ক্লিক করুন

ভূমিকাঃ-

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের কাছে একটি দারুন প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চলে আসলাম। আজকের আর্টিকেলের প্রশ্নটি হল নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে কেন? এই প্রশ্ন সাধারণত অনেকের মনে জেগে থাকে। তাই এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা।

আরও পড়ুনঃ মহাবিশ্ব কাকে বলে

আমাদের মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর যারা জানিনা এবং নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে কেন এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি তাদের জন্য মূলত আজকের এই আর্টিকেল। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কেন নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে।

নদীর পানিতে অক্সিজেনে পরিমাণ বেশি কেনঃ-

আমরা সকলেই জানি নদীর পানি লবণাক্ত হয়। কিন্তু এটা জানি না নদীর পানি জায়গা ভেদে লবণাক্ত হয় এবং সব জায়গায় পানি লবণাক্ত হয় না। নদীর পানি জায়গা ভেদে লবনাক্ত কম বেশি হওয়ার কারণে নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন নদীর পানি জায়গা ভেদে লবণাক্ত কমবেশি হয়?

নদীর পানিতে জায়গা ভেদে লবণাক্ত কমবেশি হওয়ার কারণ, আপনারা দেখবেন নদীতে কিন্তু সব জায়গার পানি এসে যুক্ত হয়। আবার বিভিন্ন কলকারখানার ময়লা আবর্জনা এবং বাড়ির বিভিন্ন দূষিত পানি এসে নদীর সাথে যুক্ত হয়। এই সকল কারণে দেখা যায় যে দিক দিয়ে অনেক পানি এসে নদীর পানির সাথে যুক্ত হয় ওই পানিগুলো নদীর পানির সাথে একত্রিত হয়ে লবণাক্ত পরিমাণ একটু কমে যায়।

নদীর বড় বড় ঢেউ এসে নদীর পাড় দিয়ে বড় বড় চরের মত লবণের চর বানিয়ে দেয়। এর কারণে বোঝা যাচ্ছে নদীর মাঝখানে পানি গুলো অনেক বেশি লবণাক্ত হয়। কারণ মাঝখান থেকে অনেক বড় বড় ঢেউ নদীর কিনারে এসে ধাক্কা লাগে এবং অনেক লবনের চর ফেলে।

সকল পানি এসে নদীর সাথে যুক্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় লবণাক্তের পরিমাণ কম হয় এবং ভিন্ন জায়গায় লবণাক্ত পরিমাণ বেড়ে যায়। এই লবণাক্তের পরিমাণ কম বেশি হওয়ার কারণে নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আশা করি নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কেন বেশি বুঝতে পেরেছেন।

মাছ চাষে পুকুরের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণঃ-

আমরা যারা গ্রামে অঞ্চলে বসবাস করি তাদের মধ্যে অনেকেই মাছ চাষ করে থাকি। ছোট ছোট পুকুরগুলোতে মাছের পোনা চাষ করা হয় এবং বড় পুকুর গুলোতে বড় বড় মাছ চাষ করা হয়। কিন্তু কোন পুকুরে কতটুক পানিতে অক্সিজেন এর পরিমাণ কতখানি থাকা দরকার তা আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন।

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল তাদের জন্য এই টিপস জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। কারণ দেখা যাচ্ছে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেক কমে গেছে এবং খুব বেশি বেড়ে গেছে। এ সময় উপরে অনেক গ্যাস করে বা মাছ মরে যেতে লাগে।

আরও পড়ুনঃ কোন পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে

আমরা যারা ছোট পুকুরে ছোট ছোট মাছ চাষ করে থাকি। ওই পুকুর গুলোতে ৫ থেকে ৮ মিলিগ্রাম লিটার হিসেবে যদি অক্সিজেন থাকে তাহলে ওই পুকুরের মাছ ভালো থাকে এবং কাঙ্খিতভাবে বৃদ্ধি পায়। তাই আমরা যারা পুকুরে মাছ চাষ করি তাদের সব সময় এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

পানিতে অক্সিজেন কমে যাওয়ার কারণঃ-

বেশিরভাগ সময় দেখা যায় গ্রীষ্মকাল আসলে পানির অক্সিজেনে পরিমাণ অনেক কমে আসে। এ কারণে চাষীদের পুকুরের অনেক মাছ মরে যায়। আবার মাঝে মধ্যে দেখা যায় সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে করে চাষিরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং লচের মধ্যে পড়ে যায় চাষিরা।

গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ গরমের সময় বেশি বেশি বৃষ্টি হয়। বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার কারণে নদীর চারিদিক থেকে অনেক ময়লা আবর্জনা এবং বৃষ্টির ঢল নেমে আসে। এই কারণে দেখা যায় নদীতে বিভিন্ন মলমত্র বা ময়লা আবর্জনা নেমে আসার কারণে নদীর পানি দূষিত হয়ে যায় এবং অক্সিজেনের পরিমাণ অনেক বেশি কমে যায়।

নদীর পানি গুলো দূষিত হয়ে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে নদীর পানিতে গ্যাস করে। পানিতে গ্যাস করার কারণে মাছ মারা যেতে শুরু করে। পানি গ্যাস করার কারণ পানিতে অক্সিজেন পরিমাণ অনেক বেশি কমে গেছে তাই পুকুরে মাছ অক্সিজেনের অভাবে মারা যেতে লাগে।

কিন্তু এই সময় চাষিরা অনেক সমস্যায় মধ্যে পড়ে যায়। এই সময় চাষিরা কি করবে, কোন উপায় খুঁজে পায় না। তাই আপনাদের কাছে আমরা কিছু টিপস নিয়ে চলে আসলাম এই টিপস বা আমাদের দেওয়া নিয়ম-কানুন মেনে যদি আপনারা চাষাবাদ করেন তাহলে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

আপনাদের পুকুরে যখন এই ধরনের সমস্যা দেখা দিবে, তখন সঙ্গে সঙ্গে যদি পানির লাইন থাকে তাহলে পানির লাইনটি ছেড়ে দিবেন। এমন সময় দেখা যাচ্ছে নতুন কোন পানি ছাড়ার উপায় নেই বড় বড় বাঁশ বা পানিতে নেমে পানি ঢেউ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনারা পানির তলে হরর ট্রেনে পানির তলের গ্যাস গুলো উপরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

কোন সময় নদীতে মাছ মরতে থাকেঃ-

গ্রামে অঞ্চলের দিকে সবচাইতে বেশি মাছ  চাষ করা হয়। গ্রামে পুকুর, ছোট নদী, খাল বিল এবং দিঘি এগুলোতে বেশিরভাগ বড় বড় মাছ চাষ করা হয়। সবাই মাছ চাষের উপর পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেনা। এ কারণে অনেকেই মাছ চাষ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পড়ে অনেক লচের ভেতর পড়ে যায়।

কিন্তু এমন সময় দেখা যায় মাছ চাষের উপর অনেক অভিজ্ঞতা আছে এ সকল মানুষ ব্যর্থ হয়ে যায় মাছ চাষের উপর। মাছ চাষ করা অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতি গুলো যদি আপনারা অবলম্বন না করেন তাহলে, যেকোনো সময় পুকুরে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে এবং মাছ মারা যেতে পারে।

আমাদের প্রশ্নটি ছিল কোন সময় নদীতে মাছ মরতে থাকে? আমরা সকলেই জানি গ্রীষ্মকালীন সময়ে অনেক রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই রোদের কারণে নদীর পানি অনেক গরম হয়ে থাকে এবং এই রক্ত পরেই এবং মাঝে মাঝে অনেক বৃষ্টি পাথর হয়। রোদ এবং বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে গ্যাসের সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুনঃ মানুষের হাত কোন শ্রেণীর বিভাগ

এ সময় নদীর মাছ মারা যেতে লাগে। যদি পুকুরে গ্যাস করে, তাহলে খেয়াল করে দেখবেন মাছগুলো মুখ পানির উপরে ভেসে দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ সময় যদি কোন নতুন পানি নামানোর ব্যবস্থা থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নদীতে পানি ছেড়ে দেবেন। নতুন পানি ছাড়ার কারণে নদীর গ্যাসগুলো উঠে যাবে এবং মাছ মরা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

কোন পানিতে সাঁতার কাটা সহজঃ-

আমরা অনেকে আছি যারা নদী বা পুকুরে কোন পানিতে সাঁতার কাটতে পারি না। সব সময় আমরা বাড়িতে টিউবয়েলের পানি বা মোটারের পানিতে গোসল করে অভ্যস্ত। আমাদের অনেকের ইচ্ছা হয় নদীতে সাঁতার কাটা শেখার। কিন্তু আপনারা সব জায়গাতে ইচ্ছা করলে সাঁতার কাটা শিখতে পারবেন না।

আপনারা যদি পুকুরে সাঁতার কাটা শিখতে চান তাহলে অনেক কষ্ট হবে বা সাঁতার কাটা শিখতে অনেক দেরি হবে। সাঁতার কাটা শেখার জন্য সবচাইতে ভালো পানি হল সমুদ্রের পানি। পুকুর বা ছোট খাটো নদীর পানিতে কোন লবণাক্ত নেই এর কারণে এই সকল পানি অনেক পাতলা হয়ে থাকে।

সমুদ্রের পানিতে আছে লবণাক্ত। সমুদ্রের পানিতে লবণাক্ত বেশি থাকার কারণে পানি গুলো অনেক চাপ ধরে থাকে এবং সাঁতার কাটার সময় মানুষকে উপরে ভাসিয়ে রাখতে অনেক সহায়তা করে। এ কারণে আপনারা যদি সাঁতার কাটতে শিখতে চান তাহলে সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটা শিখতে পারবেন অনেক সহজেই।

নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে কেন - উপসংহারঃ-

আজকের এই পুরো পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে কেন। এছাড়া আপনারা আরো জানতে পেরেছেন, কোন পানিতে সাঁতার কাটা যায়, কোন সময় নদীতে মাছ মরতে থাকে এছাড়া আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে। আর ওই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো রাখুন এবং সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url